পার্ট - ৫১

665 22 0
                                    


সারাদিন অনেক ভালো কাটালাম। অবশ্য ফারান থাকলে এতটা ভালো সময় কাটাতে পারতাম না। সে এখানে না থেকেও আমার উপর নজর রাখছে। আম্মুর মোবাইলে ফোন করছে অবিরত। কিছুক্ষন পর পর ফোন করবে। প্রথমেই জিজ্ঞেস করবে কোথায় আছ, সাথে কে কে আছে। প্রায় বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। এতটা প্রোটেকটিভ হতে তো কখনো কোনো ছেলে কে দেখি নি।। তারপরও একটা হাসি ফুটে উঠত আমার যখনি ফারানের কথা ভাবি।। 
বসে বসে সবজি কুটছিলাম। কিছুক্ষন আগে ফারানের সাথে কথা হয়েছে। ওর কথা, রাগ, শাসন, এমনকি তার চুমু, জড়িয়ে ধরা ভাবতেই গায়ে শিহরন বয়ে গেল।। আপন মনেই হাসছিলাম। তারপর সামনের দিকে তাকায়ে আছে। আর চারদিকে কেমন নিস্তব্ধ। কি হল!!
আমি বললাম
..... কি হয়েছে?? সবাই আ-আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছে কেন?? আমি এদিক ওদিক তাকালাম। কি আশ্চর্য়্য!! কেউ কিছু বলছেনা। আর মেঝো মামি ও আমার পাশে বসে আছে। সেও কিছু বলছেনা।। আরেকবার জিজ্ঞেস করলাম। এবার জিজ্ঞেস করায় সবাই অট্টহাসি তে ফেটে পড়ল। আর আমি থমথম খেয়ে গেলাম। বিব্রত হয়ে পড়লাম। নার্ভাসে শরীরের ঘাম ঝড়তে শুরু করল। অনেকক্ষণ পর হাসি থামলে সবাই আমাকে আমার হাতের দিকে দেখায় দিল।। আমি আমার হাতের দিকে তাকালাম। সেকি!! বটকি কই?? আর হাতে গরুর জন্য কেটে আনা লতা কেন?? আমি পিট পিট করে মামির দিকে তাকালাম। অবশেষে সবার অট্টহাসিতে ফেটে পড়ার কারন জানতে পারলাম। আমি বটকি তে সবজি কুটতে কুটতে আনমনা হয়ে গিয়েছিলাম। তাই মামি কয়েকবার ডাকার পরও শুনি নি। কথা শুনি নাই বিধায় মামি বটকি নিয়ে ফেলে। কিন্তু তাতেও হুশ আসেনি। এরপর আমার কাছ থেকে সবজির ঝুড়িও নিয়ে ফেলে তাতেও হুশ আসেনি। সবজি ভেবে পাশে গরুর জন্য কেটে আনা লতা পাতা কুটতে শুরু করেছিলাম। আর তাই দেখে সবাই হাসতে শুরু করেছিল। আমি প্রচুন্ড লজ্জা পেলাম। লজ্জায় ওখান থেকে উঠে চলে এলাম। রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিলাম। এখানেও শান্তি নেই। পাঁচ মিনিট পর আবার দরজার কড়া নাড়া শুরু হল। আমার কাজিন একজন এসেছে। ফারান ফোন করেছে তাই। আমার হয়েছে এক জ্বালা। ফোন টা নিয়েই দরজা বন্ধ করে দিলাম। কানে নিয়ে ঝাঝালো সুরেই বললাম
..... হ্যালো!!
..... কি হয়েছে??
.... কিছু না।।
..... তাহলে এমন করে কথা বলতেছো কেনো?? কি হয়েছে??
..... বার বার ফোন করতেছো কেনো??
..... আমার বউ, আমার ইচ্ছা তাই।
..... তোমার ইচ্ছা তাই না!!
.... হুম!!
.... তাহলে হাসবেন্ড আমার,, ইচ্ছাটাও আমার!!
.... মানে??
.... মানে আমার কথা বলতে ভালো লাগছে না!!
