সবাই বাসায় ফিরে এলেও লুনা মৃন্ময়ের সাথেই থাকে, নিজের বাসায় যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে না।
আজ সকালের আবার নতুন ঝগড়ার ব্যাপারে লুনা কিছুই জানেনা। জানলে আজ মৃন্ময়ের সামনে দাঁড়াতেই হিমশিম খেতো।
রান্না ঘরে এসে দেখলো মা চায়ের পানি বসালো। লুনা কাছে যেয়ে বলল,
-'মা, এত রাতের বেলা চা কে খাবে?'
-'আর কে? মৃন্ময়। কত মানা করেছি রাতে চা না খেতে। ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলে ওর শরীর খারাপ করে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। চায়ের আসক্তি মিটাতে পারেনা।'
লুনা একটু হেসে বলল,
-'তাও ভালো সিগারেট খায় না।'
-'কিজানি বাপু, খেতেও পারে। তোমার বাবা মস্ত এক সিগারেট খোর ছিল। আমার জ্বালাতনে পরে ছাড়তে হয়েছে।'
-'মা, আপনি বিশ্রাম নিন। আমি বানিয়ে দিচ্ছি চা।'
চায়ের কাপটা কিচেন কাউন্টারে রাখায় একটা শব্দ হলো। কেমন যেন এক দক্ষতার সাথে চিনির কৌটা, চাপাতির কৌটা সব বের করলো।
মনে হচ্ছে যেন চায়ের সাথে চিনি নয়, ভালোবাসা মিশিয়ে দিচ্ছে। অবহেলিত হলেও তার ভালোবাসাটা আগের মতই আছে।রুমে নক করে সে ভিতরর ঢুকলে দেখতে পায় খাটের উপর পায়ের উপর পা তুলে সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে আছে একদৃষ্টে।
এখন মৃন্ময়ের মনটা একটা হালকা মনে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহার করছে।
-'চা এনেছি।'
মৃন্ময় উঠে বসলো কিন্তু লুনা একটু আশঙ্কা নিয়ে বলল,
-'খাটে চা ফেলে দিবি তো। টেবিলে বসে খা।'
-'এখানে দে, প্যাঁচাবিনা তো।'
চায়ের ট্রেটা ওর সামনে দিলো। অন্যসময় মন খারাপ থাকলেও চা খাওয়ার সময় একেবারে কুল থাকে মৃন্ময়। এই সুযোগে সে জিজ্ঞেস করে বসল,
-'আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি মিনু?'
-'কি?'
-'এখনও কি বিয়ে নিয়ে রেগে আছিস ওদের সাথে?'
-'দিলা তো চায়ের মধ্যে পানি ঢেলে। তাতে কি হলো? মজা নষ্ট হলো।'
-'উলটা পালটা কথা বলিস না তো। যা জিজ্ঞেস করেছি উত্তর দে।'
YOU ARE READING
এক্স ফিয়ন্সের বিয়েতে
Roman d'amourবিয়ের জন্য বাড়ি থেকে তাড়া খেলেও মৌও জেদ করে অনেক যাচাই-বাছাই করে। অনেক প্রস্তাব আসলেও কাওকেই তার ভালো লাগেনা। যতই দিন যায়, বর খোঁজা নিয়ে তার মধ্যে একটা অপ্রিয়ময় অনুভুতি জেগে উঠে। অবশেষে একজনের, শুধু একজনকে তার মোটামুটি ভালো লেগে যায়, বাসায়ও সব ফাইন...