২৩শ পর্বঃ দম্পতি? অসম্ভব

14 1 0
                                    

তার মুখের ওপর অস্তগামী সূর্যের প্রতিফলন যেন পরাবাস্তব চমক দিয়ে যাচ্ছে। তার ঘন কালো ভ্রূএর দিকে তাকিয়ে ওয়ে ওয়ে অভিভূত হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ পর, কিছু জটিল অনুভূতি ওর হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায়; একটা দমবন্ধ হওয়ার অনুভূতি, আর কেমন যেন অসহ্য কষ্ট আর ক্ষোভের যন্ত্রণা।

কখন, কখন তারা ওই ধরণের সম্পর্কে ছিলো?! যদিও ও সত্যিই তার সাথে সম্পর্কে জড়াতে চায়, তাই বলে তার শুরুটা এভাবে না হোক...

কিন্তু তারপরও, গ্রেট মাস্টারের সাথে দেখা করার আসল কারণ তো এটাই ছিলো। ব্যাপারটা এমন যে, গ্রেট মাস্টার যেহেতু এক-ধাপ এগিয়েই গেছে, এখন ওর পক্ষে তাকে প্রত্যাখ্যান করাটা অসুবিধাজনক হয়ে যাবেনা?

আসলে ও গ্রহণ করুক আর প্রত্যাখ্যানই করুক, আসুবিধায় পড়বেই। কী হচ্ছে এসব?.....

ওয়ে ওয়ে নিজের যুক্তিতে আরও দ্বিধান্বিত হয়ে যাচ্ছে। ভাবনাগুলো গোলগোল ঘুরতে থাকায় ওয়ে ওয়ে তাড়াতাড়ি নিজেকেই ধমক দেয় - -

চুপ!

ভাবা বন্ধ কর!

গ্রেট মাস্টারের কথায় পাত্তা দিস না; এটা মরণ ফাঁদ। শুধু ভান কর যে তুই তার কথা শুনিস নি। তুই শুনিস নি। মনে কর এটা একটা ভাইরাস আর একে বন্দী করে রাখ...

ও নিজেকে সম্মোহিত করায় মনোযোগ দেয় কিন্তু এদিকে ওর কান যে লাল হয়ে গেছে তা খেয়ালই করেনা। ওয়ে ওয়ে শান্ত থাকার ভান করে সোজাসুজি শাও নাইয়ের চোখের দিকে তাকায়, "আমাদের হাতে যেহেতু বেশি সময় নেই, তাই সাইকেলে যাওয়াই ভালো..."

এর মানে ও যে শাও নাইয়ের সাথে একমত হয়েছে তা নয়। ও হঠাতই উপলব্ধি করে যে - - একসাথে সাইকেলে চড়ার চেয়ে একসাথে হেঁটে গেলে বরং মানুষের চোখে বেশি পড়বে; যত বেশি সময় ওরা একসাথে থাকবে, তত বেশি মানুষ ওদের দেখবে। তাই, ওরা সাইকেলে চড়তেই পারে। সাইকেলে চড়লে তাড়াতাড়ি যাওয়া যাবে; ও যে কে সেটা কেউ ভালোভাবে দেখার আগেই ওরা মুহূর্তে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারবে।

আচ্ছা, আজকে যেহেতু ওদের খেলা আছে তাহলে সে আজ দেখা করার কথা কেন বললো? আগামীকাল দেখা করতে পারতো। তার ওপর, সে প্রথমে ছয়টায় দেখা করার কথা বলেছিলো, যখন খেলা শুরু হবে সাতটায়; সে কি তাহলে ডেট করার জন্য ওকে নিয়ে সরাসরি জিমনেশিয়ামে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলো?

Mridu Hashitei Mugdho (মৃদু হাসিতেই মুগ্ধ)Where stories live. Discover now