বাড়িতে পৌঁছে তো আমি একেবারেই অবাক। কোথাও কোন মৃত্যুর ছাপ নেই; কাল যেই স্থানে আমি রক্ত পড়ে থাকতে দেখেছিলাম এখন সেখানে রক্ত যেন কোথাও উধাও হয়ে গেছে। লাল বর্ণের কোনো চিহ্নমাত্র নেই। আর দিব্যি নাক ডাকিয়ে বাড়ি মালিক শান্তির ঘুম দিচ্ছে। তাহলে কি সত্যিই আমি কোনো স্বপ্ন দেখলাম? কিন্তু ওখানে পৌছালাম বা কী করে? নাকি স্বপ্নের মধ্যে চলন জাতীয় কোন রোগের কারনে স্বপ্ন ঘোরে আমি ওই স্থানে পৌঁছে যাই। হতেও পারে, না অন্য কোন কারণে।
অতি সন্তর্পনে উপরে উঠে এলাম, জানিনা কোথায় কী বিপদ অপেক্ষা করছে। তাই একটু সাবধানে থাকতে হবে। আরে গেট খুলছে না কেন? আমিও বলিহারি জংটঙে কালকেও তো খোলেনি। যাই আরেকটা গেট আছে, হ্যাঁ ওই টা দিয়েই যাই। কী ব্যাপার গেটটা বন্ধ কেন? কাল তো গেট খোলাই রেখেছিলাম। না স্বপ্নে, তাহলে কী করি এতো ভারি মুশকিলে পড়া গেল। সব কিছু যেন অদ্ভুত লাগছে। কোন গেটই খুলছে না। মারি, জোরে ধাক্কা মারি, ইয়া (দরজা জোরে ধাক্কা মারার আওয়াজ)। শেষমেশ হার মানতেই হলো; পুরনো দরজার ছিটকিনি অনায়াসে খুলে গেল। আওয়াজটা অতটা বেশি হয়নি, যাতে অন্য কারোর ঘুম ভেঙে যায়।
তাড়াতাড়ি ঢুকে এলাম দেখি লাইট জ্বলছে ফোনেও চার্জ হচ্ছে, কাগজটা একাকী পড়ে রয়েছে পেনটা হয়তো নীচে পড়ে গেছে। কাগজে লেখা শেষ লাইনটা মনে করিয়ে দিচ্ছে, গত রাত্তির জেগে ওঠা প্রেম কাহিনীর সেই দৃশ্য।
হ্যাঁ আমি রোম্যান্টিক গল্প লিখছিলাম- সাথে ছিল মুভির কিছু রেম্যান্টিক অভিজ্ঞতা। কারেন্টটা না চলে গেলে হয়তো আরও কিছুক্ষণ লিখতাম। মগ্ন থাকতাম প্রেমের গভীরতায়। কিন্তু না, হঠাৎ করে কারেন্ট টা চলে গিয়ে সব বিগড়ে দিলো। তারপরেই যত সব উদ্ভট ঘটনা- লেখার মুডটাই নষ্ট করে দিল।
একপাশে আমার স্বাধের কোর্টটা ঝুলছে। আর স্যুটকেসটা? হ্যাঁ, স্যুটকেসটাও সস্তানে রয়েছে সঠিকভাবে। সবকিছুই ঠিকঠাক, যেন কোন কিছুই হয়নি। তাহলে কি কাল আমি সত্যিই স্বপ্ন দেখলাম? না ওই মুভির মতন আমিও ভবিষ্যতে পৌঁছে গিয়েছিলাম। হয়তো তাই, হয়তো ভবিষ্যত এই ঘটনার মাধ্যমে আমায় সতর্ক করতে চেয়েছে। নিজের মৃত্যু নিজেকে দেখিয়ে সাবধান করতে চেয়েছে। বন্ধুর কু চক্রান্ত জানিয়ে দিতে চেয়েছে, আগেভাগে। এটা কি সম্ভব? না অসম্ভব বলে কিছুই হয়না। আর বিলম্ব না করে, কাউকে না জানিয়ে, ভ্যানিশ সে এলাকা থেকে।এজেন্সিতে জমা দিয়ে দিলাম সুটকেশটা। কিছু বড় মাপের ঘুঘুও ধরা পরল, জেলও হল। প্রতিবাদের আগুন যেন আরেকটু জোরালো হল। অনেক প্রতারিত মানুষরা একটু আশার আলো পেল।
আসলে আমি খুফিয়া এজেন্সিতে কর্মরত এক ব্যক্তি। না না, নামটা বলা যাবেনা, সবই গোপনীয়। আপনি আমাকে মনে মনে যে কোন নাম দিতে পারেন।
মিশন চিটফান্ড- এই মিশনের মূল উদ্দেশ্যই ছিল চিটফান্ডের সঙ্গে জড়িত ঘুঘু গুলোকে খুজে বার করা ও জনগনকে ন্যায় দেওয়া। ঘুঘু বলতে সেই সব ব্যক্তিরা যারা এই কান্ড ঘটাতে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছে। অতীন্দ্র? অতীন্দ্রোরতো শাস্তি পাওয়ার কথা, সেওতো বেইমানি করেছে। নিজের বন্ধুর সঙ্গে, আমাদের এজেন্সির সঙ্গে, এই দিশেহারা মানুষজন দের সাথে। অর্থের লালসাই সে নিভিয়ে দিতে চেয়েছে এই প্রতিবাদের আগুনকে। কিন্তু না, প্রমান কোথায়? আমার এ স্বপ্ন দিয়ে আমি কি তা প্রমান করতে পারি? স্বপ্ন ছাড়া এই ঘটনাকে কিবা বলতে পারি। কাউকেই বলিনি এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে তারকাটা ছাড়া কিছুই ভাববেনা তারা। অতিন্দ্র আমায় কী ভাবলো কে জানে। আমার এ ব্যবহারে নিজের প্রতি নিজের অনেক রাগ ধরছে। কিন্তু কিবা করতে পারি তাই বলে সকলের আশার আলোকে তো নিভতে দিতে পারিনা।
...
![](https://img.wattpad.com/cover/265061707-288-k509119.jpg)
STAI LEGGENDO
টাইম ক্রাইম
Mistero / Thrillerঅতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, যদি কোন ভাবে তুমি ভবিষ্যতে পৌঁছে যাও। নিজের মৃত্যুর নিজের চোখে দেখতে পাও। ভবিষ্যতের ঘটনাগুলি আগেভাগে জেনে যাও। তাহলে তুমি কী করবে? পরিবর্তন কী কিছু হবে? না অপরিবর্তিত থাকবে সবকিছু। না শুধু মনেরই পরিবর্তন ঘটবে। গল্পের কথক ও তা...