১৬শ পর্বঃ আমার সঙ্গে

7 1 0
                                    

ওয়ে ওয়ে ওর বন্ধুদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর তাড়াতাড়ি দিয়ে দেয়। এই পুরোটা সময় ধরে মিষ্টি হাসির কাছ থেকে কোনো ম্যাসেজ আসেনা। ওয়ে ওয়ে মাউস নাড়িয়ে পৃথিবীর চ্যানেলটি ব্লক করে দেয় আর এক সেকেন্ডেই সবকিছু শান্ত হয়ে যায়।

কম্পিউটারের স্ক্রিনটা একইভাবে কালো হয়ে আছে। শুধু লাল পোশাকের নায়িকার শরীর একটু উজ্জ্বল, কোনোমতে ছায়া দেখা যাচ্ছে। স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে ওয়ে ওয়ের এখন একটু একা একা লাগছে।

এটা সত্যি যে গেমের মধ্যে সংস্থা তেমন কিছুই না, কিন্তু অন্তত এক ধরনের স্মৃতি তো বটে। এখানে ওর অবদান ছিলো আর ও এটা নিয়ে খুশিও ছিলো। হঠাত চলে আসায় ও হয়তো আফসোস করছেনা, তবে হতাশা আর পরাজয়ের ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়া কঠিন।

তার ওপর, ও এভাবে বের হয়ে এসেছে।

তার ওপর, এই মুহূর্তে সিস্টেম রোবট ওকে একটা ছোট অন্ধকার ঘরে একা বন্দী করে রেখেছে (দম্পতিদের কাজের ১৬ ঘণ্টার শেষ ধাপের জন্য)।

ওয়ে ওয়ে কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করার মতো মেয়ে না, তবে এরকম নিরব আর ফ্যাকাসে স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে ও ধীরে ধীরে একটু যেন বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। ও লাল পোশাকের নায়িকাকে পায়চারী করানোর জন্য মাউস দিয়ে এদিক সেদিক ক্লিক করতে থাকে। কয়েকটা চক্কর দেওয়ার পরও এখান থেকে ও বের হতে পারেনা। ঠিক যখনই ও পুরোপুরি হতাশ হয়ে দমে যাচ্ছিলো, 'ডিং' করে একটা আওয়াজ করে একটা ম্যাসেজ স্ক্রীনে ভেসে উঠলো।

"তোমার স্বামী, মিষ্টি হাসি, শেষ ধাপ 'একে অপরের জাদুতে মুগ্ধ'এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। অভিনন্দন, তোমরা 'বীরপুরুষের প্রত্যাবর্তন' কাজটি সম্পন্ন করেছো।"

সম্পন্ন?

ওয়ে ওয়ে চমকে না গিয়ে পারলোনা।

ম্যাসেজটা আসার পর অন্ধকার ছবিটাও বদলে গেছে। হঠাত করে, অনেকগুলো বিন্দু বিন্দু আলো দেখা যায়, এগুলো একটা আর একটার সাথে মিলে রেখার মতো তৈরি করে ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হতে থাকে। অন্ধকার সরে যাওয়ায় আশেপাশের সবকিছু এখন পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। ওয়ে ওয়ে দেখতে পায় যে ও সত্যিই উঁচু উঁচু পর্বতের দেয়াল বেষ্টিত একটা খাঁড়া পাহারের পাদদেশে আছে। ওর ডান দিকে একটা ছোট্ট ঝর্ণা আর একটা গভীর প্রাকৃতিক পুকুর রয়েছে। এখান থেকেই হয়তো পানির শব্দটা আসছিলো। পুকুরের চারদিকে বড় বড় ফুল আর ঘাস।

Mridu Hashitei Mugdho (মৃদু হাসিতেই মুগ্ধ)Where stories live. Discover now