বিয়ের সিদ্ধান্ত যেহেতু হয়েই গেছে, সবাইকে এখন পরিচিত বলেই ধরা হবে।
হাহ্, কথাটা একটু অদ্ভুত শোনাচ্ছে...
এভাবে, পরের দুইদিন ওয়ে ওয়ে মিস্টি হাসির সাথে ঘোরাফেরা করে এমনকি মিস্টি হাসির প্রতিদিনের পার্টিতেও যোগ দেয়। মিস্টি হাসির পার্টিতে শুধুই মাস্টারদের সমাগম। এদের মধ্যে কেউ কেউ যদিও ওয়ে ওয়ের সাথে পিকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলো, তবে ওয়ে ওয়ে শুধু তাদের আইডির নামেই চেনে।
ওদের সঙ্গে ওয়ে ওয়ের প্রথম দেখাটা এরকম ছিলো-
মাতাল বানরঃ "হো হো, নতুন মানুষ।"
পাহাড়ে চড়া ইউগংঃ "মিস্টি হাসি, মেয়েটা কে?"
মিস্টি হাসিঃ "আমার বাগদত্তা।"
কথাটা খুব স্বাভাবিকভাবেই বললো। ওয়ে ওয়ে কিছুক্ষণের জন্য হতবাক হয়ে যায়, আর তারপর একটি হাসিমুখের ইমোজি দিয়ে লিখেঃ "হাই, সবাই ^_^"
আমাকে মেরো নাঃ "ওয়াও, সেজো ভাবী।"
পাহাড়ে চড়া ইউগংঃ "এ কী, দশ হাজার বছর ধরে থাকা চিরকুমারও কিনা বিয়ে করছে"
সবাই একসঙ্গে কথা বলতে বলতে ওদেরকে নিয়ে মজা করতে থাকে এবং অভিনন্দন জানায়।
হঠাত একজন বলে ওঠেঃ "সেজো ভাবীর আইডিটা কেমন পরিচিত মনে হচ্ছে।"
"বলছো যখন, আমারও তাই মনে হচ্ছে। সেজো ভাবী কি লীডারবোর্ডে আছে?"
মাতাল বানর সরাসরিই বলে ফেললোঃ "মনে পড়েছে। নম্রতা, শুদ্ধজলের প্রাক্তন স্ত্রী না?"
পার্টিতে হঠাত নিরবতা নেমে এসে পরিবেশটাকে কেমন অদ্ভুত করে তুললো। ওয়ে ওয়ে যখনই বলতে যাবে যে তারা শুধুমাত্র পিকে প্রতিযোগিতার জন্য বিয়েটা করতে যাচ্ছে, সে দেখলো, মিস্টি হাসি স্পষ্টভাষায় একবাক্যে লিখে দিয়েছেঃ "হুম, তোদের সেজো ভাবী আসলে আগে একটা ভুল মানুষকে বিয়ে করেছিলো। ওকে কেউ অসম্মান করবি না।"
ওয়ে ওয়ের গলায় আলুর চিপস আটকে গেলো।
তখন থেকে ওয়ে ওয়ে শুধু একটা ব্যাপারেই সতর্ক থাকে - মিস্টি হাসির সঙ্গে যখনই দানবের বিরুদ্ধে লড়াই করে অথবা গেমের ধাপ সম্পন্ন করে, কখনই সে নাস্তা বা পানি খায় না। নয়তো, যখনই সে আশ্চর্যজনক কিছু বলে, হয় ওর গলায় খাবার আটকে যায়, আর নয়তো মুখ থেকে পানি ছিটকে মনিটরে গিয়ে পড়ে।
YOU ARE READING
Mridu Hashitei Mugdho (মৃদু হাসিতেই মুগ্ধ)
Romanceকোন বিষয়টি প্রথম দেখায় ছেলেদেরকে মেয়েদের প্রেমে পড়তে বাধ্য করে? সৌন্দর্য? দীপ্তি? নাকি সম্পত্তি? না, ক্যাম্পাসের সবচেয়ে সুদর্শন ছেলে এবং দক্ষ গেমার শাওনাই যখন প্রথমবার বে ওয়ে ওয়েকে দেখেছিলো, ও কিন্তু মেয়েটির অসাধারন সৌন্দর্যের প্রেমে পড়েনি, পড়েছিলো...