এক মুঠো গোলাপ
১৩
_____
ডিপ ইনজুরির কারণে আমাকে পুরো ১ মাস বেড রেস্ট দেয়া হলো। ইট মিনস আমি টেস্ট-আফটার টেস্ট একটা এক্সামেও বসতে পারবো না। প্রাইভেট কলেজ হওয়ার ঘন ঘন পরীক্ষা রাখা হতো আমার কলেজে। শুধুমাত্র ভালোবাসার খাতিরে ক্যারিয়ারকে এক প্রকার হুমকির মুখে রেখে দিয়েছিলাম আমি।
যদিওবা বাপি অনেক রিকোয়েস্ট করে বাসাতেই পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বাট আমি পড়াশোনাটাই কমপ্লিট করতে হিমশিম খেতাম। আমার স্কিন ভীষণ সেনসেটিভ হওয়ায় জং ধরা পেরেক আমার ইনজুরিতে ঘায়ের সৃষ্টি করে ফেলেছিল। রাত্রিবেলা করে ব্যথায় গা কাঁপিয়ে জ্বর আসতো আমার।
ঘর ভরে গিয়েছিল আ্যান্টিবায়োটিক ঔষধে। ঘা টা যাতে খারাপ পর্যায়ে না যায় এজন্য বাপি-মা খুব করে খেয়াল রাখতো এক বেলাও যাতে ঔষধ মিস না যায়।
ইচ্ছার বিরুদ্ধে পনেরো ষোলোটা ঔষধ গলাধঃকরণ করতে হতো আমাকে।
অসুস্থতায় আমার কনফিডেন্স হুট করে কমে গেলো। দিন যত যাচ্ছিল ততই পরীক্ষা ভীতি মাথায় চেপে বসতে শুরু করছিলো৷
প্রায় প্রতিদিনই নিদ্রকে কল করে কান্নাকাটি করতাম আমি। আমার কান্না দেখে কখনো ধমক দিতো কখনোবা সাহস জোগাতো সব ঠিক হয়ে যাবে।
আমি যেহেতু টিউশন ক্লাসে যেতে পারতাম না তাই সে নিজেই বাসায় এসে পড়াবে জানালো।
অন্য সব টিউটর কে নিষেধ করে দেয়া হলো। সব সাবজেক্ট নিদ্রই পড়ানো শুরু করলো।
বাপি মায়ের সামনে খুব রিজার্ভ থাকার চেষ্টা করতো সে, অপরদিকে আমি হয়ে গেলাম নির্ভীক এক প্রকার নির্লিপ্ত।
পড়তে পড়তেই তাকে দু'হাতে জড়িয়ে দুষ্টুমি করছি, কখনোবা জোর করে চুমু খেয়ে ফেলছি।
আমার স্পর্ধা দেখে সে হতভম্ব হয়ে যেত, আমাকে শাসাতো; এভাবে জ্বালাতন করলে পড়াতে আসবে না।
আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বসে থাকতাম। দিন দিন আমার অবসেশন বেড়েই যাচ্ছিলো, আমি বুঝে পারছিলাম এবং আমি আমার অবসেশন কেও ভালোবাসতাম৷
বন্ধুদের আনাগোনা শুরু হলো বাসায়। দেখতে দেখতে পরীক্ষার ডেইটও পড়ে গেলো। রুদ্ধশ্বাস পড়াশোনা।
আমার প্রথম পরীক্ষার আগেরদিন যথারীতি নিদ্র পড়াতে এলো। কিছু সাজেশন দিয়ে সিলেবাস শর্টকাট করে দিবে আরকি।
আমার মাথায় কিছু উল্টোপাল্টা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিলো। সেদিন প্রথম উপলব্ধি করতে পারলাম নিদ্রকে এত বেশীই ভালোবেসে ফেলেছি যে ও এই মুহুর্তে চাইলে আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে দিতে পারবো।
নিত্যদিনের মত খোঁজ খবর নিয়ে ও পড়া দাগিয়ে দিতে বসে গেলো। আমি কতটা সময় ওর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
ও বুঝতে পেরেছিল হয়তো। বইয়ের দিকে চোখ রেখেই জিজ্ঞেস করলো_
-- তাকিয়ে আছো কেন সুপ্ত?