..... মোহিনী """"
ও আরো কিছু বলতে চেয়েছিলো। কিন্তু তার আগে আমি ঠাস করে ফোন কেটে দিলাম। ফোন বন্ধ করে দিয়ে আমার মনে অনেক প্রশান্তি অনুভব করলাম। উচিত শিক্ষা হয়েছে। আবার রিং বাজতে শুরু করল। তাকিয়ে দেখি আবার ফোন করেছে। কি করি?? একেবারেই ফোন টা অফ করে দিই, তাহলে আর কল করতে পারবেনা।। দিলাম ফোন টা অফ করে। ফারান এখন রাগে মাথার চুল ছিড়বে ভাবতেই অনেক আনন্দ হল।। যাক এখন আর ফোন করতে পারবেনা।। কিন্তু অানন্দ চিরস্থায়ী হয় না।। দরজায় আবার নক।।
.... কি হল?? কে ডিস্টার্ব করতেছে আমাকে??
দরজার ওপাশ থেকে জবাব এলো
.... আপনার হাবি!! আমাকে ডিস্টার্ব করতেছে।। ফোন ধরেন!!
দরজা খুললাম আর আমার কাজিন ওর ফোনটা আমার হাতে দিল। তারপর মুখ ভেঙচিয়ে চলে গেল। আর আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম। তারপর কানে দিতেই ফারানের চিৎকার!! ভয়ে তাড়াতাড়ি কেটে দিলাম!!
..... " লা হাওলা ওয়াল কুওয়াতা..... "
মনে মনে দুযা পড়তে লাগলাম। ভয়ে বুক ঢিপ ঢিপ করছিল।। কি করলাম এটা?? আবার ভাইব্রেশন হতেই অামি চমকে গেলাম। আর হাত থেকে ফোন টা পড়ে গেল!! ভাগ্যিস বিছানায় পড়ল। না হলে আমার খবর ছিল।। ফারান আবার ফোন করেছে।। রিসিভ করার সাহস হল না। কাপা কাপা হাতে ফোন সুইচড অফ করে দিলাম। ফোন অফ করতেই খেয়াল হল ঘরে আরো চার/পাঁচ জনের হাতে ফোন আছে। দৌড়ে দরজা খুলে রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। তারপর একে একে সবার ফোন সুইচড অফ করলাম। তারপর আবার রুমে এসে বসলাম। এরপর বুক থেকে স্বস্তির সুক্ষ নিঃশ্বাস বেরিয়ে গেল। তারপর বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিলাম। শান্তিতে চোখে ঘুম নেমে এলো। কিন্তু বেশিক্ষন ঘুমাতে পারলাম না। আম্মু এসে চেচামেচি করতে লাগল। আম্মুর চেচামেচিতে ঘুম ভেঙে গেল। চেচামেচির কারন টা জানতে একটু কষ্ট হল তবে জানতে পারলাম। প্রথমত এই ভর দুপুরে ঘুমানোর জন্য, দ্বিতীয়ত মোবাইল অফ করে রাখার জন্য। চোখ ডলতে ডলতে উঠে গেলাম।। তারপর গিয়ে দেখলাম সবাই খেতে বসেছে। আমিও হাত মুখ ধুয়ে বসে গেলাম। পরক্ষনেই মনে হল ফারান এখনো খায় নি। একথা বলতেই মামি আমাকে বকা দিলেন হুশ জ্ঞান হীন হওয়ার জন্য। আমি চুপচাপ মাথা পেতে নিলাম। কারন কিছুক্ষন এর মধ্যে ফারানের চলে আসার কথা। আর একথা আমার মনে না থাকায় মামির বকা খেতে হল। সবার খাওয়া দাওয়া শেষ হওয়ার পর ফারান এলো। এবার ওর খাবার দেওয়ার পালা আমার। ভয়ে আমি ওর সামনে যাচ্ছিলাম না।
কিন্তু তারপরও যেতে হল। কিন্তু দূরে দূরে থাকলাম। ফারানও এখন পর্যন্ত কিছু বলেনি। তবে মনে হচ্ছে এটা ঝড়ের পূর্বের শান্তভাব। 
