বুঝি না খুজে খুজে সব কঠিন প্রশ্ন গুলো কেন আমাকে করে। টুওসিক্স সেশনালে এবার পুরো ধরা। তিনজনের গ্রুপে সিনথীকে অলমোস্ট কিছুই ধরলো না। শিবলীও ওকে। আমাকে দেখে নজরুল মুচকি হেসে বইয়ের পাতা উল্টে জঘন্য সব কোয়েশ্চেন গুলো করলো। মুখ কালো করে ল্যাবের বাইরে এসে দাড়িয়েছিলাম, সিনথী বললো, এত মন খারাপ করলি কেন, ফাইনাল প্রেজেন্টেশন তো এখনও বাকি আছে। এই টীচারটা তোকে দেখতে পারে না, অন্যরা হয়তো ঠিকই ভালো নাম্বার দেবে।
– যা, যা, এখন উপদেশ দিতে আসিস না
– ওরে বাবা, আমি আবার কি দোষ করলাম
– তুই করিস নি, এখন একা থাকতে দে
সিনথীয়া ওরফে সিনথি আমাদের গ্রুপমেট। এই ইউনিতে একটা অঘোষিত নিয়ম রোল নাম্বার অনুযায়ী ল্যাবের গ্রুপিং গুলো হয়। রোল নাম্বার আবার এ্যাডমিশন টেস্টের ফলাফলের সিরিয়াল অনুসারে। মাঝে মাঝেই ভাবি সিনথি যে কেন আরেকটু ভালো করলো না, নাহলে আমি একটু খারাপ করলেও হতো। এই সেলফিশ বিচটার সাথে এক গ্রুপে পড়তে হতো না। ক্লাশে সবাই জানে ও গ্রেডের জন্য পারে না এমন কিছু নেই। সমস্ত প্রজেক্টে ও টীচারদের সাথে আগ বাড়িয়ে এমনভাবে কথা বলে যেন গ্রুপে ও একাই সবকিছু করছে।
আমি হেটে ক্যাফেতে চলে এলাম। সিনথির সাথে কথা বলার মত মুড নেই। নেক্সট উইকে টার্ম শেষের প্রেজেন্টেশন, ওখানেও সুবিধা হবে না। রাতে সিনথী ফোন করলো, তানিম, তুই সত্যিই আমার ওপরে মাইন্ড করেছিস?
– ধুর বাদ দে না, কেন কল দিয়েছিস?
– না, না। আমি ঠিকই টের পাচ্ছি। তোদের ধারনা আমি লিডিং রোল নিচ্ছি বলে তোদের গ্রেড খারাপ আসছে। শোন একটা অফার দিচ্ছি আমি। নেক্সট উইকের ডেমোটা তুই কর। এটা আমি কোন রাগ হয়ে বলছি না। অনেস্ট প্রপোজাল।
আইডিয়াটা খারাপ বলছি না। হয়তো করে দেখাই উচিত। সিনথীর শ্যাডোতে পরে আমাদের বারোটা বাজছে, একবার নিজে করে দেখি কি হয়। সিনথী উইকেন্ডে স্লাইডগুলো বানিয়ে ইমেইল করে দিল। দুপুরে ব্রেকের সময় ডেকে নিয়ে বললো, ডেকটা দেখেছিস?
ŞİMDİ OKUDUĞUN
স্মৃতিমধুর
Romantizmজীবনে ঘটে যাওয়া ছোট ছোট কিছু যৌন অভিজ্ঞতা। ১৮+ সতর্কতা। ভালবাসা, প্রেম, সম্পর্কের রগরগে যৌন বর্ননা।