পরচর্চার বেলায় 'ঝড়ের দেবী'র টাইপিং এর গতি দ্বিগুণ বেড়ে যায়; সাথে সাথেই আর একটা ম্যাসেজ আসেঃ "ওরা দুজনেই 'বি' শহরে আছে। কাকতালীয় ব্যাপার। ওয়ে ওয়ে, তুমিও কি সেখানে আছো?"
ওয়ে ওয়েঃ "হুম, আমি 'বি' শহরে পড়াশোনা করছি।"
এটা অতটাও কাকতালীয় ব্যাপার নয়। ওরা যে সার্ভারে আছে তার নাম, "উত্তাল সাম্রাজ্য," আর 'বি' শহরের লোকজনদের এখানে থাকাটাই স্বাভাবিক। বলা যায় না, হয়তো গ্রেট মাস্টার, 'পাহাড়ে চড়া ইউগং' আর অন্যরাও এই শহরেরই...
ওয়ে ওয়ে স্তব্ধ হয়ে যায়।
ঝড়ের দেবীঃ "আমি 'টি' শহর, ৫৫৫ (বুহুহু) তে আছি, নয়তো আমি তোমাদের সাথে দেখা করতাম। ওহ হ্যাঁ, আমার কাছে শুদ্ধজল আর বৃষ্টিস্নাতর একসাথে একটা ছবি আছে। শুদ্ধজল আসলেই খুবই সুদর্শন। আমার কাছে ওদের ছবি আছে। ওয়ে ওয়ে, তুমি দেখতে চাও?"
ওয়ে ওয়েঃ ">o<, আগ্রহী নই।"
শুদ্ধজল কেমন দেখতে এটা নিয়ে ওয়ে ওয়ের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই, নয়তো, ওদের ডিভোর্সের এক-দুই মাস আগেই ও ওর ছবি চেয়ে নিতো। সংস্থার অন্য একটি দম্পতি ঐ সময় তাদের ছবি বিনিময় করেছিলো, কিন্তু বাস্তবে ওরা একে অপরকে দেখার পর সাথে সাথেই সম্পর্ক ভেঙ্গে দিয়েছিলো। ঐ সময়ই শুদ্ধজল ছবি বিনিময় করার পরামর্শ দেয়; ওয়ে ওয়ে আশ্চর্য হয়ে অস্বস্তিকরভাবে উত্তর দেয়ঃ "আমার ডিজিটাল ক্যামেরা নেই। তাই আমার কোনো ডিজিটাল ছবিও নেই।" যদিও কথাটা সত্যি ছিলো, তবুও ওকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য একটা মিথ্যা অজুহাত বলে মনে হচ্ছিলো।
ওয়ে ওয়ের মনে হয় যে অজুহাতই দেওয়া হোক না কেন, এতে কিছু আসে যায়না, ও যে ছবি বিনিময়ে আগ্রহী নয় এটা বুঝতে পারলেই হলো। ওরা শুধু ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচিত; ওরা জানেনা বাস্তবে ওরা কে, তাই ওদের বিনিময়ের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত। তার ওপর, গেমে 'বিবাহিত দম্পতি' থাকাকালীন ছবি বিনিময় করাটা বাস্তব জীবনে সম্ভাব্য ভালোবাসার সম্পর্কের কথা বোঝায়, আর ওয়ে ওয়ে এরকম অনুভুতি পছন্দ করেনা।
কিন্তু শুদ্ধজল অবশ্যই এভাবে ভাবেনি। এখন মনে পড়ছে, ঐ সময় থেকেই শুদ্ধজলের মনোভাব পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিলো।
YOU ARE READING
Mridu Hashitei Mugdho (মৃদু হাসিতেই মুগ্ধ)
Roman d'amourকোন বিষয়টি প্রথম দেখায় ছেলেদেরকে মেয়েদের প্রেমে পড়তে বাধ্য করে? সৌন্দর্য? দীপ্তি? নাকি সম্পত্তি? না, ক্যাম্পাসের সবচেয়ে সুদর্শন ছেলে এবং দক্ষ গেমার শাওনাই যখন প্রথমবার বে ওয়ে ওয়েকে দেখেছিলো, ও কিন্তু মেয়েটির অসাধারন সৌন্দর্যের প্রেমে পড়েনি, পড়েছিলো...