১৬

1 0 0
                                    

#ছন্নছাড়া
#পর্ব_১৬
#Ashlar_Anu

আর্শিকে চুপ করে থাকতে দেখে ঈফা পুনরায় বলে উঠে ,

~ “ কি হলো আর্শি আপু ? কিছু বলছো না যে ? বলো মাম্মাম্ কোথায় ? ”

আর্শি তবুও চুপ করে রয়েছে । অরুনি ঈফাকে এমন অসুস্থ অবস্থায় রেখে কোথায় গিয়েছে তা জানতে পারার পর ঈফার প্রতিক্রিয়া কী হবে তা ভাবতে লাগে আর্শি । ঈফা পুনরায় আর্শিকে ডাকলো -

~ “ আর্শি আপু ....! ”

~ “ হু ! ”

~ “ বলো না মাম্মাম্ কোথায় ? ”

ঈফার কাকি তথা আর্শির মা কুহেলী তখন ঈফার ঘরের সামনে দিয়ে হেঁটে কোথাও যাচ্ছিলো । ঈফার প্রশ্ন শুনে কুহেলী হাঁটা থামিয়ে হঠাৎ বলে উঠলো -

~ “ তুই জানিস না তোর মাম্মাম্ কোথায় গিয়েছে ? ”

~ “ না , কাকী । মাম্মাম্ তো আমাকে বলে যায় নি কোথায় গিয়েছে । তুমি কি জানো মাম্মাম্ কোথায় ? ”

ঈফা হতাশ হয়ে বললো । তার মাম্মাম্ তাকে রেখে কোথায় চলে গেলো !

ঈফার কথা শুনে কুহেলী বলে উঠে -

~ “ তুই জানিস না অরুনি কোথায় যেতে পারে ? ” ( কুহেলী )

~ “ ওহ্ ! ” ( ঈফা )

নির্জীব কন্ঠে বলে উঠে ঈফা । এবার সে বুঝতে পেরেছে অরুনি কোথায় গিয়েছে । কিন্তু ঈফা ভাবেনি অরুনি এখন তাকে ছেড়ে কোথাও যাবে !

~ “ অরুনি সর্বদা আমাদের কিছু না বলেই তার মায়ের কাছে চলে যায় ! একবারের জন্যেও আমাদেরকে জানিয়ে যাবার প্রয়োজন বোধ করে না সে ! আর তুই সবসময়ের মতোন অরুনিকে না দেখতে পেয়ে আকুল হয়ে খুঁজতে থাকিস । যার তোকে নিয়ে কোনো ভাবনাই নেই তার জন্য কেন তোর মন এত কাঁদে ঈফা ? ” (কুহেলী)

কুহেলী দৃঢ় কন্ঠে বলে উঠে , কথা বলার সময় কুহেলীর গলা ভেঙ্গে আসছিলো । কুহেলীর কথা বলার মাঝেই সেখানে ঈফার ফুফু রেহেনা উপস্থিত হলো । কুহেলীর সাথে সেও বলে উঠে -

~ “ বুঝিনা কোনো মা তার মেয়ের প্রতি এতটা নির্দয় কী করে হতে পারে ! ঈফা এত অসুস্থ থাকার পরেও মেয়েকে ফেলে রেখে বোনদের কাছে চলে গিয়েছে ! ”

ছন্নছাড়া Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang