১৬তম পর্ব: এনজিও

85 9 0
                                    

এনজিওতে আসার পর ইলোরার মনের অস্থিরতা কিছুটা হলেও কমেছে। এই বাচ্চাগুলোর সাথে সময় কাটালে মনটা মুহুর্তের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। এই পৃথিবীর সব সুখ যেনো সৃষ্টিকর্তা এই নিষ্পাপ মুখগুলোর মধ্যে ঢেলে দিয়েছেন। যেই মুখের দিকে তাকালে মনপ্রাণ জুড়ে এক অদ্ভুত প্রশান্তি অনুভূত হয়। এনজিওর এক শিক্ষিকা নাইমার সঙ্গে কথা বলছে ইলোরা। তখনই দেখলো মেইন গেট দিয়ে রোদেলা ঢুকছে। সাথে খুব সুদর্শন একটা ছেলে। পোশাক-আশাকের ধরণ একেবারে অফিশিয়াল। ঠোঁট হাসছে না কিন্তু ছেলেটার চোখ দুটো হাসছে। কি মায়াভরা মুখ ছেলেটার! রোদেলা ইলোরার দিকে এগিয়ে এসে বলল,

"আপা আপনি এই সময়ে? আপনি তো বলেছিলেন কেনাকাটা করতে বের হবেন?"

"হ্যা বলেছিলাম কিন্তু পরে এখানেই আসতে ইচ্ছা হলো।"

"ভালোই হলো আপনি আছেন। একজনকে নিয়ে এসেছি। উনি হলেন...."

ইলোরা হাত উঠিয়ে রোদেলাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, "ইনি মিস্টার আসমান আহমেদ, তোর সোমেনা আন্টির ছেলে আর অলির বাবা।"

"আপনি বুঝলেন কি কিরে!?" রোদেলার কথায় স্পষ্ট বিষ্ময় প্রকাশ পেলো। ইলোরা হাসতে হাসতে বলল,

"এমনি এমনিই তো আর মনোবিজ্ঞানী হই নি! আর তাছাড়া তুমি এতো বার করে বলেছো!"
ইলোরার কথায় রোদেলা লজ্জা পেয়ে গেলো। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আসমান রোদেলার সেই লজ্জাটা দেখতে পেলো না। সে ফুটফুটে বাচ্চাগুলোর দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। বাচ্চাগুলো কানামাছি খেলছে। ইলোরা আসমানকে বলল,

"মিস্টার আসমান! কেমন আছেন আপনি?"

"জ্বি আলহামদুলিল্লাহ! মিস রোদেলার কাছে তার ইলোরা আপার কথা অনেক শুনেছি।"

"আমিও আপনার মিস রোদেলার কাছে আপনার কথা অনেক শুনেছি।"

"আপা এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না। আমি আপনার ছোট ভাইয়ের মতো। আমাকে আপনি আজ্ঞে করার কোনো মানে হয় না।"

পরিচয়ের প্রথম দিনেই আসমানের মুখ থেকে আপা ডাকটা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লো ইলোরা। ইলোরা মনে মনে ভাবলো, "প্রিয় এক বিন্দুও বাড়িয়ে বলে নি!"
ইলোরা যেনো রোদেলার জীবনের বিশেষ কোনো দিকে ক্ষীণ আশার আলো দেখতে পেলো। আসমান ইলোরাকে উদ্দেশ্য করে বলল,

রোদেলার মেঘলা জীবন(সম্পুর্ণ)Wo Geschichten leben. Entdecke jetzt