-- তুমি আমাকে একটু আদর করে দিবে নিদ?
সাবলীলভাবে বললাম আমি৷ ও এতদিনে আমার পাগলমোর সাথে পরিচিত হয়ে গিয়েছে । স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর করলো _
-- উল্টোপাল্টা কথা ছেড়ে পড়ার দিকে মন দাও। কাল তোমার পরীক্ষা ।
আমার রাগ লাগলো ওর না বোধক উত্তরে। আমি হুট করে ওর কলার চেপে ধরে কাছে টেনে নিলাম। ও ত্রস্তে সরে গিয়ে উঠে দাঁড়ালো। ভীষণ রেগে বললো_
-- সুপ্ত ডোন্ট বি সো ডেস্পারেট। কন্ট্রোল ইওর সেল্ফ। আদারওয়াইজ আই হ্যাভ টু টেইক আ্যান আ্যাকশন।
এন্ড আজকের পর থেকে তোমায় বাসায় পড়াতে আসবো না আমি। পড়াশোনা তো অলমোস্ট কমপ্লিট। কোনো সমস্যা হলে কল করবে।
আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই চলে গেল সে।
এদিকে আমি দু হাতে মুখ চেপে ধরে ফুঁপিয়ে উঠলাম।
___
নিদ্র সাহেব যে এক কথার মানুষ এটা আমার জানা ছিলো না। আমি ভেবেছিলাম অযথাই হুমকি দিচ্ছে কিন্তু না আমার ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে সে দু'দিন পড়াতে এলো না। ফোন নেই বলে খোঁজ খবরও নিতে পারছি না৷ তখন আমার এক্সাম রানিং, এক্সাম যাতে খারাপ না হয় এজন্য ফোন নিয়ে নিয়েছেন বাপি।
আর দু'দিন বাদে পরিসংখ্যান এক্সাম। মাঝখানে বন্ধ । আমি পরিকল্পনা করলাম সরাসরি নিদ্রর বাসায় যাবো। কিন্তু মা-বাপি আছেন, তারা তো আ্যালাও করবেন না এই অবস্থায় বাইরে যাওয়া!
এক মুহুর্তের জন্য ভাবলাম সব জানিয়ে দিবো কি? তারপর মনে হলো নাহ্, হুটহাট ডিসিশনে এরকম বোকামি করা মানায় না।
বেশ কিছুক্ষণ ভাবনাচিন্তা করে আইডিয়া পেলাম আভার থেকে নোটস নেবার বাহানায় যাওয়া যায়।
লাঞ্চের পর পরই বাপিকে ডেকে বললাম, আজ বিকেলে আমি আভাদের বাসায় যেতে চাই কিছু ইম্পর্ট্যান্ট নোটস কালেক্ট করতে।
বাপি শোনামাত্রই না করে দিলেন, অসুস্থ শরীর নিয়ে বাইরে যেতে দেবেন না। দরকার পড়লে আভাকে নোটস নিয়ে বাসায় ডাকা হবে।
আমি বুঝতে পারলাম আমার এই আইডিয়া ভীষণ উইক। এখন লাস্ট একটা অস্ত্র হলো কান্নাকাটি । বাপিকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করলেই সে রাজি হয়ে যাবে।
শুরু হলো আমার নাকে কান্না। কান্নাকাটি করে যত রকমের ইমোশনাল কথা বলা যায় সব বলতে শুরু করলাম।
আমার চোখের পানি সহ্য করতে পারেন না বাপি। এক নিমেষেই গলে গেলেন।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন_
--"ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে ঠিক করলেনা বাবু। ওকে ফাইন বিকেলে যাবে বাট আমিও তোমার সাথে যেতে চাই"
-- নাহ্ বাপি আমি একা যাবো। গাড়ি করে যাবো
-- কিন্তু..
