১২শ পর্বঃ সাদা পোশাকের লাল ছায়া

15 1 0
                                    

'পাহাড়ে চড়া ইউগং' ফিরে এসে দুর্বল স্বরে বলেঃ "ব্যথা পেয়েছি।"

'আমাকে মেরো না' অবজ্ঞার সুরে বলেঃ "তোর মতো ছেলে পড়ে গিয়ে কোমরে ব্যথাও পেতে পারে?"

'পাহাড়ে চড়া ইউগং' রেগে গিয়ে বলেঃ "হৃদয়ে ব্যথা পেয়েছি! হৃদয়ের কথা বলছি!"

ওয়ে ওয়েঃ ">o<, তোমরা কি রুমমেট?"

ওদের কথাবার্তা শুনে ওয়ে ওয়ের সন্দেহ হয়েছে যে ওরা বাস্তবে একে অপরকে চেনে আর একসাথে থাকে; আর ওরা হয়তো চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কারণ ও ওদেরকে স্নাতকের ইন্টার্নশিপের কাজ নিয়ে কথা বলতে দেখেছে। কিন্তু অন্য খেলোয়াড়েরা বাস্তব জীবনে কেমন এসব নিয়ে ওয়ে ওয়ে কখনো ভাবেনি, তাই কখনো জিজ্ঞেসও করেনি, কিন্তু এবার ও জিজ্ঞেস না করে থাকতে পারলো না।

মাতাল বানরঃ "আমরা একই হোস্টেলের।"

যা ভেবেছিলো তাই!

ওয়ে ওয়ে অবচেতন মনে মিষ্টি হাসির দিকে তাকায়; গ্রেট মাস্টারও তাহলে ওর মতোই একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী? ব্যাপারটা অবাস্তব লাগছে কেন? গ্রেট মাস্টারের তো...

>__<

ওয়ে ওয়ে ভাবতে পারছে না ওর আসলে কেমন হওয়া উচিৎ...

'পাহাড়ে চড়া ইউগং' বলেঃ "সেজো ভাবী, মিষ্টি হাসি মাঝে মাঝে রাতে বাসায় আসেনা। তোমার ওর প্রতি নজর রাখা উচিৎ।"

আমাকে মেরো নাঃ "ও সকালেও আসেনা!"

ওয়ে ওয়ে বোকা বনে গেলো।

মিষ্টি হাসি ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলেঃ "আমি হোস্টেল রুমে তখনি আসবো যখন রুমটা ১৫ দিনের জমানো মোজা দিয়ে ভর্তি থাকবেনা।"

'আমাকে মেরো না' সাথে সাথে ওর কথার প্রতিবাদ করেঃ "তুই বাইরেই থাক।"

ওয়ে ওয়ে হতবাক। ও শুনেছে যে ছেলেরা নাকি দশ জোড়া নোংরা মোজা জমানোর পর একসাথে ধোয়। এরাও যে এরকম এটা ও বিশ্বাসই করতে পারছে না। ওর হঠাত মনে পড়ে 'পাহাড়ে চড়া ইউগং' আর অন্যরা অন্য মানুষদের কম্পিউটার হ্যাক করার কথা বলছিলো, তাই ও কৌতূহলবশত জিজ্ঞেস করেঃ "এমনটা কি হতে পারে যে তোমরা কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের?"

Mridu Hashitei Mugdho (মৃদু হাসিতেই মুগ্ধ)Where stories live. Discover now