হঠাত 'ঝড়ের দেবী'র (নি নি) ম্যাসেজটা না পেলে ওয়ে ওয়ে এটাই ভাবছিলো যে ও বোধ হয় সময়ের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে।
অবশ্যই, সময়ের শেষ প্রান্ত বলতে-- -হোস্টেলের বিদ্যুৎ চলে যাওয়া।
ঝড়ের দেবীঃ "ওয়ে ওয়ে, ভিডিওটা আমাকে পাঠাও। ভিডিওটা আমাকে পাঠাও।"
ওয়ে ওয়েঃ "কোন ভিডিও?"
ঝড়ের দেবীঃ "যেটাতে তোমার হাজব্যান্ড শুদ্ধজলকে একা হাতে মারছিলো, দ্বৈত যুদ্ধের ভিডিওটা! যদিও আমি এটা গিয়ে দেখার জন্য টিকেট কিনেছি, দর্শকদের এটা রেকর্ড করার অনুমতি ছিলোনা।"
এক হাতে মেরেছে...ওর বর্ণনা শুনে ওয়ে ওয়ে লজ্জা পেয়ে গেলোঃ "আমাদের (পরিবারের) মিষ্টি হাসি খুবই বিশুদ্ধ..."
এই বাক্যটা টাইপ করার সাথে সাথে ওয়ে ওয়ে এবার নিজের কাজেই লজ্জা পেয়ে গেছে। মিষ্টি হাসির আগে 'আমাদের' লেখার কী দরকার ছিলো?!!! অবচেতন মনে ও কিভাবে এই শব্দটা টাইপ করলো?
>o<, এটা নিশ্চয়ই 'পাহাড়ে চড়া ইউগং'দের প্রভাব। ওরা প্রায়ই এরকম কিছু কথা বলে যেমন "আমাদের (পরিবারের) সেজো ভাবী", "তোমাদের (পরিবারের) মিষ্টি হাসি।" ওয়ে ওয়ে চুপচাপ বাক্যটা মুছে দিয়ে নতুন করে লেখেঃ "তুমি আসলেই ভেতরে যাওয়ার জন্য টিকেট কিনেছো!"
দ্বৈত যুদ্ধ দেখার জন্য টিকেট কেনা 'নদী ও হ্রদে স্বপ্নের সমুদ্রযাত্রা'র একটা প্যাঁচানো ফিচার। টিকেট কিনে রাজপ্রাসাদের দারোয়ানদের ওপর ক্লিক করলে ঐ খেলোয়ারকে যুদ্ধের মাঠে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সাধারণভাবে বলতে গেলে, দুই বিপক্ষ দলের যোদ্ধার লেভেল যত বেশি হয়, টিকেটগুলোও হয় তত দামি। মানুষ নিশ্চয়ই সবগুলো দ্বৈত যুদ্ধ দেখতে যায়না।
ঝড়ের দেবীঃ "শুদ্ধজল খুব খারাপভাবে হেরেছে, ও যদি রেকর্ড করেও থাকে, ও সেটা দেবেনা। তোমার হাজব্যান্ড নিশ্চয়ই রেকর্ড করেছে।"
ওয়ে ওয়েঃ "...ও রেকর্ড করেনি।"
ওর এই কথাটা জিজ্ঞেসও করতে হয়নি। গ্রেট মাস্টারকে ও যতটুকু চিনেছে, এরকম তুচ্ছ যুদ্ধের রেকর্ড গ্রেট মাস্টার করবে না।
YOU ARE READING
Mridu Hashitei Mugdho (মৃদু হাসিতেই মুগ্ধ)
Romanceকোন বিষয়টি প্রথম দেখায় ছেলেদেরকে মেয়েদের প্রেমে পড়তে বাধ্য করে? সৌন্দর্য? দীপ্তি? নাকি সম্পত্তি? না, ক্যাম্পাসের সবচেয়ে সুদর্শন ছেলে এবং দক্ষ গেমার শাওনাই যখন প্রথমবার বে ওয়ে ওয়েকে দেখেছিলো, ও কিন্তু মেয়েটির অসাধারন সৌন্দর্যের প্রেমে পড়েনি, পড়েছিলো...