রাত হয়ে গেছে, ওয়ে ওয়ে ওর কাঠের ছোট বিছানাটায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে গল্প করতে করতে ওর রুমমেটরা এতক্ষণে ঘুমিয়ে গেছে। শুধু ওরই ঘুম আসছেনা; কিন্তু তারপরও, এতো ঝামেলাপূর্ণ একটা দিনের শেষে ওর ভালো ঘুম না হওয়াটাই হয়তো স্বাভাবিক।
ও আরও একবার অন্যদিকে ফেরে; ঘুম আসছেনা। কম্বলটা ধরে ওয়ে ওয়ে উঠে বসে। হাঁটুতে নিজের চিবুক রেখে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। ও দুশ্চিন্তা কিংবা হতাশাগ্রস্ত নয়, কিন্তু এতগুলো আলাদা আলাদা অনুভূতি প্রকাশ করতে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কিছু করারও নেই।
দীর্ঘশ্বাস ছাড়ার পর ওর ভেতরের দমবন্ধকর অবস্থাটা মনে হয় একটু কমেছে।
ওহ্, শাওনাই।
তার ছবিটা ওর মস্তিষ্কে ভেসে চলেছে; শান্ত অথবা জীবন্ত, কথা বলছে অথবা হাসছে। অতএব, এইমাত্র দীর্ঘশ্বাস ছাড়ার পরও অনুভূতিগুলো আবার ফিরে আসে।
ওয়ে ওয়ে অনেকক্ষণ কম্বলটা জড়িয়ে ধরে বসে থাকে। অবশেষে ক্লান্ত হয়ে গেলে ওর ঘুম পায়। শুয়ে ঘুমিয়ে পড়া মাত্রই ওর পাশের বিছানা থেকে নড়াচড়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। ও এতই গভীর ঘুমে যে বুঝতে পারেনা কী হচ্ছে। পরমুহূর্তেই কে যেন ওকে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে দেয়। ও চোখ খুলে দেখে আরশি ওর বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। ও দুর্বলভাবে বলে, "ওয়ে ওয়ে, আমার ডায়রিয়া হয়েছে। এতক্ষণে তিনবার বাথরুমে গিয়েছি। আমার মনে হয়না আমি বেশিক্ষন টিকতে পারব।"
ওয়ে ওয়ে ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি লাফিয়ে ওঠে। তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে নেমে ওর জন্য ওষুধ খুঁজতে থাকে। ওষুধে কাজ হয়না; পরবর্তী আধা ঘণ্টায় আরশি দুইবার বাথরুমে যায়। ওর মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। আওয়াজ পেয়ে শাও লিং আর সি সি ও উঠে পরে। দুশ্চিন্তায়, তিনজনই তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে আরশিকে নিয়ে একটা ক্লিনিকে যায় ডাক্তার দেখাতে।
যেহেতু ক্যাম্পাসের রাতের ক্লিনিক অবিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত, ওয়ে ওয়ে আর বাকীদের আরশিকে নিয়ে ওখানে যাওয়ার সাহস হয়না। ওরা পশ্চিম দিকের প্রবেশপথ দিয়ে বের হয়ে একটা ক্যাব থামিয়ে কাছাকাছি একটা হাসপাতালে যায়। ডাক্তার ওর অবস্থার কথা জিজ্ঞেস করে, স্যাম্পল নেয় আর পরামর্শ দেয় যে আরশির যেহেতু অ্যাকিউট গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস হয়েছে তাই ওর একটা ইন্ট্রাভেনাস ড্রিপ নিতে হবে।
YOU ARE READING
Mridu Hashitei Mugdho (মৃদু হাসিতেই মুগ্ধ)
Romanceকোন বিষয়টি প্রথম দেখায় ছেলেদেরকে মেয়েদের প্রেমে পড়তে বাধ্য করে? সৌন্দর্য? দীপ্তি? নাকি সম্পত্তি? না, ক্যাম্পাসের সবচেয়ে সুদর্শন ছেলে এবং দক্ষ গেমার শাওনাই যখন প্রথমবার বে ওয়ে ওয়েকে দেখেছিলো, ও কিন্তু মেয়েটির অসাধারন সৌন্দর্যের প্রেমে পড়েনি, পড়েছিলো...