#ছন্নছাড়া
#পর্ব_১২
#Ashlar_Anuঈফা ভাবতেও পারেনি বাড়ি ফিরে তাকে এতটাই অবাক হতে হবে। ঈফা ভেবেছিলো আজকে তার মাম্মাম্ কে সে অবাক করে দিবে কিন্তু ঈফা নিজেই অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। ঈফা ভেবেছিলো আজ থেকে হয়তো তাদের মা-মেয়ের সম্পর্কটি ঠিক হয়ে যাবে- অরুনি তাকে অন্যান্য মায়েদের মতোই আদর করবে, আগলে রাখবে। কিন্তু আবারো ঈফার ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো।
অরুনির করা আঘাতের ফলে ঈফার দুধ-সাদা বরণ হাতে লালচে কালো দাগ বসে গেছে। ঈফার আঘাত প্রাপ্ত অংশতে বিন্দু বিন্দু রক্ত জমা হচ্ছে, তার কোমল ত্বকে একটু বেশিই আঘাত পেয়েছে ঈফা যা তার চোখে জড়ো হওয়া অশ্রু প্রমাণ করে দিচ্ছে। ঈফা মনে মনে অনেক কষ্ট পেয়েছে যার কাছে হাতের আঘাতটি শূন্য মনে হচ্ছে। কিন্তু ঈফা অরুনির তাকে মারার কারণ বুঝতে পারলো না।
“আজকে অন্যান্য দিনের চেয়ে তুমি প্রায় দেড় ঘন্টা পর বাড়ি ফিরেছো! তুমি কি জানো বাড়ি ফিরতে লেট্ করা আমার পছন্দ নয়?”
অরুনি বেশ ঝাঁঝালো কন্ঠে উপরের কথাটি বললো, তার কন্ঠে রাগ স্পষ্ট। ঈফা ভাবতে পারেনি অরুনি তাকে একারণে মেরেছে! বুক ফেঁটে কান্না আসছে তার কিন্তু সে অনেক কষ্টে নিজেকে কাঁদা থেকে সংযত রাখলো।
“সরি মাম্মাম্। আর কখনো এমন হবে না।”
ঈফা অরুনিকে আর কিছুই বলতে পারলো না- দৌড়ে উপরে নিজের রুমে চলে আসে ঈফা। আজ সে অনেক বড় আঘাত পেয়েছে অরুনির কাছ থেকে।
“আমার ভাবনা সর্বদা মিথ্যে প্রমাণিত হয়! আমি যতবার ভেবেছি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে সব সময় তা উল্টো হয়ে যায়!”
ঈফার চোখ থেকে অনবরত জল গড়িয়ে পড়তে শুরু করলো। কাঁদতে কাঁদতে একপর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে ঈফা ঘুমিয়ে পড়ে।
_________________________________
“হুয়াট!”
“হুম।”
“তুমি আমাকে কথাটা একবারো জানানোর প্রয়োজন বোধ করলেনা!”
“সরি দীপ! আমি তোমাকে আগেই সবকিছু জানাতে চেয়েছিলাম।”
“তাহলে জানাওনি কেন?”
“আসলে আমি সবকিছু নিয়ে কিছুটা চিন্তিত ছিলাম। তাই আমার কাছে যা ঠিক মনে হয়েছিলো সেটাই করেছি।”
“তাই বলে তুমি আমাকে না জানিয়ে আর্শির এত বড় একটা ডিসিশন্ নিয়ে ফেললে!”
“আমার কাছে এটাই ঠিক বলে মনে হয়েছিলো।”
“কিন্তু আমাকে একবার জানাতে পারতে।”
“আর্শির নিরাপত্তার কথা ভেবেই আমি কথাটি গোপন রেখেছিলাম দীপ। আর তোমাকে জানালে তুমি হয়তো ঈফার কথা ভাবে আর্শিকে এখানে আসতেই দিতে না!”

YOU ARE READING
ছন্নছাড়া
Teen Fictionমায়ের অবহেলা, হিংস্রতার স্বীকার এক মেয়ের জীবনে ঘটে গিয়েছে একের পর এক ভয়ংকর, বর্বর, নিষ্ঠুরতা, সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তার এগিয়ে যাওয়ার গল্প।