লাইব্রেরিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বই দেখছে আলিয়া। সামনেই ওর এইচএসসি পরীক্ষা। বাড়িতে বসে সারাদিনই বইয়ের ভিতর মুখ গুঁজে বসে থাকে। সময় তো প্রায় হয়েই এসেছে। আর মাত্র ১৫ দিন হাতে আছে। তাই আজকাল খুব দরকার ছাড়া বাড়ি থেকে বের হয় না। তাই আজ হুট করেই একটা বইয়ের খুব দরকার পড়ে গেলো আলিয়ার। ভাইয়ের মতো আলিয়াও সেল্ফ ডিপেন্ডেবল। তাই নিজের দরকারী বই কিনতে কাউকে না বলে নিজেই বেরিয়ে পড়েছে৷ এর সাথে একটু বাইরের হাওয়াও গায়ে লাগবে আলিয়ার।
আজিজ মাত্র ক্লাস নিয়ে বের হলো এনজিও থেকে। এখন তার বাড়ি যাওয়ার পালা। তাই বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। বাস স্ট্যান্ডের বিপরীতেই একটা লাইব্রেরিতে চোখ আটকে গেলো আজিজের। কে ওটা? আলিয়া? হ্যা আলিয়াই তো! এখানে নিশ্চয়ই বই কিনতে এসেছে। মেয়েটা আজকেও দুই বেণী করেছে চুলে। জামার সাথে ম্যাচিং করে চুলে ফিতা পড়তে একদমই ভুলে যায় নি। আলিয়ার বই কিনা শেষে আজিজ দেখতে পেলো আলিয়া ওকে দেখে এইদিকেই আসছে৷ আলিয়া এসেই বলল,
"আজিজ ভাইয়া আপনি এখানে!"
"এখানে একটা এনজিওর ব্লাইন্ড স্কুলে পড়াই। তাই আর কি বাসের জন্য এখানে দাঁড়িয়ে আছি।"
"এনজিওর ব্লাইন্ড স্কুল? এখানে তো জানি একটাই এনজিও। আর সেই এনজিওতে আমার ভাইয়াও বাচ্চাদেরকে পড়ায়।"
"হ্যা জানি। তোমার ভাইয়ার সাথে আমার প্রায়ই দেখা হয়, কথাও হয়।"
"তাই! তাহলে ভাইয়া আমাকে আপনার কথা বলে নি কেনো? রোদেলা আপুও তো বলে নি।"
"হয়তো বা কারো খেয়াল ছিল না।"
"ভালোই হয়েছে আমি তাহলে এনজিওতে গেলে আপনাকে দেখতে পাবো। সেই ফাল্গুনের অনুষ্ঠানে আপনার সাথে দেখা হয়েছিল৷ এরপর তো আর দেখাই হয় নি। আচ্ছা সামনে তো পহেলা বৈশাখ। এবারো কি আপনিই সবকিছু করছেন?"
"হ্যা এখন থেকে সব কিছু আমিই করবো। এবার তুমি আসছো তো? রোদেলা অবশ্য বলেছিল প্রতিবারই তোমাকে নিয়ে আসবে। তা পহেলা বৈশাখ যেহেতু লাল শাড়ি পড়ে আসবে নিশ্চয়ই?"
DU LIEST GERADE
রোদেলার মেঘলা জীবন(সম্পুর্ণ)
Romantikকিছু কিছু মানুষের জীবন তো পরিপুর্ণতায় ভরপুর থাকে। কিন্তু সব পুর্ণতার মাঝেও যেন এক অপূর্ণতা এসে গ্রাস করে। মানুষের জীবনে কখন কি আসে তা কেউ বলতে পারে না। তাই সবসময়ই প্রস্তুত থাকতে হয় যেকোনো ধাক্কাকে সামলানোর। কিন্তু ধাক্কা আসবে কোন দিক থেকে?