মৌ ওর নোটিফিকেশনের সাউন্ড শুনে একটু ভড়কে গেলো। ভাই রে ভাই, জীবনে মেবি প্রথমবার নিজের নোটিফিকেশনের সাউন্ড শুনলো। সে ফোন কিনার আগে কত ভাবতো সুন্দর একটা টিউন সেট করবে, সুন্দর একটা নোটি সাউন্ড সেট করবে। কিন্তু ফোন নেওয়ার পর চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে সারা জীবনই সাইলেন্ট।
কিন্তু সাইলেন্ট কেন? সে তো প্রেমও করে না, কম্পলিকেটেড রিলেশনশিপও নেই যে ফ্যামিলি থেকে লুকাতে হবে। সে শুধু ডিস্টার্ব হতে চায় না ব্যস।হাতে ফোনটা নিয়ে সে স্ক্রিন অন করলো। ফেইস লকের কারণে তার আর পাসওয়ার্ড দিয়ে খোলা লাগেনি, ওর চেহারা দেখেই খুলে গেলো।
লম্বা একটা হাই তুলে সে উপরের লিখাগুলো পড়লো,
'Radin Ahmed sent you a friend request'
একটা তাচ্ছিল্যের হাসি নিয়ে বলল,
-'আচ্ছা, এখন আইডিতে রিকুয়েষ্ট পাঠিয়েছে গার্লফ্রেন্ড আছে বলার জন্যে, নাইস।'
সে রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করে নিজের কাজে মন দেয়।
**********
ইশান কীভাবে আইডি জোগাড় করবে সে বুঝতে পারছে না। সে ভাবলো নাম দিয়ে সার্চ করবে। মৌয়ের পুরা নাম দিয়ে সার্চ করলো কিন্তু কোনো আইডি পেলো না যা মৌকে সম্বোধন করা যেতে পারে।
মৌ মনে হয় ওর পিক দেয়না ফেসবুকে। অনেক্ষণ চিন্তা করে কোনো উপায় পেলো না। ওর পুরা নামটাই অনেক ভাবে চেঞ্জ করে সার্চ দিলো কিন্তু লাভ কি হলো?
সেদিন অবশ্য একটা মেয়েকে দেখলো পকপক করতে, মনে হয় ওর কাজিন টাজিন হবে। কিন্তু ওকেও পাবে কি করে? কোনো উপায় তো নেই।
তখনই মনে পড়লো ওর বায়োডাটাটা আবার দেখবে। হাবিব ভাইয়ের কাছে যে বায়োডাটা ছিল সেটারই একটা পিক তুলে রেখেছিল যাতে হারিয়ে না যায়। কাজটা আসলে হাবিব ভাই-ই করতে বলেছিল কিন্তু কে জানতো ওরই কাজে লাগবে?ফোনের গ্যালারি থেকে খুঁজে বের করে বায়োডাটার পিক। সেখানে উল্লেখিত স্কুলের নাম সার্চ দিয়ে দেখলো পাওয়া যায় কিনা।
কিন্তু এবার শুধু মৌ নাম দিয়ে সার্চ দেয়। কিন্তু পেলো মৌলি, এছাড়া যা যা আছে যেমন থাকার জায়গা, স্কুলের নাম, সব মিলে। আইডিটা ঘুরতে ঘুরতে সে হঠাৎ একটা ছবি দেখতে পায়। যেটায় ওর ছোট্ট বেলার ছবি দেওয়া। ঠিক এই পিকটাই সে দেখেছিল ওদের বাসায় একটা ছোট্ট ফ্রেমে বাঁধানো ড্রয়িং রুমের কর্নার সেটে রাখা। বুঝতে আর বাকি রইলো এটা ওরই আইডি। কিন্তু একটা জিনিস নিয়ে সে দ্বিধায় পড়ে গেল, প্রোফাইলে দেখলো ওর লাস্ট পোস্ট তিন মাস আগের ছিল। সে কি আদৌ এই আইডি ইউজ করে? নাকি আরেকটা আইডি আছে যেটায় ও রেগুলার থাকে।
YOU ARE READING
এক্স ফিয়ন্সের বিয়েতে
Romantikবিয়ের জন্য বাড়ি থেকে তাড়া খেলেও মৌও জেদ করে অনেক যাচাই-বাছাই করে। অনেক প্রস্তাব আসলেও কাওকেই তার ভালো লাগেনা। যতই দিন যায়, বর খোঁজা নিয়ে তার মধ্যে একটা অপ্রিয়ময় অনুভুতি জেগে উঠে। অবশেষে একজনের, শুধু একজনকে তার মোটামুটি ভালো লেগে যায়, বাসায়ও সব ফাইন...