"ওয়ে ওয়ে, স্থিরদ্বীপে এসো (আবেগাপ্লুতভাবে), চলো ডিভোর্স নিয়ে নিই।"
অনলাইনে আসা মাত্রই বে ওয়ে ওয়ে তার অনলাইন হাজবেন্ড শুদ্ধজলএর কাছ থেকে ম্যাসেজটি পেলো। ওয়ে ওয়ে কিছুক্ষনের জন্য নির্বাক হয়ে গেলো। কিভাবে সম্ভব, হোস্টেলের ব্রডব্যান্ড কানেকশন মেরামত করতে মাত্র ১০-১৫ দিন সময় লেগেছে, এর মধ্যেই ওর মন বদলে গেছে?
কিছুক্ষণ ভেবে ওয়ে ওয়ে জিজ্ঞেস করলো, "কেন?"
শুদ্ধজলঃ "ওয়ে ওয়ে, আমি দুঃখিত। দয়া করে কারণ জিজ্ঞেস করো না। আমি তোমাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি ঐশ্বরিক ক্ষমতাসম্পন্ন গেমের আইটেম দিবো।"
ভরনপোষণের কথা বলছে? ওয়ে ওয়ের অসহায় লাগছে। "থাক।"
গেমিংএর জগতে কখনও সত্যিকারের বিয়ে হয় না। শুধুমাত্র বিবাহিত দম্পতিদের জন্য তৈরি করা ধাপগুলো পেরনোর জন্যই সে শুদ্ধজলকে বিয়ে করেছিলো এবং ক্লাবের অন্যসব ছেলেমেয়েদের বিয়ের কারণও এটাই। শুদ্ধজল ওকে একদিন ম্যাসেজে বিয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে ও কিছু না ভেবেই রাজি হয়ে যায়।
বিয়ের মোটামুটি ছয় মাস পার হলো। ওয়ে ওয়ে কখনও ভালোবেসে আদর করে তাকে 'হাব্বি' না ডেকে সম্পূর্ণ নাম ধরে ডাকলেও ওরা একে অন্যের জন্য উপযুক্তই বলা যায়। এতগুলো দিন একসঙ্গে পাশাপাশি যুদ্ধ করে তাদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
যাই হোক, সবশেষে এটা শুধুই একটা গেম...
ওয়ে ওয়ে উত্তর দিলোঃ "আমি এক্ষুণি যাচ্ছি ওখানে।"
ওয়ে ওয়ের অ্যাভাটার, 'নম্রতা' একটি ঘোড়ায় চড়ে স্থিরদ্বীপের দিকে ছুটে গেলো।
নম্রতা লাল রঙের জামায় সুসজ্জিত একজন শক্তিশালী নায়িকা।
ওয়ে ওয়ের খেলা "নদী ও হ্রদে স্বপ্নের সমুদ্রযাত্রা" নামের এই গেমটি অনলাইন জগতে মার্শাল আর্ট সম্পর্কিত সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি গেম। গেমটিতে যদিও বিশেষ কিছু নেই, শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর অ্যাভাটারের বিশাল ভাণ্ডার ছাড়া; ছেলে ও মেয়ে প্রত্যেকের জন্য আঠারোটি করে অ্যাভাটার রয়েছে। ওয়ে ওয়ের পরিহিত নায়িকার পোশাকটি খুব কম মানুষই পছন্দ করে; অসুন্দর যে তা নয়, আসল কারণটা হলো এর অস্ত্রটি খুব বড়।
YOU ARE READING
Mridu Hashitei Mugdho (মৃদু হাসিতেই মুগ্ধ)
Romanceকোন বিষয়টি প্রথম দেখায় ছেলেদেরকে মেয়েদের প্রেমে পড়তে বাধ্য করে? সৌন্দর্য? দীপ্তি? নাকি সম্পত্তি? না, ক্যাম্পাসের সবচেয়ে সুদর্শন ছেলে এবং দক্ষ গেমার শাওনাই যখন প্রথমবার বে ওয়ে ওয়েকে দেখেছিলো, ও কিন্তু মেয়েটির অসাধারন সৌন্দর্যের প্রেমে পড়েনি, পড়েছিলো...