পর্ব-৭

799 6 2
                                    

আগের পর্বের পর...

-স্যার আসবো।
-হুম।
অরণ্যের পারমিশন নিয়ে ভেতরে এলো রাহুল। তারপর হাতে থাকা ট্রেটা অরণ্যের টেবিলে নামিয়ে রেখে বললো
-স্যার ইওর কফি এন্ড ব্রেকফাস্ট।
-ও থ্যাংকস।
-স্যার মে আই গো নাউ?
অরণ্য রাহুলের প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে হাতে থাকা ফাইলটা টেবিলে নামিয়ে রেখে বললো
-সো রাহুল আমার অ্যাসিস্ট্যান্টের জবটা করতে তোমার কেমন লাগছে?
অরণ্যর এরকম প্রশ্নে রাহুল কয়েক সেকেন্ড থতমত হয়ে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো। তারপর আমতা আমতা করে বললো
-স্যার ক.. কথা আই মিন মিস রূপকথা তো আপনার অ্যাসিস্ট্যান্ট।
-তুমি যদি জানোই যে রূপকথা আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট তাহলে সকাল থেকে যতবার ওকে ডাকছি তুমি এসে হাজির হোচ্ছ কেন। তোমরা দুজনে মিলেকি আমাকে মজার পাত্র পেয়েছো। আনসার মি।
রাগী স্বরে বললো অরণ্য।
-স্যার বিশ্বাস করুন এতে আমার কোনো দোষ নেই ওই কথাই আমাকে এইসব ফাইল ব্রেকফাস্ট আপনার কাছে পৌঁছে দিতে বলেছিলো। আর আমি রাজি হচ্ছিলামনা বলে আমাকে ইমশনালি ব্ল্যাকমেল করেছে ও।
কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো রাহুল।
ছেলেটাকে দেখে বেশ হাসি পেলো অরণ্যের বেচারা এবার বোধহয় কান্নাকাটি শুরু করে দেবে। নিজের মনোভাব লুকিয়ে স্বরটা একটু গম্ভীর করে বললো
-ওকে আই সি। আচ্ছা ঠিক আছে তুমি এখন যেতে পারো।
-আসছি স্যার।
রাহুল কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলে শব্দ করে হেসে ফেললো অরণ্য। কালকে ওদের মধ্যে ঘটা রোমান্টিক মোমেন্টটায় কথা যে বেশ লজ্জা পেয়ে গেছে তা বুঝলো অরণ্য। তাই ওর সাথে লুকোচুরি খেলতে গিয়ে বেচারা রাহুলকে ফাঁসিয়ে দিলো।
"না ম্যাডাম আজকে সোজা কথায় ধরা দেবেন না বাঁকা পথই নিতে হবে মনে হচ্ছে।"
.
.
.
"মন একে একে দুই
একাকার আমি তুই
আর না চোখ ফিরিয়ে, একটু হাস।"

কথা নিজের কেবিনে বসে কোম্পানির আপকামিং প্রজেক্টটার ব্যাপারে স্টাডি করছিলো এইসময় ওর ফোনটা বেজে উঠলো। শ্রেয়া ঘোষালের কণ্ঠে নির্দিষ্ট রিংটোনটা বেজে উঠতে কথা খুব ভালো করেই বুঝতে পারল কে ফোন করেছে। কালকের কথাগুলো মনে করে লজ্জায় গালগুলো আবার লাল হয়ে উঠলো।
-হ্যা.. হ্যালো..
কথা কিছু বলার আগেই ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে অরণ্যর রাগী কণ্ঠস্বর শোনা গেলো
-কালকের শাস্তিটা মনে হচ্ছে কম পড়ে গেছে। তাই আজ তুমি আবার ডিসওবিডিয়েন্ট বিহেভিয়ার করছো।
-না.. স্যার মানে..
-কোনো এক্সকিউজ দেওয়ার চেষ্টা করবেনা। কাম টু মাই কেবিন উইথইন ফাইভ মিনিটস্ উইথ দি লাস্ট প্রজেক্ট ফাইল। আর হ্যাঁ, যদি রাহুল বা অন্য কাউকে তোমার বদলে পাঠিয়েছ, আই সওয়্যার রূপকথা তাকে ফায়ার করবো আর তার জন্য দায়ী তুমি থাকবে।
.
.
ফোনটা কেটে একটা টেডি স্মাইল দিলো অরণ্য। যা ঝাড় দিয়েছে ম্যাডাম এবার কোনো দিকে না তাকিয়ে সোজা ওর কেবিনে আসবে।
.
.
.
অরণ্যর কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে দরজায় দুবার নক করলো কথা।
-হু ইস দেয়ার?
-রূপকথা।
-কাম ইন।
কথা হাতে থাকা ফাইলটা অরণ্যর দিকে এগিয়ে দিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলো। বেচারি এতটাই লজ্জা পেয়ে আছে যে অরণ্যর দিকে ঠিক করে তাকাতেও পারছেনা।

-আমাকে কী আজকে খুব খারাপ দেখতে লাগছে?
অরণ্যর হঠাৎ করে প্রশ্নটা করলো কথাকে। জবাবে কথা কিছুক্ষন অরণ্যর দিকে তাকিয়ে থেকে মাথাটা আবার নীচের দিকে ঝুঁকিয়ে বললো
-ভা..লোই তো লাগছে স্যার।
-তাহলে তুমি নীচের দিকে তাকিয়ে আছো কেন। আমার দিকে তাকাও। জাস্ট লুক ইনটু মাই আইস।

তাও রূপকথা অরণ্যের কথা না শুনলে অরণ্য নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে গিয়ে কথার সামনে দাঁড়ালো। তারপর ওর দুইহাত দিয়ে হালকা করে কথার গালদুটো ধরে ওর মুখটা তুলে চোখে চোখ রেখে বললো
-কী হয়েছে তোমার কথা। তোমার মধ্যে সেই কনফিডেন্ট কর্পোরেট লেডিটা কোথায় যে পার্সোনাল এন্ড প্রফেশনাল লাইফয়ের বাউন্ডারিটা জানে।
ইয়েস আই এগ্রি কালকে আমি একটু হটকারিতা দেখিয়ে ফেলেছি। বাট যেটা হয়েছে সেটাতে আমাদের দুজনের সম্মতিই ছিল বিকস উই লাভ ইচ আদার তো সেটা নিয়ে লজ্জা পাওয়ার কিছুই নেই বুঝেছো।

কথাগুলো বলে অরণ্য কথার কপালে ছড়িয়ে থাকা অবাধ্য কুচো চুলগুলোকে নিয়ে সযত্নে ওর কানের পাশে গুঁজে দিয়ে নিজের নিকোটিন আসক্ত ঠোঁটদুটো  ওর কপালে স্পর্শ করালো।
তারপর আবার বললো
-আমি যেন আর কোনোদিন তোমাকে আমার সামনে মাথা নিচু করে না দেখি বুঝেছো।
-হুম।
কথা হালকা হেসে বললো।
-তাহলে আমাদের নতুন প্রোডাক্টের এডভার্টিসমেন্টের জন্য যে শুটটা হবে তার ব্যাপারে কথা বলা যাক।
-ইয়েস স্যার।
কথা কনফিডেন্সের সাথে বললো।
.
.
.
❤️ক্রমশ❤️

লাভ মি লাইক ইউ ডু 🔞Where stories live. Discover now