-- কোনো কিন্তু নয়। আমার কথা না শুনলে আমি মেডিসিন নেয়া বন্ধ করে দিবো।
-- না না। তোমার কথাই রাখা হবে। যেও বাট কেয়ারফুল থাকবে।
সম্মতি পেয়ে আমি খুশি হয়ে বাপির বাহু জড়িয়ে ধরে বললাম_
-- আই লাভ ইউ বাপি। তুমি পৃথিবীর সবচাইতে ভালো বাপি।
বাপি একটুখানি হাসবার চেষ্টা করে বললেন_
"পাগল মেয়ে একটা"
,
এক সপ্তাহ হলো আমাদের বাসায় একজন কাজের মহিলা এসেছেন, দাদু বাড়ির এলাকা থেকে। নাম তার চামেলি। মহিলা বেশ লাজুক স্বভাবের। এক হাত ঘোমটা দিয়ে কাজকর্ম করে। ইনফ্যাক্ট সে খুব রিজার্ভ হয়ে চলাফেরা করে। সিলেক্টেড রুমে তার বিচরণ দেখা যায়।
বাপি যখন বাসায় থাকে তখন সে শুধুমাত্র কিচেন কিংবা আমার রুমেই ক্লিনিং ডাস্টিংয়ের কাজ করে।
আজ বৃহস্পতিবার। বাপি সারাদিন বাসায়। মিস.চামেলি কিচেনেই ব্যস্ত। মাঝেমধ্যে কিচেন থেকে বের হয়ে আমার রুমে এসে জিজ্ঞেস করছে_
"বেবী আপনার কিছু চাই?"
আমার প্রয়োজন হলে বলছি নয়তো না।
নিদ্রর জন্য কিছু রান্না করে নিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে। রান্নাবান্নার দিকে বিশেষ ঝোঁক নেই আমার যদিওবা আমি অনেক ডিশই পারি, আপুর বদৌলতে শিখেছি বাট শখ করেও কখনো প্রিপেয়ার করা হয়নি।
কিন্তু আজ রান্না করবো নিদ্রর জন্য। বাপি-মা রুমে আছেন, এই সময়টাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।
ব্যান্ডেজ লাগানো পা নিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে কিচেনে গিয়ে উপস্থিত হলাম আমি।
চকলেট কেক বানানো যেতে পারে। বেকিং জিনিসটা সহজ, সময়ও কম লাগবে।
কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে । এক পায়ে সমস্ত প্রেশার দিয়ে দাঁড়ানো পসিবল হয়না। একজন হেল্পিং হ্যান্ডের প্রয়োজন। মিস.চামেলিকেই মনে হয় ডাকতে হবে।
কিচেনের পাশের রুমেই উনি থাকেন। গলা উঁচিয়ে ডাকা সম্ভব নয় তাই কষ্ট করেই ওনার রুমে গিয়ে ডেকে আনতে হলো।
আমাকে হাঁটাহাঁটি করতে দেখে উনি ভীত গলায় বললেন_
"বেবী আপনি হাঁটাহাঁটি করতেছেন কেন? আমারে ডাকলেই তো আমি আইসা যাইতাম"
আমি ওনাকে হাতের ইশারায় চুপ করতে বললাম।
শুধু বললাম, কেক বানাতে হবে আপনি প্লিজ হেল্প করুন।
উনি মাথা নেড়ে সম্মতি দিলেন।
ভদ্রমহিলা বেশি একটা কথাও বলে না। পুরোটা সময় আমিই জোর করে করে কথা বললাম।
কেক বানানো যখন শেষ, উনি সবকিছু পরিষ্কার করছেন তখন আমি ওনাকে একটা থ্যাংক্স দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম_
"আপনি আমাকে বেবী সম্বোধন করেন কেন?"
