1 0 0
                                    

#ছন্নছাড়া
#পর্ব_৭
#Ashlar_Anu

আপনজনকে হারিয়ে ফেলার ভয় একটি মারাত্মক জিনিস- কারো মনে একবার এই ভয় ঢুকে গেলে তা সহজে দূর হয়না। বর্তমানে ঈফার মনে সে ভয় প্রবেশ করেছে এবং খুব ভালোভাবেই তার কোমল মনের মাঝে বাসা বেঁধেছে- এখন যার প্রভাব তার মাঝে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঈফা প্রতিক্ষণে তার সবচেয়ে কাছের আপনজন তার বোন আর্শিকে হারিয়ে ফেলার ভয় পাচ্ছে। আর্শির একটু আগে বলা কথাগুলোতে ঈফা কিছুটা আশ্বস্থ হলেও ঈফার মনের এক কোণে ভয়টা রয়ে গেছে। অপরদিকে আর্শির মনেও একি ভয় বিরাজ করছে কিন্তু আর্শি তা ঈফাকে বুঝতে দিলো না। আর্শি নিজেও বুঝতে পারছে না তার কেন মনে হচ্ছে সে ঈফার থেকে দূরে চলে যাবে। আসন্ন বিপদ এবং দুঃখের আভাস আগে থেকেই মনের মাঝে পরিলক্ষিত হয়। দুই বোনের মনের মাঝে একি ভয়, একি দুঃশ্চিন্তা কাজ করছে যা তাদের নিজেরো অজানা।

চারদিকে পাখিদের কিচিরমিচির শুনে বোঝা গেলো আরো একটি নতুন দিনের সূচনা হয়েছে। ভয় এবং দুঃশ্চিন্তায় দুজনের কারোরই তেমন ঘুম হলো না। তাই ভোরের দিকে ঘুমটা আরো গাঢ় হয়ে এসেছিলো কিন্তু তা আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারলো না। ঘরের জানালা দিয়ে সূর্যের আলো মুখে এসে পড়লে ঘুম অনেকটাই হালকা হয়ে আসে তাদের। পিটপিট করে চোখ খুলে আড়মোড়া ভেঙে পুনরায় ডানহাত দিয়ে তার চোখদুটো ঢেকে নিলো ঈফা। ধীরে ধীরে চারদিকে চোখ মেলে দেখলো ঈফা অতঃপর বিছানার অপরপাশে তাকিয়ে বুঝতে পারলো আর্শি আরো আগেই ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। ঈফা ঘুম থেকে উঠিয়ে বিছানা গুছিয়ে নিলো। তারপর ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে স্কুলের জন্যে প্রস্তুত হয়ে ব্রেকফাস্ট করতে নিচে নেমে এলো।

প্রত্যেক দিনের মতো নতুন দিনের সূচনাতে সবাই যার যার নিজস্ব কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠতে শুরু করলো। কুহেলী মিনুর সহায়তায় সবার জন্য সকালের খাবার তৈরি করছে। খাবার রান্না প্রায় সম্পন্ন হয়ে এলে সবাই একসাথে ব্রেকফাস্ট করতে বসলো। অতঃপর আর্শি এবং কুহেলী মিলে সবাইকে খাবার সার্ভ করলো। সবাই ব্রেকফাস্ট করে নিলো এবং যার যার নিজস্ব কাজের উদ্দেশ্যে চলে গেলো। দীপ ঈফাকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে নিজেও ব্যবসার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।

ছন্নছাড়া Tempat di mana cerita hidup. Terokai sekarang