রোদেলার অস্থির লাগছে খুব। তাই রাতের খাবার সেরে ছাদে এসে বসে আছে। ছাদের একপাশে রোদেলার একটা ছোট বাগান আছে। অবসর সময় এখানে এসে তার প্রিয় গাছগুলোর সাথে সময় কাটানোর মধ্যেই যেনো নিজের মনে স্বস্তি ফিরে পায় রোদেলা। প্রতি বছরই এই সময়টাতে রোদেলার নিশ্বাস ভারী হয়ে আসে ক্রমশ। যেনো কেউ গলা টিপে ধরে আছে। তাকে এক্ষুণি মেরে ফেলবে। অবশ্য যা ঘটেছিল সেটাও কি মৃত্যুর চেয়ে কম যন্ত্রণার?
রোদেলার চোখের কোণ থেকে এক বিন্দু জল বেড়িয়ে তা যেনো নিমেষেই কর্পূরের মতো উড়ে গেলো। আজ সারারাত ছাদেই কাটাতে ইচ্ছা করছে রোদেলার। কিন্তু সারারাত তো থাকতেও পারবে না। তাই চলে যাওয়ার জন্য ছাদের গেটের কাছে যেতেই অজস্র ফুলের পাপড়ির উপস্থিতি টের পেলো। এতো ফুলের পাপড়িতে এক দফা পাপড়ি-স্নান হয়ে গেলো রোদেলার। রোদেলা অবাক হলো খুব। অন্ধকারে সে ভেবেছিল পাপড়ি কিন্তু পরে ভালো করে দেখে বুঝলো সাদা রঙের সব ছোট ছোট ফুল। রোদেলা ফোনের ফ্লাশ লাইটটা জালিয়ে ভালো করে দেখলো। অনেক ধরনের সাদা ফুল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। শিউলী, টগর, বেলী, কাঠগোলাপ আর সাদা নয়নতারা। ফুলের সুবাসে চারদিক ভরে উঠেছে৷
রোদেলা উঠে গিয়ে ছাদের অন্যপাশটায় গেলো। সেখানে যেতেই বিস্ময়ের চরম শিখরে পৌছাতে হলো তাকে। ছাদের এই পাশ পুরোটাই প্রদীপ দিয়ে সাজানো৷ প্রদীপগুলো জ্বলজ্বল করছে। এরপর ডানদিকে ঘুরে রোদেলা তার নিজের বিশাল আকৃতির একটা হাসোজ্জল ছবি দেখতে পেলো। অয়েল পেইন্ট করা। ছবিটা যে কেউ খুব যত্ন নিয়ে এঁকেছে তা স্পষ্ট। ছবির নিচে মাঝারি সাইজে লেখা "শুভ জন্মদিন মিস রোদেলা"
লেখাটার মধ্যেও বিশেষত্ব আছে। একটা বড় সাদা কাপড়ের মধ্যে সোনালী জড়ি দিয়ে সুতার কাজ করা। কথাটা লেখাই হয়ে সোনালী জড়ি দিয়ে। আর কাপড়ের বাকি অংশে বিভিন্ন রঙের ফিতা দিয়ে গোলাপ ফুল বানিয়ে সেলাই করে দেওয়া হয়েছে। আবার সেই কষ্ট! কষ্টগুলো আবার দলা পাকিয়ে আটকে গেছে। যেনো এক্ষুণি শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে। জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতে নিতে এক পা এক পা করে পিছিয়ে যেতে লাগলো রোদেলা। পিছনে ঘুরতেই শুনতে পেলো,
DU LIEST GERADE
রোদেলার মেঘলা জীবন(সম্পুর্ণ)
Romantikকিছু কিছু মানুষের জীবন তো পরিপুর্ণতায় ভরপুর থাকে। কিন্তু সব পুর্ণতার মাঝেও যেন এক অপূর্ণতা এসে গ্রাস করে। মানুষের জীবনে কখন কি আসে তা কেউ বলতে পারে না। তাই সবসময়ই প্রস্তুত থাকতে হয় যেকোনো ধাক্কাকে সামলানোর। কিন্তু ধাক্কা আসবে কোন দিক থেকে?