#ছন্নছাড়া
#পর্ব_১৪
#Ashlar_Anuঈফার হাতে থাকা কালো দাগটি দেখে দীপ প্রচন্ড রেগে যায় । কাজটি যে অরুনির তা বুঝতে দীপের খুব একটা দেরী হলো না । দীপ হাত মুষ্টিবদ্ধ করে উঠে দাঁড়ায় । তার চোখ দুটো টকটকে লাল হয়ে রয়েছে যেনো আগুন ঝরছে । সে অনেক সহ্য করেছে কিন্তু আর নয় । অরুনি তার সহ্যের সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে । কোনো মা তার নিজ মেয়ের প্রতি এতটা নিষ্ঠুর কী করে হতে পারে ? নাহ্ , আর নয় ! আজ সে সবকিছুর একটা শেষ দেখে ছাড়বে ।
অরুনি সেসময় তার ঘরেই ছিলো । তখনি দীপ অরুনির ঘরে প্রবেশ করলো । ঘরের দরজা কিছুটা চাপানো ছিলো , দীপ রাগের বসে অনেক জোরে দরজায় ধাক্কা দেয় যার ফলে বিকট শব্দের সৃষ্টি হয় । হঠাৎ এমন বিকট শব্দ শুনে অরুনি ভয়ে কেঁপে উঠে । সে কখনো দীপকে এতোটা রেগে যেতে দেখেনি । সকল পরিস্থিতিতে দীপ নিজেকে স্থির এবং শান্ত রেখেছে , যতই রেগে থাকুক সে অরুনি এমনকি কারো সাথে উচ্চস্বরে কথা বলেনি । কিন্তু আজ দীপ তার রাগের সকল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে , হিংস্র বাঘের মতো লাগছে তাকে দেখতে !
দীপকে এমতাবস্থায় দেখে অরুনি এবার অনেক ঘাবড়ে যায় । অরুনি বুঝতে পারছে না এত শান্ত-প্রকৃতির দীপের এতটা রেগে যাওয়ার কারণ । দীপ বলে উঠলো ,
~ “ তোমার সাহস কী করে হয় আমার প্রিন্সেসকে এমন ভাবে আঘাত করার ! ”
~ “ মানে ! ঈফাকে শাসন করা প্রয়োজন ছিলো তাই তাকে মেরেছি । ঈফাকে শাসন করার অধিকার আমার রয়েছে দীপ । এ নিয়ে এতটা রেগে যাওয়ার কী আছে ! ”
অরুনির কথা শুনে দীপ আরো রেগে যায় । রাগের বসে দীপ তার পাশে রাখা ফ্লাওয়ার ভেসটি হাতে নিয়ে জোরে মেঝেতে ছুঁড়ে ফেললো । সাথে সাথে ভেসটি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায় । ভেসটি অরুনির খুবি প্রিয় ছিলো কারণ তাকে এই ভেসটি তার বোন আরিফা গিফট্ করেছিলো । দীপের এই কাজে অরুনি অনেকটা ভয় পেলেও সাথে প্রচন্ড রেগে যায় ।
~ “ এটা শাসন নয় অরুনি , এটা অত্যাচার ! প্রিন্সেস্ কী এমন করেছিলো যে তুমি তাকে এভাবে মেরেছো ! ”
~ “ দীপ ! তুমি এটা কী করলে ? তুমি জানো এই ভেসটি আমার জন্যে কতটা স্পেশাল ছিলো ! ”
ŞİMDİ OKUDUĞUN
ছন্নছাড়া
Genç Kurguমায়ের অবহেলা, হিংস্রতার স্বীকার এক মেয়ের জীবনে ঘটে গিয়েছে একের পর এক ভয়ংকর, বর্বর, নিষ্ঠুরতা, সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তার এগিয়ে যাওয়ার গল্প।