পর্ব-১

2.5K 14 2
                                    

চারিদিকের ঘন অরণ্যের দিকে তাকিয়ে বুকটা ভয়ে কেঁপে উঠলো কথার। ঘুরতে ঘুরতে আবার সেই একজায়গায় চলে এসেছে। কী করে এই ঘন অরণ্য থেকে বেরোবে ও। আর কিছুক্ষন পরেই সূর্য অস্ত যাবে তখনতো অরণ্যের পরিবেশ আরও ভয়ঙ্কর হয়ে যাবে। ভয় আর চিন্তায় মাথাটা যন্ত্রনায় ছিঁড়ে যাচ্ছে তারওপর তলপেটে এই অসহ্য যন্ত্রনা। আর নিজের দুর্বল শরীরটাকে ধরে রাখতে পারলোনা কথা। জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে গেল।
.
.
.
তাঁবুটা ঠিকঠাক করে সেট করে শান্তি হলো রনোর। সোলো ট্রেকিং ঠিক যতটা এডভেঞ্চারে পরিপূর্ণ ঠিক তেমনই পরিশ্রমটাও বেশি। গ্ৰুপের সাথে এলে সবাই কাজ ভাগ করে নেয় কিন্তু এক্ষেত্রে নিজেকেই সব করতে হচ্ছে। তবে এই নিয়ে অরণ্যের মনে কোনো আক্ষেপ নেই। সবার সাথে আসলে অরণ্যের এই আদিম নির্জনতাকে কখনোই অনুভব করা হতোনা ওর।
চারপাশের নৈসর্গিক অরণ্য প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে মুখে হাসি ফুটে উঠলো রণের। দারিংবাড়িতে ট্রেকিং করতে আসার সিদ্ধান্তটা যে একদম ঠিক হয়েছে তা ওর ঠোঁটের কোণে ফুটে ওঠা হাসিটাই তার প্রমান।

অরণ্যের ফাঁক থেকে উঁকি মারা আস্তগামী সূর্যের দিকে তাকিয়ে জলের কন্টেনারটা হাতে তুলে নিলো রণ। সূর্য ডোবার আগেই জল ভরে আনতে হবে। সোলো ট্রেকিং এর এটাই প্রথম শর্ত সূর্য ডোবার পর ক্যাম্প ছেড়ে যাওয়া যাবেনা। এখানে ক্যাম্প ফেলার আগে গতকাল গাইডের সাথে এসে জায়গাটা ভালো করে দেখে গিয়েছিলো তাই পানীয় জলের উৎস ছোট নদীশাখাটাকে খুঁজে পেতে খুব একটা অসুবিধা হলোনা।
জল ভরে ক্যাম্পে ফিরছিল রণ এই সময় একটা হালকা গোঙ্গানির আওয়াজ ওর কানে আসায় সন্তর্পনে  সেদিকে এগিয়ে গেলো।ঝোপঝারের আড়ালে পড়ে আছে একজন কিশোরী। তাড়াতাড়ি মেয়েটার কাছে গিয়ে ওর চোখেমুখে জলের ঝাপ্টা মারলো রণ। মেয়েটি তাতেও চোখ না খোলায় ইতস্তত করে মেয়েটার গালে হাত দিয়ে ডাকতে গিয়ে বুঝলো জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে মেয়েটার। এই অবস্থায় মেয়েটাকে নিয়ে ক্যাম্পে ফেরাই ঠিক মনে করলো রণ তারওপর সন্ধ্যাও হয়ে যাচ্ছে। তাই আর দেরি না করে জলের কন্টেনারটা নিজের কোমরে থাকা দড়ি দিয়ে বেঁধে এককাঁধে ঝুলিয়ে নিয়ে মেয়েটাকে কোলে তুলে নিলো।
ক্যাম্পে ফিরে তাঁবুর মধ্যে থাকা স্লিপিং ব্যাগে মেয়েটাকে শুইয়ে দিলো রণ। সূর্য ডুবে গেলেও এখনো তার আলো সম্পূর্ণ নিঃশেষ হয়ে যেতে কিছুটা বাকি আছে আর সেই অল্প আলোতেই এতক্ষনে ভালো করে মেয়েটাকে লক্ষ্য করলো রণ।
কত বয়স হবে মেয়েটার তেরো কী চোদ্দ। শৈশব পেরিয়ে সবে কৈশোরে পদার্পন করেছে। ঠিক কুঁড়ি আর সম্পূর্ণ ফোটা ফুলের মধ্য অবস্থা যার মধ্যে মাধুর্য আছে ঠিকই কিন্তু মাদকতা নেই। গোধূলি আলো মেয়েটার পানপাতার মতো মুখশ্রীর ওপর পড়ে তার নিষ্পাপতা এবং মাধুর্যতাকে কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। সেইদিকে বিভোর হয়ে তাকিয়ে ছিল রণ। কিন্তু হটাৎ করে ঘর ফেরতা পাখিগুলোর ডাকে ওর মুগ্ধতা ভঙ্গ হয়। মেয়েটার মুখ থেকে নজর সরিয়ে ওর শরীরের দিকে নজর দিয়ে আঁতকে ওঠে রণ। সারাশরীরে আঘাতের চিহ্ন তারওপর ওর পরনের জিন্সটাও রক্তে ভিজে গেছে।
'ওহঃ গড ওর সাথে কী কেউ মিসবিহেব করেছে। না এখন এইসব ভাবতে গেলে হবেনা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওকে প্রয়জনীয় ওষুধগুলো খাওয়াতে হবে।'

