#ছন্নছাড়া
#পর্ব_১৫
#Ashlar_Anuঅরুনিও বুঝতে পারছেনা সে কী করবে । দীপ তার সিদ্ধান্তে অনড় রইলো । সে তার মত পরিবর্তন করতে নারাজ । তবে কী এবার তাকে চলে যেতেই হবে ? চলে যেতে হবে শশুড় বাড়ি ছেড়ে !
~ “ কী হলো অরুনি ? তুমি এখনো এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছো কেন ? বেরিয়ে যাও এ বাড়ি থেকে । নিজের প্রাণের বোনের কাছে চলে যাও । আর এখানে থেকে আমার প্রিন্সেসকে কষ্ট দিতে হবে না তোমায় ! ”
কিংকর্তব্যবিমূঢ় অরুনিকে এখানো দাঁড়িয়ে থাকতে থেকে দীপ বলে উঠলো । অরুনি পুনরায় দীপের কাছে ক্ষমা চাইতে লাগলো ।
~ “ এবারের মতোন আমায় মাফ করে দাও দীপ । আমার দ্বারা আর কখনো এমন ভুল হবে না । আমি আর কখনো না জেনে ঈফাকে মারবো না । ”
~ “ তোমার অন্যায়ের ক্ষমা হয় না অরুনি । তুমি একটি নিষ্পাপ বাচ্চা মেয়ের উপর অত্যাচার করেছো , অন্যায় করেছো তুমি প্রিন্সেসের সাথে । মা হয়ে নিজের সন্তানকে মায়ের আদর-স্নেহ-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করেছো , কোনো সন্তানকে তার মায়ের ভালোবাসা পাবার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছো । তোমার এই অন্যায়ের ক্ষমা হয় না অরুনি । আর কোনো কথা নয় । এখনি তুমি বাড়ি বেরিয়ে যাবে । ”
দীপ অরুনির হাত ধরে তাকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দিতে উদ্যত হলো । আর্শি দীপকে আটকাতে চাইলো ।
~ “ কাকা , প্লিজ তুমি এমনটা করো না । কাকি ঈফাকে পছন্দ না-ই করতে পারে , না-ই বা ভালোবাসতে পারে - কিন্তু ঈফা তার মাকে প্রচুর ভালোবাসে । কাকির ভালোবাসা না পেলেও কাকিকে ঈফা সামনে তো দেখতে পাবে । ঈফার কাছ থেকে কাকিকে দূরে করে দিও না প্লিজ । মাকে হারিয়ে ফেললে ঈফা আরো ছন্নছাড়া হয়ে পড়বে । রাগের মাথায় এমন একটা ডিসিশন্ নিও না প্লিজ্ । ”
~ “ আর্শি , আমি একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি । যে মা তার নিজের সন্তান তার মেয়েকে ভালোবাসেনা , মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত করে , অত্যাচার করে তার মা হবার কোনো অধিকার নেই । দরকার নেই এমন মায়ের । প্রয়োজনে প্রিন্সেস্ তার মাকে ছাড়াই বাঁচবে যে ভাবে মা-মরা অন্য শিশুরা বেঁচে থাকে । ঈফা জানবে তার মা মরে গেছে । ”

YOU ARE READING
ছন্নছাড়া
Teen Fictionমায়ের অবহেলা, হিংস্রতার স্বীকার এক মেয়ের জীবনে ঘটে গিয়েছে একের পর এক ভয়ংকর, বর্বর, নিষ্ঠুরতা, সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তার এগিয়ে যাওয়ার গল্প।