১৯শ পর্বঃ উপলব্ধি

12 1 0
                                    

গ্রেট মাস্টার যেহেতু কখনো দেরি করেনা তাই ওয়ে ওয়ে চিন্তা করছেনা, কিন্তু কয়েক মিনিট দেরি করাও খুব স্বাভাবিক। ঘড়ির কাটা ঘুরছে; কখন যে পৌনে আটটা বেজে গেছে ও বুঝতেই পারেনি। ওয়ে ওয়ের এখন একটু চিন্তা হচ্ছে। যদিও ও জানে যে মিষ্টি হাসি অনলাইনে নেই, তবুও ওকে ম্যাসেজ না করে থাকতে পারলোনা – -

"তুমি কি আছো?"

স্বাভাবিকভাবেই কোনো উত্তর এলোনা।

দুই মিনিট পর ও আর একটা ম্যাসেজ পাঠায়। কিছুক্ষণ পর ম্যাসেজ দেওয়া বন্ধ করে বারবার মিষ্টি হাসির নাম রিফ্রেশ করতে থাকে; সিস্টেম ওকে বারবার মনে করিয়ে দিতে থাকে যে এই খেলোয়াড়টি অনলাইনে নেই, তাই তার প্রোফাইল রিফ্রেশ করা যাবেনা।

'পাহাড়ে চড়া ইউগং', 'মাতাল বানর' আর অন্যদের নামও ধুসর হয়ে আছে।

অনলাইনে নেই।

সন্ধ্যা ৭:৫০।

ওয়ে ওয়ে একাই মাঠের প্রবেশপথে পার্শ্বচরিত্রের সামনে হাজির হয়। ওর অ্যাভাটারের ওপর দলের সেটআপের চিহ্নটা, কিন্তু ওর দলের ও একাই উপস্থিত।

পার্শ্বচরিত্রের কাছে অনেক খেলোয়াড় জমে গেছে; শীর্ষ দম্পতিদের বাদ দেওয়ার রাউন্ড আর চূড়ান্ত পর্ব দর্শকদের উপভোগের জন্য উন্মুক্ত। বাইরে যারা দাঁড়িয়ে আছে তারা সবাই ভেতরে যাওয়ার জন্য টিকেট কেনার অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু নম্রতা কেন একা একা দাঁড়িয়ে আছে তা নিয়ে সবাই কৌতূহলী হয়ে পড়ছে, তাই তারা ওর সামনেই আলোচনা শুরু করে।

[স্থানীয়][পোকায় খাওয়া লেটুস]: "নম্রতা এখানে একা কেন? মিষ্টি হাসি কোথায়?"

[স্থানীয়][মাছ ধরার বড়শি]: "ও দেরি করবেনা, তাই তো?"

[স্থানীয়][৯৬৩]: "এটা এতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা আর ও দেরি করছে?"

[স্থানীয়][অন্তর্বাসবিহীন সজীবতা]: "এখনও দশ মিনিট আছে, তাই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। শীর্ষস্থানীয় দক্ষ খেলোয়াড়েরা দেরি করেই আসে।"

সন্ধ্যা ৭:৫৫।

ওয়ে ওয়ে সব আলোচনাকে অবজ্ঞা করে শান্তভাবে মিষ্টি হাসিকে একটা ম্যাসেজ দেয়-- --"আমি প্রবেশপথে পার্শ্বচরিত্রের সামনে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। সরাসরি এখানেই চলে এসো।"

Mridu Hashitei Mugdho (মৃদু হাসিতেই মুগ্ধ)Where stories live. Discover now