১৩

1 0 0
                                    

#ছন্নছাড়া
#পর্ব_১৩
#Ashlar_Anu

দীপ ঈফার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করলো। দীপের সাথে সাথে কুহেলীও এসে ঘরে ঢুকলো । এতক্ষণ ধরে দীপের গলা, চিৎকার এবং দরজা ভাঙ্গার বিকট শব্দ পেয়ে অরুনি নিজেও এখানে চলে এসেছে । কিন্তু তারা ঘরে এসে যা দেখলো তাতে সকলেই অবাক হয়ে গেলো। ঈফা মেঝেতে শুয়ে আছে ।

~ “ প্রিন্সেস্ ! ”

দীপ দৌড়ে ঈফার কাছে গেলো । কিন্তু ঈফাকে স্পর্শ করতেই সে অনেক অবাক হয়ে যায় । ঈফার হাত-পা অস্বাভাবিক ঠান্ডা হয়ে আছে । দীপ অনেকটাই ভয় পেয়ে যায়। ঈফার দু-গালে হাত রেখে বলতে শুরু করলো।

~ “ প্রিন্সেস্ তুমি ঠিক আছো? বাবা তোমার কী হয়েছে ? চোখ খুলো প্রিন্সেস্!”

কুহেলী ঈফার কাছে এসে তাকে ডাকতে শুরু করে।

~ “ ঈফা ! ঈফা ! চোখ খুলো! ”

নাহ্, ঈফা চোখ খুললো না! কুহেলী গিয়ে অরুনিকে বলতে শুরু করলো।

~ “ এবার তোমার ইচ্ছে পূরণ হয়েছে অরুনি ? ”
~ “ মানে ? ”

অরুনি অবাক হয়ে জানতে চায় ।

~ “ ঈফা অজ্ঞান হয়ে আছে ! কারো ডাকে সারা দিচ্ছে না । তুমি তো এটাই চেয়েছিলে । ”

~ “ তুমি এসব কী বলছো কুহেলী । আমি কেনো এমনটা চাইবো ! ”

~ “ হ্যাঁ তুমি এটাই চেয়েছিলে । তুমি ঈফাকে কখনো ভালোবাসোনি , একজন মায়ের তার মেয়ের প্রতি যেসকল কর্তব্য থাকে তার কোনটিই তুমি পালন করনি । তুমি সবসময় ঈফাকে অবহেলা করে গেছ । আজ ঈফার এমনাবস্থার জন্য একমাত্র তুমি দায়ী অরুনি । ” 

~ “ কুহেলী তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে ।  ঈফা হয়তো কোনকিছু দেখে ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে । ”

~ “ আমার কোথাও ভুল হচ্ছে না , অরুনি । ঈফা এতটা ভিতু নয় ,  সে ভয়ের সাথে যুদ্ধ করেই বড় হয়েছে । আজ শুধুমাত্র তোমার কারণেই ঈফার এমন দশা হয়েছে । তুমি কী করে পার ঈফার প্রতি এতটা নিষ্ঠুর হতে ! কী করে পার মা হয়ে মেয়ের প্রতি এতটা কেয়ারলেস্ হতে ? ”

ঈফাকে অজ্ঞান হতে দেখে অরুনিও কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছে । কিন্তু সে তা প্রকাশ করলো না ।

ছন্নছাড়া Dove le storie prendono vita. Scoprilo ora