২২তম পর্ব: ৫ বছর আগে(১ম অংশ)

103 8 0
                                    

কলিংবেলের আওয়াজ শুনে রীতিমতো তাড়াহুড়ো করেই দরজা খুললেন নায়লা। খুলেই বললেন, "ইশ! কি অবস্থা তোমার৷ পুরোই তো দেখি ভিজে গিয়েছো।"

রায়হান পায়ের জুতা খুলতে খুলতে বললেন, "এই সময়ে এমন বৃষ্টি তো হবেই। একটা রিকশাও আসতে চাচ্ছিল না। আর ভার্সিটির রাস্তা থেকে বাসায় আসার কোনো বাসই পাচ্ছিলাম না। তাই হেঁটে হেঁটেই আসতে হলো।"

"তাড়াতাড়ি গোসল করে নাও। বৃষ্টির পানি এমন বেশিক্ষণ লেগে থাকলে ঠান্ডা লেগে যাবে।"

রায়হান চলে গেলেন গোসল করতে। নায়লা ডাইনিং টেবিলে খাবার সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। রোদেলা কোচিং-এ যাওয়ার আগে বলে গিয়েছিল খিচুড়ি রাঁধতে। কয়েকদিন ধরে আবহাওয়াটাও মেঘলা মেঘলা যাচ্ছে। তাই মেয়ের আবদার অনুযায়ী তিনি খিচুড়ি আর ইলিশ ভাজা করেছেন। সাথে শুটকির ভর্তা, কালোজিরা ভর্তা, শুকনো মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তা। নায়লার খাবার সাজানোর মাঝেই রায়হান গোসল সেরে বের হলেন। চেয়ারে বসতে বসতে বললেন,

"বাহ্! আমার আর আমার রৌদ্রর প্রিয় খাবার দেখছি।"

"তোমার মেয়েই তো যাওয়ার আগে বলে গেলো খিচুড়ি রাঁধতে।"

"ওকে টিফিনে খিচুড়ি দিয়েছো?"

"দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু নিল না। বলল রাতে এসে সবার সাথে বসে আয়েশ করে খাবে।"

"ঠিকই তো। আচ্ছা এখন তাহলে খিচুড়ি খাব না। ভাত দাও ভাত খাব। আমার মেয়ের সাথে রাতে একসাথে বসে খাব।"

"আচ্ছা আমিও তাহলে ভাতই খাই এখন। গরম ভাতের সাথে ইলিশ ভাজা আর ভর্তা খেতে খুব ভালো লাগবে।"

খাওয়া শেষে রায়হান উঠে রোদেলার ঘরের বারান্দার দোলনায় গিয়ে বসলেন। নায়লা চা বানিয়ে নিয়ে এসে স্বামীর পাশে বসলেন। রায়হান চায়ে চুমুক দিতে দিতে বলল,

"আজকে রোদেলার ক্লাস যেনো কয়টায় শেষ?"

"সাড়ে ছয়টা।"

বিকাল হয়ে পড়েছে। চারিদিকে আসরের আজান দিচ্ছে। বৃষ্টির বেগ ততক্ষণে অনেক বেড়ে গেছে। তাই বাড়িতেই আসরের নামাজ পড়ে ফেললেন। নামাজ শেষে নায়লা রায়হানকে বললেন,

রোদেলার মেঘলা জীবন(সম্পুর্ণ)Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang