আগের পর্বের পর...
কেবিনে লাগানো এন্টিক দেওয়াল ঘড়িটার দিকে তাকালো অরণ্য। কথার আসতে এখনো দশ মিনিট দেরি আছে। মেয়েটা ওর বলে দেওয়া এক্সাক্ট টাইমেই এসে মিট করবে। না একমিনিট আগে না একমিনিট পড়ে। হ্যাঁ মাঝে মাঝে অফিসে আসতে লেট করে ঠিকই বাট একবার অফিসে ঢুকে গেলে প্রত্যেকটা কাজ টাইম বাই টাইম মেইনটেইন করে। আর সেটা হবেনাইবা কেন অরণ্য নিজে ট্রেনিং দিয়ে কথাকে এই কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডের উপযুক্ত করে তুলেছে। ও নিজেও তো টাইম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারে খুবই সচেতন।
যদিও কথার এই মাঝে মাঝে লেট করার কারণটা খুব ভালো করেই জানে অরণ্য। অসুস্থ মা আর ছোট ভাইকে নিয়ে ওর সংসার। তাই চাকরির সাথে সাথে বাড়ির ছোট বড়ো সমস্যাও ওকে সামলাতে হয়। মায়ের হেলথ চেকাপের এপয়েন্টমেন্ট নেওয়া থেকে শুরু করে ভাইয়ের স্কুল-কোচিংয়ের ফীস জমা করা সবটাই নিজেকেই সামলাতে হয়।
অরণ্য কথার পরিস্থিতিটা জানলেও ও হেল্পলেস। ও যদি কথার এই ছোটো ছোটো ভুলগুলোকে ইগনোর করে দিতো এর জন্য ওকে বকাবকি না করতো তাহলে অন্য কর্মচারীরা ভাবতো ও কথাকে বেশি প্রেফারেন্স দিচ্ছে। যার ফলে অন্য কর্মচারীদের কথার প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি হতো। এমনকি ওদের দুজনকে কেন্দ্র করে উল্টোপাল্টা রুমারস্ ছড়াতেও পারতো।
আর অরণ্য কখনো চায়না যে ওর আর কথার সম্পর্কটাকে কেউ কালিমালিপ্ত করুক। সেটা অরণ্য সহ্য করে নিলেও কথা পারতোনা। মেয়েটার মনটা যে বড্ড নরম।
তাইতো অরণ্য বাধ্য হয়েছে কথার ওপর কঠোর হতে।যেদিন প্রথম কথা ওর অফিসে এসেছিলো ইন্টারভিউ দিতে সেদিন অরণ্য কথাকে চিনতে পারলেও আর পাঁচটা সাধারণ ক্যান্ডিডেটের মতোই কথার ইন্টারভিউ নিয়েছিল। যেখানে কথার স্বচ্ছতা এবং নতুন জিনিস শেখার ইচ্ছা অরণ্যকে ইমপ্রেস করেছিল।
বাকি ক্যান্ডিডেটদের ওর পার্সোনাল বাউন্ডারি ক্রস করে সিডিউস করার চেষ্টা অরণ্যর একদম পছন্দ হয়নি। তাই কথার থেকে আরও হাইয়ার স্টাডি করা কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে এক্সপেরিয়েন্সড ক্যান্ডিডেট থাকলেও ও কথাকেই বেছে নিয়েছিল নিজের সেক্রেটারি হিসাবে।
প্রথম দিনেই নিজের রূপকে চিনে নিতে পারলেও অরণ্য আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করেছিল কথাকে নিজের উপযুক্ত করে তুলতে। যাতে ও যেদিন সবার সামনে কথাকে নিজের লাইফ পার্টনার হিসাবে ইন্ট্রোডিউস করাবে তখন যেন সবাই এটা বলে যে বিজনেস টাইকুন এ. বি নিজের যোগ্য জীবনসঙ্গিনী নির্বাচন করেছেন।
.
.
.
চোখে মুখে জলের ঝাপ্টা দিয়ে ওয়াশরুমের বড়ো আয়নাটায় নিজের প্রতিবিম্বটা দেখলো কথা। ঠোঁটদুটো এখনো ফুলে আছে। কাঁপা কাঁপা হাতে ঠোঁটের ওপর হাতটা দিতেই শরীর জুড়ে একটা ঠান্ডা শিহরণ বয়ে গেলো। অরণ্য কেবিনে ঘটে যাওয়া কিছুক্ষন আগের ঘটনাটা ওর চোখের সামনে ফুটে উঠলো।
.
.
.
কিছুক্ষন আগে..
YOU ARE READING
লাভ মি লাইক ইউ ডু 🔞
Romanceচারিদিকের ঘন অরণ্যের দিকে তাকিয়ে বুকটা ভয়ে কেঁপে উঠলো কথার। ঘুরতে ঘুরতে আবার সেই একজায়গায় চলে এসেছে। কী করে এই ঘন অরণ্য থেকে বেরোবে ও। আর কিছুক্ষন পরেই সূর্য অস্ত যাবে তখনতো অরণ্যের পরিবেশ আরও ভয়ঙ্কর হয়ে যাবে। ভয় আর চিন্তায় মাথাটা যন্ত্রনায় ছিঁড়ে যা...