উনি কিঞ্চিৎ হেসে বললেন_
"এর আগে আমি চেন্নাইতে কাজ করতাম। ঐ খানে বাড়ির ছোটো ছেলে/মেয়েরে আমরা বেবী/বাবা বইলা ডাকতাম। এইজন্য আপনারেও ডাকি"
ওনার উত্তরে আমি খানিক বিস্মিতই হলাম, বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই! ব্যাপারটা বিশ্বাস করা কষ্টকর । ওনার কথার টোন টাও ঠিক কাজের মহিলাদের মত নয়। বাপি হুট করে কাজের লোক রেখে কোনো ভুল করলো না তো!
__
নিদ্রদের বাসার উদ্দেশ্যে বেরুলাম বিকেলের দিকে। নর্মাল শার্ট প্যান্ট পরে এলোমেলো অবস্থায় বেরুতে হলো।
বাপি মনে করে ফোনটা দিয়ে দিলেন আর ড্রাইভার মামাকে বিশেষ খেয়াল রাখতে বললেন আমার।
পথেই আমি আভাকে কল করে বললাম গেইটে দাঁড়িয়ে থাকতে, আমি আসছি। হুট করে আসবো শুনে ও তো অবাক।
পরে ওকে সবটা খুলে বলতে হলো। ও হালকা ধমক দিয়ে বললো_"তোরা দুটোই হলি পাগল"
,
আভা জোর করা সত্বেও ওদের ফ্ল্যাটে না গিয়ে সোজা নিদ্রদের ফ্ল্যাটে চলে গেলাম। নিদ্রর বাবা-মা তখন বাসায় নেই। ও নাকি রাগারাগি করে ওনাদেরকে গ্রাউন্ড ফ্লোরে শিফট করে দিয়েছে। বুঝতে পারলাম স্টেপ মম কে ও মেনেই নিতে পারেনি।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আভার সাহায্যে নিদ্রর রুম পর্যন্ত যাই । ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে শুয়ে আছেন মহাশয় । দুদিন থেকে জ্বর আমাকে বলেইনি। মনে মনে ভীষণ রেগে গেলাম ওর উপর।
আভাকে বললাম নক করতে। আভা ভয়ে ভয়ে দু তিনবার নক করতেই ওপাশ থেকে অস্পষ্ট গলা ভেসে আসলো_
-- কে? বলিনি আমায় ডিস্টার্ব না করতে!
-- ভাইয়া আমি, একটু দরজা টা খোলো না প্লিজ?
ভীত গলায় বললো আভা।
নিদ্র ধমকে উঠলো_
-- তুই কি যাবি এখান থেকে?
আমি বুঝলাম এভাবে কাজ হবে না। আভাকে বললাম এক্সট্রা চাবি নিয়ে আয়।
এক্সট্রা চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে বললাম, আমি এসেছি এই কথা যাতে কাউকে না বলে। আভা মাথা নেড়ে চলে গেলো।
দরজা জানালা বন্ধ করে শুয়ে আছে নিদ্র। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বিছানায় ওর পাশে গিয়ে বসলাম।
জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে। ওর কপালে আলতো করে হাত রেখে ভেজা গলায় বললাম_
--"তোমার এত শরীর খারাপ, আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করলে না নিদ্র?"
ও চকিতে তাকালো। অবিশ্বাস্য চাহনিতে আমায় দেখছে। আমি ওর সারা মুখে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। ব্যালকনির থাইয়ে আলোর প্রতিফলন ঘটছে। কিঞ্চিৎ আলোতেই নিদ্রর রক্তিম মুখটা বুঝতে পারছি আমি।
ও আমার ডান হাতটা চেপে আমাকে কাছে টেনে নিলো। আমি ওর বুকে মাথা রেখে ফুঁপিয়ে উঠলাম।
ও ক্ষীণ স্বরে জিজ্ঞেস করলো_
-- অসুস্থ শরীর নিয়ে আসতে গেলে কেন সুপ্ত?
