কথায় আছে যে শত্রুরা প্রায়ই একে অপরের রাস্তা কাটে, এটাও বোধ হয় সেরকমই।
ওয়ে ওয়ে ওর থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোকে দেখতে থাকে; পয়েন্ট যোগার করার প্রথম যুদ্ধে ওর আর মিষ্টি হাসির বিপক্ষ দলকে দেখে ও হতবাক না হয়ে পারেনা।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে শুক্রবার দম্পতিদের পিকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রথম রাউন্ডটা হলো পয়েন্ট যোগার করার প্রতিযোগিতা; ১৫ দিনের মতো লাগবে তাই গেমটি দেখার জন্য কোনো দর্শক নেই। সিস্টেম এলোমেলোভাবে বিপক্ষ দল বেছে দেয়; অংশগ্রহণকারী দম্পতিদের শুধু পার্শ্বচরিত্রের ওপর ক্লিক করতে হয় আর ওদেরকে যুদ্ধের মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে না যাওয়া পর্যন্তও ওদের বিপক্ষ দল কারা তা জানা যাবেনা।
ওয়ে ওয়ে আর মিষ্টি হাসি যুদ্ধের মাঠে যাওয়ার জন্য পার্শ্বচরিত্রে ক্লিক করার পর 'পাহাড়ে চড়া ইউগং' আর অন্যরা ওদেরকে বিদায় জানায়। ওখানে ঢোকার সাথে সাথেই ওয়ে ওয়ে বোকা বনে যায় -- -মাঠের অপরপাশে ওদের যে বিপক্ষ দল দাঁড়িয়ে আছে, তারা আর কেউ নয়, শুদ্ধজল আর বৃষ্টিস্নাত।
>o<
অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়রা তখনি পিকে যুদ্ধ শুরু করতে পারেনা; যুদ্ধের আগে সিস্টেম তিন মিনিটের একটা প্রস্তুতির সময় বেঁধে দেয়। মিষ্টি হাসি ওদের বিপক্ষ দলের দিকে তাকিয়ে সাধারনভাবেই বলেঃ "আমি বৃষ্টিস্নাতকে দেখে নেবো।"
ওয়ে ওয়ে তক্ষুনি গ্রেট মাস্টারের যুদ্ধের কলাকৌশল বুঝে যায়; বৃষ্টিস্নাতর দক্ষতা কম আর ওর অ্যাভাটারটা একটা ডাক্তার, তাই মিষ্টি হাসির সাথে ও পারবেনা। মিষ্টি হাসি প্রথমে ওকে পরাজিত করে তারপর ওয়ে ওয়ের সাথে একসঙ্গে শুদ্ধজলকে পরাজিত করতে পারবে। যুদ্ধটা শেষ করার এটাই দ্রুততম উপায়।
কিন্তু এর মানে মিষ্টি হাসি বৃষ্টিস্নাতকে মারবে। বৃষ্টির দল আবার এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে পৃথিবীর চ্যানেলে মিষ্টি হাসিকে অবলা নারীর ওপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলবে না তো?
যদিও এটা হাস্যকর, তবে ওরা এসব বললে ওয়ে ওয়ে খুব একটা অবাক হবেনা। কারণ সেদিন বৃষ্টিভেজাও পৃথিবীর চ্যানেলে ঠিক এই কাজটাই করেছিলো।
YOU ARE READING
Mridu Hashitei Mugdho (মৃদু হাসিতেই মুগ্ধ)
Lãng mạnকোন বিষয়টি প্রথম দেখায় ছেলেদেরকে মেয়েদের প্রেমে পড়তে বাধ্য করে? সৌন্দর্য? দীপ্তি? নাকি সম্পত্তি? না, ক্যাম্পাসের সবচেয়ে সুদর্শন ছেলে এবং দক্ষ গেমার শাওনাই যখন প্রথমবার বে ওয়ে ওয়েকে দেখেছিলো, ও কিন্তু মেয়েটির অসাধারন সৌন্দর্যের প্রেমে পড়েনি, পড়েছিলো...