ফারান ফ্রেশ হয়ে টেবিলে বসল। আমার মাথার উপর ফারান কে ফেলে সবাই চলে গেল বিশ্রাম করতে।। ফারান কে ভাত দিলাম। ভাত টা এখনও ফারান চামচ দিয়েই খায়। এখনও হাতে অভ্যস্ত না। খাবার সামনে দিলে চুপচাপ খেতে লাগল। কোনো অভিযোগ ছাড়া। ভয়ে বুকটা কিছুটা দুরদুর করছিল। ফারান কিছু বলল না। চুপচাপ খেয়ে রুমে চলে গেল। আমি আর রুমের দিকে পা বাড়ালাম না। খেয়ে দেয়ে চলে গেলাম রিফাতের রুমে। রিফাত সচরাচর বাড়িতে থাকেনা। এখন কিছুটা অসুস্থ। তারপরও ওর একটা টিউশনি করাতে ও চলে গিয়েছল। তাই ওর রুম টা ফাকা। রুমে এসে চুপচাপ শুয়ে পড়লাম। আমি আবার ঘুম কাতুরে। বিছানার সাথে পিঠ লাগলেই ঘুম চলে আসে। সুতরাং এখনো ব্যতিক্রম হয় না। শুতেই রাজ্যের ঘুম চোখে নেমে এলো।
ঘুম ভাঙল আসরের আযানের পরে।। উঠে নামায পড়ে আবার শুয়ে পড়লাম। কিন্তু বেশিক্ষন শুতে পারলাম না। সবাই এসে ডেকে দিল। আসরের পর ঘুমানো ভালো না। এ বাড়ির কেউই আর ঘুমায় না। সুতরাং বাধ্য হয়ে উঠে যেতে লাগল। হাত মুখ ধুয়ে প্রথমে ফারানের খোজ নিতে লাগলাম। রুমে গিয়ে দেখলাম দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তারমানে ফারান ভিতরেই আছে। সবাই কে জিজ্ঞেস করলাম। কিন্তু সবাই বলল ফারান নাকি এখনো রুম থেকে বেরই হইনি। এ কথায় আমার বুকটা আবারও ধক করে উঠল। কিন্তু মুখে কিছু বললাম না। পুরা সন্ধা টা এভাবেই কাটল। নাস্তা করার জন্য ফারান কে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সে নাকি জরুরি কাজে ব্যস্ত। তাই নাকি নাস্তা করবেনা। কি এমন কাজ!! যে নাস্তা করার সুযোগ পর্যন্ত নেই। মামিরা আমাকে একটু বকা দিল। তাদের ভাষ্য মতে স্বামীর সাথে স্ত্রীর থাকা উচিত। এবং তার প্রয়োজন অপ্রয়োজন খেয়াল রাখা উচিত। আর আমি তার বদলে ওর কাছ থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।। 
ফারান আসল একেবারে রাতের খাওয়ার সময়। চুপচাপ খেয়ে সবার আগে রুমে চলে গেল। আমি খাওয়া শেষে যথাসম্ভব দেরি করতে লাগলাম। টেবিল গোছাতে লাগলাম, থালাবাসন গুলো সঠিক জায়গায় রাখলাম, ঘর পরিস্কার করলাম ইত্যাদি। কিন্তু যখন কাজ শেষ হল যে যার যার রুমে চলে গেল। বাকি রইলাম আমি। দুপুরে রিফাত ছিল না বিধায় ওর রুমে যাওয়া গেছে। কিন্তু এখন ওর রুমে ও রয়েছে। এখন আর যাওয়া যায় না। অগত্য নিজের রুমের দিকে গেলাম। দরজায় কয়েকটা নক করার পর দরজা আপনা আপনি খুলে গেল। তার মানে দরজা বন্ধ করা হই নি। ভিতরে ঢুকে দেখলাম ফারান তার ল্যাপটপে কাজ করছে।। আমি চুপচাপ বিছানার দিকে এগুতে যাব। কিন্তু তার আগে ফারান ডাক দিল
..... দাড়াও
.
(চলবে)
.
♠সারপ্রাইজ♠😉
.
