ভোর ৫টায় উঠে আজ আলিয়া গোসল করেছে। তাও আবার এই শীতের সময়ে। অথচ আলিয়া এই শীতের সময়টাতে একদিন পর পর গোসল করে। গোসল সেরে আলিয়া বাথরুম থেকে রীতিমতো কাঁপতে কাঁপতে বের হলো। বাড়ির সবাই ঘুম। আলিয়া কম্বল গায়ে জড়িয়ে শাড়ি আর অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে রোদেলাদের ফ্ল্যাটে চলে এলো। আলিয়া রোদেলার ঘরে ঢুকে একেবারেই চমকে উঠলো। রোদেলার সাজগোজ প্রায়ই শেষ। রোদেলাকে এই হালকা গোলাপী শাড়িতে খুব সুন্দর লাগছে। যেনো এই শীতের মধ্যে কোনো এক ঝিলে ভুল করে একটা গোলাপী পদ্ম জন্ম নিয়ে ফেলেছে। শাড়িটার মধ্যে যে গাঢ় খয়েরী রঙের কাজ তা যেনো রোদেলার স্পর্শ পেয়ে চারিদিকে তার আভা ছড়াচ্ছে।
রোদেলা চোখ পড়লো আলিয়ার দিকে৷ বিশাল বড় কম্বলটা গায়ে জড়িয়ে সে দরজায় ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ রোদেলা বলল,
"একি আলিয়া! কম্বল জড়িয়ে এসেছো যে! কম্বলের ভারে তোমার দেখি নাজেহাল অবস্থা।"কথাটা বলেই রোদেলা এলোপাথাড়ি হাসতে শুরু করে দিল। আলিয়া বলল, "রোদেলা আপু এতক্ষণ শীত করছিল ঠিকই কিন্তু তোমাকে দেখার পর আমার শীত করলেও কাঁপা-কাঁপির অবস্থাটা আর নেই।"
"কেনো বলো তো?"
"মানে তুমি এই শীতের মধ্যে সকাল সকাল গোসল সেরেছো। মনে তো হচ্ছে আমার অনেক আগেই করে ফেলেছো। আর এই ঠান্ডার মধ্যে তুমি এমন ফ্রি ভাবে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনের সুখে সাজছো... মানে... কি বলবো আর!! তোমাকে দেখে আমার নিজেরই শীত করছে।"
"এইমাত্র না বললে আমাকে দেখে শীত করলেও কাঁপা-কাঁপির অবস্থাটা চলে গেছে?"
"ঐটা তো শকড এফেক্ট। মানুষ বেশি শকড হলে যা হয় আর কি! মানুষ খুব বেশি মাত্রায় শকড হয়ে গেলে সে তার স্পর্শ ইন্দ্রিয় শক্তি কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে ফেলে। যেমন আমার হারিয়ে গিয়েছিল এখন আবার ফিরে এসেছে!"
এই বলে আলিয়া দৌড়ে গিয়ে রোদেলার বিছানায় শুয়ে পড়লো। রোদেলার বিছানার উপর ভাজ করা কম্বলটাও গায়ে জড়িয়ে নিল। রোদেলা ওকে বিছানা থেকে টেনে তুলে সাজানো শুরু করলো। আলিয়ার চুলগুলো খোলাই রাখলো৷ আর শাড়িতে ১৪টা সেইফটি পিন লাগিয়ে দিল৷ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আলিয়া বলল,
ESTÁS LEYENDO
রোদেলার মেঘলা জীবন(সম্পুর্ণ)
Romanceকিছু কিছু মানুষের জীবন তো পরিপুর্ণতায় ভরপুর থাকে। কিন্তু সব পুর্ণতার মাঝেও যেন এক অপূর্ণতা এসে গ্রাস করে। মানুষের জীবনে কখন কি আসে তা কেউ বলতে পারে না। তাই সবসময়ই প্রস্তুত থাকতে হয় যেকোনো ধাক্কাকে সামলানোর। কিন্তু ধাক্কা আসবে কোন দিক থেকে?