ওয়ে ওয়ের বিশ বছরের জীবনে, প্রথমবার ওর নিজেকে অন্য গ্রহের প্রানি বলে মনে হচ্ছে-- --
আরও ভালোভাবে বলতে গেলে কচ্ছপ গ্রহের প্রানি।
কচ্ছপ গ্রহের প্রানি হচ্ছে তারা, যাদেরকে কেউ খোঁচা দেওয়ার পর তারা নড়েচড়ে বসে; মোটকথা হচ্ছেঃ আরও দুইটা দিন চলে গেলেও ও তখনো গেমে লগইন করেনি!!!!
...
...
ও নিশ্চিত ঐ "লজ্জাজনক" গ্রহের প্রানিদের খপ্পরে পড়েছে = =
দীর্ঘশ্বাস~ ~ ~
সত্যি কথা বলতে, ও ইতোমধ্যেই নিজের অনুভূতিগুলো বুঝতে পেরেছে, আর এরপর ওর যা করা উচিৎ তা হলো তাড়াতাড়ি গেমে লগইন করে সকল প্রকার স্পষ্ট ও সূক্ষ্ম উপায় অবলম্বন করে গ্রেট মাস্টারের মন জয় করা। যাই হোক, ও আর গ্রেট মাস্টার দুজনেই এখনো অবিবাহিত, তাই দুশ্চিন্তার কিছু নেই~ ~ (গ্রেট মাস্টার যে এখনো অবিবাহিত সেটা ওয়ে ওয়ে অনেক আগে থেকেই জানে, কারণ এক, ইউগং আর অন্যরা তাকে হাজার বছরের চিরকুমার বলে ক্ষ্যাপায়, আর দুই, ওয়ে ওয়ে শেষবার তাকে বিয়ে করার আগে জিজ্ঞেস করেছিলো। ঐ সময়ে এটা জিজ্ঞেস করার কোনো কারণ ছিলোনা; শুধুমাত্র নৈতিকতার খাতিরে জিজ্ঞেস করেছিলো। যদিও এটা একটা গেম মাত্র, তবুও কারো প্রেমিকা অথবা বাগদত্তার কোনো সমস্যা হোক তা ও চায়না।)
কিন্তু ও অনলাইনে একদমই যাবেনা, এর বদলে ও অদ্ভুত কাজকারবার করতে থাকে যেমন ভিডিওতে গ্রেট মাস্টারের সংলাপ বারবার শোনা...
ওয়ে ওয়ে নিজেও ওর অদ্ভুত আচার আচরণে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু ও এসব পাত্তা না দিয়ে এর পেছনে কিছু অজুহাত দাঁড় করায়-- -ও প্রথমবার প্রেমে পড়েছে, তাই অদ্ভুত আচরণ করাটাই স্বাভাবিক। না করাটাই বরং অদ্ভুত হবে।
>__<
অতএব, ও ওর পাগলামি চালিয়ে যায়। প্রত্যেকদিন সকালে ও নিজের কাছে শপথ করে যে আজকে ও অনলাইনে যাবেই, কিন্তু রাতের বেলা নিজেকে এই বলে সান্ত্বনা দেয় যে, আগামীকাল অনলাইনে যাবে...
দুই দিন ধরে এগিয়ে পিছিয়ে যাওয়ার পর, আর নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েই নেয়!
YOU ARE READING
Mridu Hashitei Mugdho (মৃদু হাসিতেই মুগ্ধ)
Lãng mạnকোন বিষয়টি প্রথম দেখায় ছেলেদেরকে মেয়েদের প্রেমে পড়তে বাধ্য করে? সৌন্দর্য? দীপ্তি? নাকি সম্পত্তি? না, ক্যাম্পাসের সবচেয়ে সুদর্শন ছেলে এবং দক্ষ গেমার শাওনাই যখন প্রথমবার বে ওয়ে ওয়েকে দেখেছিলো, ও কিন্তু মেয়েটির অসাধারন সৌন্দর্যের প্রেমে পড়েনি, পড়েছিলো...