পর্ব-২২(অন্তিম পর্ব)

902 11 0
                                    

দেখতে দেখতে কেটে গেছে একটা মাস আর একটা দিন পেরোলেই অরণ্য আর রূপকথার শুভবিবাহ। বিশ্বাস ভিলার গার্ডেনেই ওদের বিয়ে আর গ্র্যান্ড রিসেপশনের আয়োজন করা হয়েছে।
যদিও আইনতভাবে বিয়েটা ওদের একমাস আগেই হয়ে গেছে কিন্তু সামাজিকভাবে সমস্ত নিয়ম মেনে অগ্নিকে সাক্ষী রেখে ওদের বিয়েটা কাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
.
.
.
.
আসলে কথার প্রেগন্যান্সির নিউসটা জানার পরই অরণ্য আর একমুহূর্তও ওকে নিজের কাছছাড়া করতে চাইছিলোনা তাই ও ঠীক করেছিল যত শীঘ্র সম্ভব কথাকে নিজের ঘরণী করে আনবে।
কিন্তু সেখানে সমস্যা দেখা যায় যে, একমাসের আগে বিয়ের জন্য কোনো শুভদিন ছিলোনা।
যদিও কথাকে সাতজন্মের জন্য নিজের করে নেওয়ার যেকোনো দিনই অরণ্যের কাছে শুভদিন হিসাবে পরিগণিত হলেও... বিশ্বাস এবং সেনবাড়ির কেউই ওর এই যুক্তিকে সমর্থন জানায়নি... কারণ ওদের দুজনের সাথে এখন একটা ছোট্ট প্রাণও জড়িয়ে আছে তাই শুভ-অশুভ ব্যাপারটা সবাই মানতে চেয়েছিল। সন্তানের মঙ্গল-অমঙ্গলের কথা ভেবে রূপকথাও বড়োদের কথাই মেনে নিয়েছিল।

তাই সবদিক বিচার করে শেষপর্যন্ত অরণ্য সিদ্ধান্ত নেয় যে ও আপাতত রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে কথাকে নিজের কাছে নিয়ে আসবে আর বাড়ির বড়োদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একমাস পরেই ওদের ধর্মীয় মতে বিয়েটা হবে।
.
.
.
.
আজ অরণ্য আর কথার আইবুড়োভাত। সকাল থেকেই বিশ্বাস বাড়ি আত্মীয় স্বজনে একেবারে গমগম করেছে।
.
.
.
-রূপ... রূপ তোমাদের সাজগোজ কমপ্লিট হোলো??.... আর কতো সময় লাগাবে বলতো তোমাদের রেডি হতে?

নিজের বেডরুমের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে রূপকথা রোশনি আর ওর দুই পিসতুতো বোনের উদ্দশ্যে কথাগুলো বললো অরণ্য। বেডরুমটা ওর হলেও এইকয়েকটা দিন ও নিজের রুম থেকেই বিতাড়িত কারণ সেটা আপাতত বাড়ির কমবয়সি মহিলা মহলের সাজঘরে রূপান্তরিত হয়েছে।

-উফ্ফ অরি শান্তিতে রেডি হতে দে তো আমাদের। এই নিয়ে কম করে চারবার ডাকাডাকি করলি।
মানছি নিজের বউকে দেখার জন্য তোর আর তর সইছেনা কিন্তু তার জন্য আর দশমিনিট প্লিজ অপেক্ষা কর ভাই।
ঘরের ভিতর থেকে রোশনির ঠাট্টামূলক স্বর ভেসে এলো।

লাভ মি লাইক ইউ ডু 🔞Where stories live. Discover now