2 0 0
                                    

#ছন্নছাড়া
#পর্ব_৬
#Ashlar_Anu

“হুয়াট!!” (দীপ)
“সেদিন তাদের টার্গেট ঈফা নয় আমার মেয়ে আর্শি ছিলো।” (আশরাফ)
“তুমি সিউর্ ভাইয়া?” (দীপ)
“হুম। আর্শির জীবন এখন ঝুঁকিতে রয়েছে, বর্তমানে সে বাড়িতেও নিরাপদ নয়।” (আশরাফ)
“তারা কেনো আর্শির ক্ষতি করতে চাইছে?” (দীপ)
“নেতাদের পিছনে অনেক শত্রু থাকে, তাদের লক্ষ্য যেকোনো উপায়ে উদ্দিষ্ট নেতার ক্ষতি করা। আর কোনো স্ট্রং মানুষের ক্ষতি করার উপায় হচ্ছে তার উইক্ পয়েন্টে আঘাত করা।” (আশরাফ)
“কিন্তু এর সাথে আর্শির ক্ষতি করার সম্পর্ক কী?” (দীপ)
“আশরাফ চৌধুরীর কেবল একটি উইক্ পয়েন্ট রয়েছে, তা হলো তার দুই মেয়ে আর্শি চৌধুরী এবং কণ্ঠ চৌধুরী। কন্ঠ বর্তমানে আমার সাথে সেফ্ রয়েছে। তাই তারা আর্শির ক্ষতি করতে চাইছে।” (আশরাফ)
“ওহ্ আই সি।” (দীপ)
“সেদিন রাতে তারা আর্শিকে কিডন্যাপ করতে এসেছিলো। ঈফার জন্যে তাদের সকল পরিকল্পনা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ঈফা সেসময় সবকিছু আঁচ করতে না পারলে আর্শির বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যেতো।” (আশরাফ)
“প্রিন্সেস্ আগে থেকে সব জানতো?” (দীপ)
“নাহ্ ঈফা মামনি সবকিছু জানতো না। শুধুমাত্র বাড়িতে আর্শির উপর এটাক হতে পারে এতটুকুই জানে ঈফা।” (আশরাফ)
“আমাদের চোখের আড়ালে এতকিছু হয়ে যাচ্ছে আর তুমি আমাকে কিছু জানালে না? প্রিন্সেস্ এখনো অনেক ছোট, এতটুকু বাচ্চা মেয়ে হয়ে প্রিন্সেস্ কী করে আর্শিকে সেফ্ রাখতো?” (দীপ)
“ঈফা তার বোন আর্শিকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। কাউকে তার কাছ থেকে তার বোন আর্শিকে সে কিছুতেই কেড়ে নিতে দিতো না।” (আশরাফ)
“এতে আর্শি এবং প্রিন্সেস্ উভয়ের বিপদ হতে পারতো। আমি সেদিন সঠিক সময়ে বাড়িতে এসে না পৌঁছোলে তারা আর্শি এবং প্রিন্সেসকে মেরে ফেলতো।” (দীপ)
“ওরা ঈফা এবং আর্শি কারোরই ক্ষতি করতে পারতোনা।” (আশরাফ)
“আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা তুমি কীভাবে এতটা নিশ্চিন্ত ছিলে!” (দীপ)
“ঈফাকে আমি আগে থেকে সবকিছু বলে দিয়েছিলাম। ঈফা জানতো যেকোনো সময়ে আর্শির উপর এট্যাক হতে পারে। ঈফা কখনোই আর্শির ক্ষতি হতে দিতো না, আর্শিকে সে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। সেদিন রাতে সবকিছু বুঝতে পেরেই ঈফা আমাকে সবকিছু জানিয়ে দিয়েছিলো ছোট একটা এস্.এম্.এস্. এর মাধ্যমে। তখনি আমি বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম যারা তাদের ধরে নিয়ে যায়।” (আশরাফ)
“ওহ্ আই সি! প্রিন্সেস্ অনেক বড় দায়িত্ব পালন করেছে। সেদিন সময়মতো পুলিশ এসে না পৌঁছোলে আমি কিছুতেই আর্শি এবং প্রিন্সেসকে বাঁচাতে পারতাম না।” (দীপ)
“ছোট হলেও ঈফা তার বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে অনেক বিপদ মোকাবিলা করতে পারে। ঈফা অনেক দ্রুত সবকিছু বুঝতে আর শিখতে পারে, তাই আমি তাকেকে এতটা ভরসা করতে পারি।” (আশরাফ)
“বুঝলাম।” (দীপ)
“হুম।” (আশরাফ)
“কিন্তু বর্তমানে আর্শির জীবন অনেক বড় ঝুঁকিতে রয়েছে, নিজের বাড়িতে পর্যন্ত আর্শি নিরাপদ নয়। আমাদের সবার আগে আর্শির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।” (দীপ)
“আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর্শিকে আমি আমার কাছে রাখবো। তারপর মা, আর্শি, কন্ঠ সবাইকে নিয়েই একসাথে ব্যাক্ করবো।” (আশরাফ)
“কিন্তু প্রিন্সেস্ যে আর্শিকে ছাড়া থাকতে পারবে না, আর্শিকে ছাড়া প্রিন্সেস্  রাতে একা ঘুমোতে অনেক ভয় পায়!” (দীপ)
“সেদিনের ঘটনায় ঈফা মানসিকভাবে অনেকটাই বিষণ্ণ হয়ে আছে। স্কুল্ ট্যুরে বন্ধুদের সাথে কোথাও ঘুরে আসলে তার ডিপ্রেশন এবং ভয় দূর হয়ে যাবে। আমার মনে হয় ঈফাকে ট্যুরে যেতে দেয়া উচিত।” (আশরাফ)
“তারা প্রিন্সেসের কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করলে?” (দীপ)
“না তারা কিছু পারবে না। তুমি নিশ্চিন্তে ঈফাকে স্কুলে যেতে দিতে পারো” (আশরাফ)
“বেশ।” (দীপ)

ছন্নছাড়া Where stories live. Discover now