পর্ব-৬

105 4 0
                                    

মৌ খেয়াল করে ইশান এক দৌড়ে রাস্তা পার করে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করে চোরটাকে ধরার জন্যে।

কিছু দূর যেতেই ইশান ওর টি-শার্টের কলারে ধরে থামিয়ে দেয়। ফোনটা নিয়ে নেয় সাথে সাথে।

মৌ সাবধানে রাস্তা পার করে লুনার কাছে আসে। হাটতে হাটতে চোরটার কাছে যায়।

ইশান এখনও ছেলেটার কলার ধরে আছে। কিন্তু চেহারা দেখে এত রাগ মনে হচ্ছে না। আশে পাশে ছোট খাটো একটা ভিড় জমে গেলো

একটা মধ্যবয়স্ক লোক এসে বলল,
-'অ্যাঁই কি হইলো এখানে? চুরি করছোস না? চুরি তোর ***** দিয়ে হান্দায় দিবো সালা চিনোস আমারে?'

ইশান বলল,
-'তোমাকে দেখে তো ভালোই আছ মনে হচ্ছে। চুলে কালার, গলায় চেইন, হাতে ব্র‍্যান্ডের ঘড়ি। তাহলে মানুষের ফোন চুরি করো কেন?'

ছেলেটা মাথা নিচু করে রইলো। ছেলেটা চুপ থাকায় রাগের মাথায় মধ্যবয়স্ক লোকটা বলল,
-'তোরে আমি....'
বলেই এক থাপ্পড় দিতে নেয়। ইশান যত দ্রুত সম্ভব বলে উঠে,
-'এই দাড়ান দাড়ান।'

আবার ছেলেটার উদ্দেশ্যে বলল,
-'দেখ, এসব চোরামি করে কোনো লাভ নেই। তার থেকে যে কোনো একটা কাজ ধরো, টাকা জমিয়ে পরে নাহয় দামি একটা ফোন কিনো। এই ফোনটা দেখছ? কেমন ভাঙা-চুরা। টাচেও একটু সমস্যা আছে। ভালো দামে বেচতে পারবানা। তার থেকে নিজে টাকা জমিয়ে কিনে কিনে সেল করো অনেক লাভ।'

ছেলেটা হালকা মাথা নাড়ায়।

বয়স্ক লোকটা ততক্ষণে সব লোকগুলোর ভিড় সরিয়ে দেয়।

ইশান আবার ছেলেটার উদ্দেশ্যে বলল,
-'বলো নিজের মুখে আমি কখনও চুরি করবোনা।'

-'আপনি কখনও চুরি করবেন না।'

ইশান বলল,
-'এই, ওই লোকটা দেয়নি এবার আমি একটা চড় মারবো তোকে। তুমি নিজে শপথ নিয়ে বলো, আমার কথা আমি বলিনি।'

লুনা আর মৌ মুচকি হেসে দিল, কিন্তু মৌ জলদি  নিজের হাসিটা লুকিয়ে ফেলল।

ছেলেটা বিড়বিড় করে কি যেন বলল ইশান আবার ধমক দেয়,
-'কি? শুনতে পাইনি আবার বলো, জোড়ে না বললে তোমার প্যান্টটা হাটুর দিকে যতটুকু ছিড়া আছে আরও ছিড়ে দিবো। বলো জোড়ে!'

এক্স ফিয়ন্সের বিয়েতেWhere stories live. Discover now