#ছন্নছাড়া
#পর্ব_১৭
#Ashlar_Anuঈফার সম্পূর্ণ সুস্থ হতে আরো কিছুদিন সময় লাগলো । আর্শির যত্নের ফলে ঈফা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছে । এই কয়েকটি দিন তাদের প্রত্যেকেরি খুবি খারাপ ভাবে পার হয়েছে । অবশেষে বাড়ির পরিবেশে কিছুটা শান্তিপূর্ণ ভাব এলো ।
আশরাফ তার মেয়ে কন্ঠ এবং মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসায় বাড়িতে বিরাজমান নিরবতার অবসান ঘটে । অনেক দিন পর গোটা পরিবার একত্র হওয়ায় সবাই আনন্দ বোধ করে ।
তবে তাদের সবার জীবনধারায় কোনো পরিবর্তন ঘটেনি । ঈফার মাঝে এখনো ছন্নছাড়া ভাব বিরাজমান । ঈফা আগের মতো খুব একটা কথা বলে না । বিগত কয়েকমাস ধরে সম্মুখীন হওয়া ঘটনাগুলো ঈফাকে আরো চুপচাপ এবং সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে । নিজেকে একটি বন্ধ ঘরের মাঝে গুটিয়ে ফেলেছে ঈফা ।
দীপ , অরুনি , ঈফা প্রত্যেকের জীবন-ই আগের মতো ছন্নছাড়া ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে । মায়ের বাড়ি থেকে ফেরার পর অরুনির সাথে দীপের আলাদা সংসারে থাকা নিয়ে বেশ কয়েকবার ঝগড়া হয় ।
অরুনি দীপ এবং ঈফাকে নিয়ে আলাদা সংসারে থাকতে ইচ্ছুক ।কিন্তু দীপ অরুনির মতে অমত প্রকাশ করে । দীপ তার পরিবারকে ছাড়া থাকতে নারাজ । ফলে অরুনি বহুবার ঈফাকে নিয়ে দীপের থেকে চলে যেতে চেয়েছে কিন্তু ঈফা তার বাবাকে ছেড়ে যেতে অনিচ্ছুক তাই চাইলেও অরুনি চলে যেতে পারেনি ।
অরুনির সিদ্বান্তে অমত প্রকাশ করায় ঈফার প্রতি অরুনি আরো রাগান্বিত হয়ে পরে । ফলে অরুনি তার পরিবার এবং দীপের সাথে অশান্তি হতে সৃষ্ট সকল রাগ ঈফার উপরে প্রকাশ করে ।
ঈফা কখনো মা-বাবার মাঝে ঝগড়া-অশান্তি চায়নি । নিরুপায় ঈফার সবকিছু চুপচাপ দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলা এবং নিরবে অশ্রু বিসর্জন দেয়া ব্যতীত তার কিছু করার নেই ।
অরুনির প্রতিদিনের অশান্তির প্রভাব ঈফার উপরে পড়ায় কারণে দীপ ঈফাকে হোস্টেলে পাঠিয়ে দিবার সিদ্ধান্ত নিল । কিন্তু ঈফা বাড়ি ছেড়ে যেতে অমত পোষণ করে । শত কষ্ট-অবহেলা অগ্রাহ্য করে ঈফা বাড়িতে থেকে যায় । বাড়িটির সাথে ঈফার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে যেগুলো ঈফা হারিয়ে ফেলতে চায়নি ।
VOCÊ ESTÁ LENDO
ছন্নছাড়া
Ficção Adolescenteমায়ের অবহেলা, হিংস্রতার স্বীকার এক মেয়ের জীবনে ঘটে গিয়েছে একের পর এক ভয়ংকর, বর্বর, নিষ্ঠুরতা, সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তার এগিয়ে যাওয়ার গল্প।