পর্ব-১৩

492 7 0
                                    

আগের পর্বের পর...

দেখতে দেখতে কেটে গেছে একটা মাস আর দুদিন পরই অরণ্যর ড্রিম প্রজেক্ট "লাজবন্তিস" ড্রেসিং এন্ড জুয়েলারী হাউসের ফার্স্ট ফ্যাশন ইভেন্ট। মন্দারমণি সি বিচের কাছে আরবান ভিলা নামের একটি ইকো রিসর্টে এই ফ্যাশন ইভেন্টটা অনুষ্ঠিত হবে।
মডেলদের ৱ্যাম্প ওয়াকের জন্য রিসর্টের পার্শবর্তী সিবিচে ওপেন স্টেজ তৈরি করা হয়েছে। এই স্টেজের ডেকোরেশনের জন্য এ. বি ইন্ডাস্ট্রিস একটি লোকালি ফেমাস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার সাথে টাইআপ করেছে। ওরা আজ সকাল থেকেই মঞ্চের কাজ শুরু করে দেবে। তাই অরণ্য নিজের এস ইউ ভি নিয়ে ভোর সাড়ে চারটায় মন্দারমণির উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়েছে। ওর সাথে কথাও মন্দারমণি যাবে তাই অরণ্যর আপাতত কথাকে পিকআপ করতে এসেছে।
অরণ্য এসে ডোরবেল বাজালে কথার মা রোমিতা দেবী এসে দরজা খুলে অরণ্যকে ভিতরে আসার অনুরোধ জানালো।
-আসো বাবা ভিতরে এসে বসো।
-না না আন্টি আজকে একটুও বসার সময় নেই আমি অন্যকোনোদিনও আসবো বরঞ্চ। রূপকথাকে যদি একটু ডেকে দেন।
-হ্যাঁ হ্যাঁ এক্ষুনি ডাকছি।
-আর ডাকাডাকি করার দরকার নেই, আমি এসে গেছি। আচ্ছা মা শোনো তোমার ওষুধগুলো মনে করে খেয়ে নিও আর সময়মতো খাবার খেয়ে নেবে। আমি থাকছিনা এই বলে অনিয়ম করবে সেটা হচ্ছেনা বুঝেছো, আমি ভাইয়ের থেকে সব খবর নেবো।
-আচ্ছা বাবা সব বুঝেগেছি। নে নে এবার তুই বেড়িয়ে পর অতটা রাস্তা আবার যেতে হবে বেলা হওয়ার আগে পৌঁছে যাওয়াই ভালো।
-আচ্ছা মা আসছি তাহলে।
কথা এগিয়ে এসে ওর মাকে প্রণাম করে। ওর দেখাদেখি অরণ্যও এগিয়ে এসে ওনাকে প্রণাম করে।
-তাহলে আজ আসছি আন্টি। অন্য একদিন এসে আপনার স্পেশাল লেবু চাটা খাবো নাহয়, আজ আপাতত ওটা ডিউ থাকলো।
রোমিতা দেবী ওদের দুজনকে আশীর্বাদ করে বললেন
-হ্যাঁ হ্যাঁ বাবা অবশ্যই। আশীর্বাদ করি যাতে তোমাদের কাজ সফল হয়।
ওনাকে বিদায় জানিয়ে দুজনে গাড়িতে উঠে বসলো।অরণ্যর গাড়িটা এগিয়ে গেলো মন্দারমণির পথে।
.
.
.
অরণ্য ইতিমধ্যেই দুঘন্টার পথ অতিক্রম করে ফেলেছে। তবে মন্দারমণি পৌঁছাতে আরও দুঘন্টা লাগবে যার জন্য একটু রিফ্রেশমেন্ট হিসাবে চা বা কফি দরকার এখন তাই অরণ্য সামনে হাইওয়ের পাশে একটি ধাবা দেখে গাড়িটা থামালো।
কথা গাড়িতে ওঠার চালু হওয়ার পরই ঘুমিয়ে পড়েছে। অরণ্যর গাড়িটা ঝাকুনি দিয়ে থামার পরেও কথার ঘুম ভাঙার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা দেখে ওকে ঘুম থেকে তোলার জন্য অরণ্যর মাথায় একটা মিষ্টি দুস্টুমি বুদ্ধি খেলে গেলো।
ও গাড়ির উইন্ডোর কাঁচগুলো তুলে দিয়ে নিজের সিটবেল্টটা খুলে কথার দিকে ঝুঁকে আসলো তারপর ওর গালে হালকা চাপ দিয়ে ঠোঁট দুটোর মধ্যে একটু স্পেস বানিয়ে সেগুলোকে নিজের ঠোঁটের দখলে নিয়ে নিলো।
ঘুমের মধ্যে হালকা শ্বাস কষ্ট হওয়ায় ঘুমটা ভেঙে গেলো কথার। ঠোঁট দুটোকে ফাঁক করে শ্বাস নিতে চাইলে বুঝতে পারলো সেগুলো আপাতত অন্যজনের দখলে। ও নিজেও বাঁধা পড়ে আছে দুটি শক্ত বাহুর মধ্যে। ঘুমটা সবেমাত্র কাটায় কয়েক সেকেন্ড সময় লাগলো নিজের অবস্থান বুঝতে আর তাতেই তার ঘুমের হ্যাংওভার সম্পূর্ণ ভাবে বিদায় নিলো। বড়ো বড়ো চোখ করে তাকালো অরণ্যের দিকে। যদিও অরণ্যের তাতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই সে এখন চোখ বন্ধ করে প্রেয়সীর নরম ঠোঁটের স্বাদ গ্রহণে ব্যাস্ত।

লাভ মি লাইক ইউ ডু 🔞Where stories live. Discover now