-'কিরে মৌ কি করিস?'
মায়ের মুখে হাসি দেখে মৌয়ের একটু খটকা লাগলো।
পড়ার টেবিলে বসেছিল মৌ। মনের মত ছবি আঁকছে। তবে যেমন তেমন নয়, ওর একটা আজব অভ্যাস, নিজের ইমাজিনেশনকে ঘিরে একটা রুম তৈরি করে, সেটাই আঁকে। সে আরকিটেকচার নিয়েও পড়াশোনা করেনি। করছে বায়োলজি নিয়ে। বায়োলজির চিত্রগুলোও ওর কাছে এত সহজ লাগে না যতটা এসব ছবি আঁকাতে লাগে। এতগুলো একেছে যে সেগুলো দিয়ে একটা এক্সিবিশনও বানাতে পারবে।
পেছনে ঘুরে মৌ বলল,
-'কি ব্যাপার মা, আম্মা, মাম্মি? মনটা ফুরফুরা নাকি?'
-'হ্যাঁ। একটা যেতেই আরেকটা প্রস্তাব এসেছে।'
-'মানে?'
-'মানে যা বলেছি তাই, এর কোনো মানে নেই। তবে, যেদিন সেই টাকলা বিসিএস ক্যাডার এসে তোকে দেখে গিয়েছে সেদিনই তোকে ওরা দেখেছিল।'
-'যত্তসব! উফফ, মা দেখ এবার যদি কোনো বুইরা দামড়া টাকলা আসে আমি সত্যি ওদের সামনেই ফ্যানে দড়ি দিয়ে ঝুলবো।'
মা কথাটা শুনে গালে জোড়ে টান দিলো,
-'এই কথা বললে তোর ঝুলা লাগবে না, আমিই বটি দিয়ে গলাটা কেটে দিবো।'
ব্যাথা পেয়ে গালে হাত বুলাতে বুলাতে বলল,
-'ইশশ, মরলেই তো বাচি এসব বারবার দেখতে আসা ডাইনোসর থেকে। অসহ্য লেগে গেছে মা। আর ভালো লাগে না। এভাবে যদি খুঁজেই যেতে হয় তবে এক কাজ করি মা, আমি আলাদা থাকি। মানুষের বাসায় কাজ করে, বা বেবি সিটিং করে হলেও সে টাকা নিয়ে চলতে পারবো। আর নাহলে মামার স্কুলের টিচার হিসেবেও যোগ নিতে পারি।'
-'যা তা বলবি না। ওরা তোকে খুব পছন্দ করেছে।'
-'মা, পছন্দ করলেও কি? আমার যে পছন্দ হয়না।'
মা মুচকি হেসে, গালে সুন্দর একটা টোল নিয়ে বলল,
-'হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।'
বিরক্তিভরা চেহারা নিয়ে জোড়ে নিঃশ্বাস ফেলল মৌ।
***********
-'আরে আপা নেন না, বসে আছেন কেন?'
মৌয়ের মা বিস্কিটের প্লেটগুলো এগিয়ে দিলো মহিলার সামনে,
YOU ARE READING
এক্স ফিয়ন্সের বিয়েতে
Romanceবিয়ের জন্য বাড়ি থেকে তাড়া খেলেও মৌও জেদ করে অনেক যাচাই-বাছাই করে। অনেক প্রস্তাব আসলেও কাওকেই তার ভালো লাগেনা। যতই দিন যায়, বর খোঁজা নিয়ে তার মধ্যে একটা অপ্রিয়ময় অনুভুতি জেগে উঠে। অবশেষে একজনের, শুধু একজনকে তার মোটামুটি ভালো লেগে যায়, বাসায়ও সব ফাইন...