-- আগে তুমি বলো এত জ্বর নিয়ে শুয়ে আছো আমাকে একবার জানালে না কেন? খাবার ঔষধ কিছুই ঠিকমত খাওনি। কিসের এত জিদ তোমার!
নিদ্র মৃদু হাসলো । আমার কোমরে হাত বোলাতে বোলাতে ফিসফিসিয়ে বললো_
-- রাগী বউ হয়ে গিয়েছে আমার সুপ্ত!
ওর তপ্ত নিঃশ্বাস আর উষ্ণ ছোঁয়ায় আমার তনু মনে অজানা শিহরণ বয়ে গেলো। ও যে প্রসঙ্গ পাল্টানোর চেষ্টা করছে তা বুঝতে এক মুহুর্ত দেরি হলো না আমার।
আমি ওর হাত সরিয়ে উঠে বসলাম। চোখের পানি মুছে বললাম_
-- এক বেলাও ঔষধ খাওনি?
ও মাথা নেড়ে না বললো।
-- দেখি একটু ওঠো। আমি তোমার জন্য কেক বানিয়ে এনেছি একটু টেস্ট করে বলো তো কেমন হয়েছে?
ও ধীরে ধীরে উঠে বসলো।
-- তুমি এনজিওরড পা নিয়ে কেক বানিয়েছো?
-- হ্যাঁ। তোমার তো আমার প্রতি কোনো টান নেই কিন্তু আমার তো আছে। তুমি দু'দিন যাবৎ আসছো না, কল করছো না এজন্য আমাকেই আসতে হলো তোমায় এক পলক দেখে চোখের তৃষ্ণা মেটাবো বলে।
-- আমার প্রেয়সী এত তৃষ্ণার্থ, এক পলক চোখের আড়াল হলেই অস্থির হয়ে যাচ্ছে !
ঠোঁট কামড়ে হাসছে নিদ্র। আমি রেগে ওর গলায় গায়ের জোরে একটা কামড় বসিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললাম_
-- তুমি তো শুধু মজা নিতেই পারো। আমার ভালোবাসা তোমার কাছে মজাই।
ওর হাসি বেড়ে গেলো। পুনরায় আমায় কাছে টেনে নিয়ে কপালে একটা চুমু খেয়ে প্রশ্ন করলো_
-- আমি কি তোমায় ভালোবাসিনা?
-- উঁহু একদমই না। সবসময় আমার থেকে দূরে দূরে থাকো।
-- দূরে দূরে না থাকলে তোমার যে পাগলামি বেড়ে যাবে। সামলাবো কি করে এই জিদ্দি মেয়েটাকে!
-- সামলাতেই হবে?
-- আমার শুভ্র গোলাপটাকে অপবিত্র করতে ভীষণ বাঁধবে যে..
আমি ছলছল নয়নে তাকালাম ওর দিকে। ওর চোখের কোনেও পানি।
-- ভালোবাসার অনুভূতিটা এত অদ্ভুত কেন নিদ?
-- ভালোবাসা শব্দটাই তো রহস্যময় সুপ্ত। আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। এত ভারী শব্দের রহস্য উদঘাটন আমার দ্বারা হয়তো সম্ভব নয়।
চলবে,
sinin tasnim sara
YOU ARE READING
এক মুঠো গোলাপ
Mystery / Thrillerশুচিস্মিতা কবির সুপ্ত। সর্বদা নিজ জীবন চক্রকে জটিল ভেবে এসেছে। এক সময় তার জীবন সম্পর্কে জটিল ধারণাগুলোকে ভুল প্রমাণ করে জীবনের মানে শেখাতে এসেছিল একজন। জীবন নামক বর্ণহীন আকাশে হুট করে শত রঙের প্রজাপতি ডানা মেলে উড়তে শুরু করেছিল। সকল জড়তা কাটিয়ে বর্ণ...