হেনা আন্টি

438 4 0
                                    

ঢাকা শহরে ইদানীং খুব মেটাল বা ধাতব সঙ্গীত নিয়ে মাতা মাতি। সবারই ব্যান্ড আছে যদিও হাতে গোনা কয়েকটা বাদ দিয়ে বেশীর ভাগ দলই সেই গদ বাঁধা মেটালিকা কিংবা মেগাডেথের মত গান তৈরি করে একের পর এক। নতুনত্ত বলতে নিউ মেটালের মত সস্তা মাল। ভাল কোনো কিছু বেশ দুর্লভ। আমি অনেকদিন আগেই মেটাল ছেড়ে জ্যাজ ধরেছি কিন্তু এখনো খোঁজ খবর রাখি। আমাদের শ্রোতারা একটু উদার না হলে এখানে নতুন কিছু করা সম্ভব না। আমার ভাইও তাই সেই গদ বাঁধা তত্বের ওপর ভিত্তি করে সেই একই পেন্টাটনিক স্কেলে চার কর্ডের গান বানাচ্ছে। সে গেছে কোন এক বন্ধু আশফাকদের বাড়িতে গানের প্রস্তুতি নিতে। মিষ্টি কিনে আমাকে যেতে হবে সেখানেই।

আশফাকদের বাড়ির নিচে দারোয়ান আমাকে থামালো। আমি গিট্টু বলতে গিয়ে নিজেকে থামিয়ে বললাম, সত্যেন আছে? ওকে নিচে আসতে বলেন। আমি ওর ভাই। ৩ তলা নতুন আলিশান বাড়িতে ওরা একাই থাকে। পেছনে বড় বাগান আর সামনে গাড়ির জায়গা। দারোয়ান ওপরে ফোন করে তড়িঘড়ি করে দরজা খুলে দিল, ম্যাডাম আমনেরে উফরে যায়তে কইছে। ২ তালায়। নিচের দরজা দিয়ে ঢুকেই সিঁড়ি। আমি সোজা উঠে গেলাম। বেশ নিরিবিলি। দরজার সামনেই একজন ২৪/২৫ বছরের মহিলা অপেক্ষা করছেন। পরনে একটা মেরুন আর কালো রঙের রেশমের শাড়ি। ছেড়ে রাখা লম্বা চুল গুলো এখনও ভেজা। গায়ে একটা কালো সুতির ব্লাউজ। ঠোঁটে হালকা রঙ দেখা যাচ্ছে আর গা থেকে বেরুচ্ছে দামি বাসনার সুবাস। মহিলা বেশ দর্শনীয়। চোখ গুলো বেশ টানা টানা। চোখের কোনে একটা দুষ্টু হাসির আভাস। নাক টা খাঁড়া। গায়ের রঙ ফর্সার দিকেই তবে শত মানুষের ভিড়েও অবাঙালী বলে ভুল হবে না।

আশফাক সবে ‘এ’-লেভেল শেষ করলো। ওর মা হতে পারে না। বড় বোন হবে। আবার খালা বা ফুপুও হরে পারে। একটু ইতস্ততা করে নিরাপদ পথ বেছে নিলাম। মাথাটা সালামের কায়দায় একটু নাড়িয়ে বললাম, কেমন আছেন? আমি সমীরন, সত্যেন্দ্রর ভাই। মহিলা কিছু না বলে হাসি মুখে আমাকে ভেতরে নিয়ে গেল। নাটালিয়ার সাথে এক সপ্তাহ অবিরাম কামলীলার পরে হস্তমৈথুনরেও সুযোগ না জোটায় আমার অবস্থা বেশ শোচনীয়। নিজের অজান্তেই চোখটা চলে গেল উনার নিতম্বে। শাড়ি যেন বাঙালী মেয়েদের দেহের সৌন্দর্যটা কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়। কেন যে আজকাল মেয়েরা শাড়ি পরে না, আমি বুঝি না। হাঁটার তালে উনার পশ্চাৎ দুলতে লাগলো। চুল থেকে পড়া পানিতে পিঠের ব্লাউজটা ভিজে গেছে। ব্রার ফিতা দেখা যাচ্ছে এক পাশে। তার ঠিক নিচেই ইঞ্চি দেড়েক একেবারে খালি পিঠ। আমার প্যান্টের মধ্যে একটু নড়াচড়া অনুভব করলাম।

স্মৃতিমধুরWhere stories live. Discover now