আমি থমকে দাড়ালাম। ফারান উঠে আমার দিকে ফিরে তাকালো
তারপর পিছনে হাত বাড়িয়ে কিছু একটা টান দিল।। তারপর ঝড় ঝড় করে আমার মাথার উপর কিছু একটা পড়তে লাগল। কিন্তু বেশি সময় লাগলো না। খুশবু বলে দিল এগুলা বেলি ফুল। চারদিকে শ্বেত শুভ্র বেলি ফুলের বর্ষন হচ্ছে।। খুশিতে আমার মনটা ভরে গেল। মন ভরে সুগন্ধি টা নিলাম। অনেক দিন এই ফুল দেখি নি। এক মুটো ফুল নিয়ে আমি গন্ধ শুকছিলাম। তখন পিছন থেকে ফারান এসে আমার চুলের কাটা খুলে নিয়ে ফেলল। আর সাথে সাথে আমার চুল গুলো বাতাসে উড়ে এলো মেলো হয়ে যেতে লাগল। আমি ফারান কে কাটা দিতে বললাম। কিন্তু সে হাতটা পিছনে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি আরেকটু এগুচ্ছিলাম আর ফারান আরেকটু দুরে হাত সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। ওর হাতটা এত উচুতে তুলে ফেলল আমি লাফিয়ে ও ধরতে পারছিলাম না। এভাবে ধরার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু খেয়াল করি নি যে আমি ফারানের অত্যন্ত কাছে চলে এসেছি। আর কখন ফারান আমার কোমড়ে এক হাত দিয়ে ধরল বুঝতে পারলাম না। কিন্তু আমি শাড়ি পড়ায় ওর হাতে সংস্পর্শ যখন আমার পেটের সাথে হল তখন খানিকটা চমকে উঠলাম। পিঠের মেরুদণ্ড বেয়ে একটা উষ্ণ স্রোত বয়ে গেল। বুঝত পারলাম ফারান আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমি তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে চাইলাম কিন্তু পারলাম না। ফারান আমাকে আর শক্ত করে আমার কোমড় ধরল। আমি নার্ভাস হয়ে গেলাম। তারপর ফারানের দিকে তাকালাম। ও শুধু নিঃশ্বাস নিচ্ছিল। কিন্তু কোন কথা বলছিল না। এরপর সে ধীরে ধীরে হাটু গেড়ে আমার সামনে বসল। আমি বুঝছিলাম না ও কি করছিল।। আমার সামনে হাটু গেড়ে বসে আমার পেটের উপর থেকে শাড়ির কাপড় সরিয়ে নিতে লাগল। আমি বাধা দিতে গিয়েও পারলাম না। ও আমার হাত ধরে ফেলল।। তারপর মাথা টা আমার পেটের কাছাকাছি নিয়ে আসল। আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম। এরপর মনে হল ছুরির ফলা দিয়ে আমার পেট কেউ ছিন্ন ভিন্ন করে দিচ্ছে।। সহ্য করতে পারছিলাম না। 
..... ফা-ফারান প্লিজ স্টপ!!
কিন্তু ফারান আমার কথায় কর্ণপাত করল না। এক নাগাড়ে সশব্দে চুমু দিয়ে আমার পেট পুরোটাই ভিজিয়ে দিচ্ছিল।। আর আমি ফারানের চুল আকড়ে ধরেছিলাম। অবশেষে ফারান আমাকে ছাড়ল। সাথে সাথে আমি দু হাত দূরে গিয়ে দাড়ালাম। আমার শরীর কাপতে লাগল।। এরপর ফারান উঠে দাড়ালো।। তারপর পলকহীন ভাবে আমার দিকে তাকাতে তাকাতে নিজের শার্টের বোতাম খুলতে লাগল।
আমি আরো দু পা পিছু হটে গেলাম। নিজের উদোম পেট টা শাড়িতে ঢেকে ফেললাম। কিন্তু তাতেও যে ফারান দৃষ্টি আটকাতে অক্ষম তা বুঝতে পারলাম। ফারান শার্ট খুলে পিছনে ছুড়ে মারল।। এবার আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল।। আমার খুব ভয় করছিল। কেন জানি না এত ভয় করছিল। পিছু হটতে হটতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেল। আমি পিছন ফিরে দেওয়াল কে দেখলাম সত্যি দেওয়াল কিনা!! দেখলাম সত্যিই দেয়াল। তারপর অসহায় চোখে ফারানের দিকে তাকিয়েই অস্পষ্ট স্বরে বলতে লাগলাম
..... ফা-ফারান প্লিজ!!