রণ তাড়াতাড়ি আগুন জ্বালিয়ে জল গরম করে নিয়ে তাতে এক স্কুপ প্রোটিন পাউডার গুলে নিলো। তারপর মেয়েটিকে প্রোটিন শেক আর প্রয়োজনীয় ওষুধ খাইয়ে দিয়ে ওর ক্ষতগুলো পরিষ্কার করে মলম লাগিয়ে দিলো। কিন্তু সমস্যা হলো ওর জিন্সর ওপর ফুটে ওঠা রক্তের দাগ আরও বাড়ছে তাও রণ কিছু করতে পারছেনা। এতো ব্লাড লস হলে মেয়েটাকে বাঁচাতে পারবেনা অথচ কারও অনুমতি ব্যাতিত তার প্রাইভেট অর্গানে হাত দেওয়ার প্রবৃত্তিও হলোনা ওর। কী করবে না করবে এইসব ভাবতে যখন রণ অস্থির ঠিক তখনই মেয়েটা চোখ খুলে তাকাতে স্বস্তির নিঃস্বাস ফেললো ও।
.
.
.
চোখ খুলে নিজের সামনে একজন অপরিচিত ছেলেকে দেখে ভয়ে কিছুটা কুঁকড়ে গেলো কথা। ছেলেটি সম্ভবত ওর মানসিক অবস্থাটা বুঝতে পেরে ওকে কমফোর্টেবল ফীল করানোর চেষ্টা করলো।

-প্লিজ একটু শান্ত হও আমাকে ভয় পাওয়ার কোনো দরকার নেই। তুমি কী কোথাও পড়ে গিয়েছিলে তোমার ওখানে কী আঘাত লেগেছে।
একজন অচেনা পুরুষের সামনে নিজের বর্তমান অবস্থা কী করে বর্ণনা করবে সেটা ভেবেই লজ্জায় মাথা নিচু করে নিলো কথা।

ভ্রু কুঁচকে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকলো রণ। আঘাত লেগেছে কিনা সেটাই তো জিজ্ঞাসা করেছে তাতে এতো লজ্জা পাওয়ার কী আছে!! হঠাৎ করে মেয়েটার বয়োসটা মাথায় আসতে ওর লজ্জার কারণটা অনুধাবন করতে পারলো। তাড়াতাড়ি গজকাপড় আর তুলো দিয়ে একটা কাজ চালানোর মতো ব্যবস্থা করে একটা দড়ি আর নিজের টিশার্ট ওর হাতে দিয়ে বাইরে থেকে চেঞ্জ করে আসতে বললো।

'তোমার কাছে স্যানিটারি ন্যাপকিন নেই।'
বাইরে থেকে মেয়েটার গলা ভেসে আসতে হাসি পেয়ে গেলো রণর। হ্যাঁ ট্রেকিংয়ের অন্যতম প্রধান শর্ত হলো ফার্স্টটেড বক্সের মধ্যে প্রয়োজনীয় মেডিকেটেড জিনিস রাখতে হবে কিন্তু তা বলে স্যানিটারি ন্যাপকিন!! নিজের চুলের মধ্যে একবার হাত বুলিয়ে বিড়বিড় করে বললো
-এইবার থেকে মনে হচ্ছে ওটাও সাথে রাখতে হবে।
.
.
.
এটা আমার ফার্স্ট স্টোরি আশা করছি সবাই সাপোর্ট করবেন।

লাভ মি লাইক ইউ ডু 🔞Where stories live. Discover now