ফারান আমার একদম কাছাকাছি চলে এসেছিল।। তার নিঃশ্বাসের শব্দ পর্যন্ত আমি পাচ্ছিলাম। আমি ওর দিকে তাকাতে পারছিলাম না। ফারান আমার কোমড়ে হাত দিয়ে এক হেচকা টানে ওর কাছে টেনে নিয়ে আসল। আমি ওর বুকে শক্ত করে হাত দিয়ে রাখলাম যাতে ও কাছে না আসতে পারে। কিন্তু লাভ হলনা। আরেক টানে সে ঝাপটিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরল। তারপর আমার ঘাড়ে মাথা ডুবিয়ে দিল। সারা পিঠে পাগলের মত হাত বুলাতে লাগল।। আমার হাটু কাপতে লাগল। মনে মনে বলছিলাম শুধু আমি না দুনিয়ার সব মেয়ে এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। তারা মানতে পারলে আমি কেন পারছি না। এই বলে নিজেকে শক্ত করার চেষ্টা করছিলাম। এরপর ফারান বাম হাতে আমার বাম ঘাড়ের চুল গুলো সরিয়ে চুমু দিতে লাগল। প্রথম প্রথম ধীরে ধীরে হলেও পরে সে খুব দ্রুত চুমু দিচ্ছিল। আর আমি অত্যন্ত নার্ভাস হয়ে পড়ছিলাম। গলা ঘাড়ে কোনো জায়গা বাদ রাখল না। ইতোমধ্যে মনে হয়ে চিহ্ন হয়ে গেছে। এর পর সে ধীরে ধীরে গলা বেয়ে নিচে নামতে শুরু করল। কিন্তু শাড়ির জন্য সুবিধা করতে না পেরে সে শাড়িটা এক টানে সরিয়ে দিতে চাইল। কিন্তু তার আগে আমি ধরে ফেললাম। ধরে ফেলাতে ও আমার দিকে তাকালো। বুঝতে পারলাম না তার তাকানোর মানে। আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। এরপর ফারান আমার গালে হাত বুলাতে শুরু করল। তারপর দুহাতে আমার গাল ধরল। তারপর প্রথমেে বাম গালে, তারপর ডান গালে, এরপর দু চোখের পাতায় চুমু খেল। ফারানের চুমুতে আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল।। এরপর সে আমার দিকে তাকালো। তার পর একবার ঢোক গিলল। এরপর ধীরে ধীরে আমার ঠোট টা ও মুখে পুরে নিল। আমি বাধা দিত পারলাম না। চোখ বন্ধ করে অনুভব করতে লাগলাম। এভাবে কিছুক্ষন পর আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল কিন্তু ফারান ছাড়ছিলনা। আমি দু হাতে ওর বুকে আঘাত করতে লাগলাম। এতে কোন লাভ হল না। বরং ফারান আর এগ্রেসিভ হয়ে উঠল। আমাকে আরো জোরে চেপে ধরল। আর আমি প্রাণপনে ওকে ছাড়াতে চাইছিলাম। অবশেষে সে ছাড়ল আর আমি ঢলে পড়লাম ওর বুকে। আমার সমস্ত শক্তি নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ফারান আমাকে এক ঝটকায় কোলে তুলে নিল। তারপর ধীরে ধীরে বিছানায় শোয়ায় দিল। তারপর ফারান আমার দিকে এগিয়ে আসল। তারপর কি ভেবে এক মুহুর্ত থমকে দাড়াল। তারপর ওর হাতের মুটোয় অামার হাত চেপে ধরল। এরপর আমাকে ডাকল
..... মোহিনী!!
আমি ওর দিকে তাকালাম। ওর চোখে আকুল আবেদন। ও আমার অনুমতি চাইছে!! আমি সানন্দে অনুমতি দিলাম। ওর হাত টা শক্ত করে ধরলাম। কারন আমার মত ভাগ্যবতী কয়জনা যে তাদের স্বামী তাদের কাছ থেকে আগে অনুমতি নেয়!!
.
(চলবে)

 মোহিনী_২ ♥প্রেমান্ধ♥Where stories live. Discover now