পর্ব-১৪

65 3 0
                                    

কয়েকদিন পর..........

ইশানের পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। দিন রাত শুধু বইয়ের সাথেই সম্পর্ক, মাঝে মাঝে একটু মৌকেও দেখে নেয় মন ভরে। পড়াশুনায় মন দিলেও সে রাতের ঘুমটা মিস করে না, সময়মতই ঘুমিয়ে পড়ে।

রাত ২টা

ইশানের পিপাসায় ঘুম ভেঙে যায়। সে বাহিরে যেয়ে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি এনে গড়গড় করে সব খেয়ে ফেলল। 

পিছনে তাকিয়ে দেখে মৌ নিঃশব্দে ঘুমাচ্ছে। একটা বড় আপু বলেছিল ঘুমালে নাকি একটা মানুষকে সব থেকে সুন্দর লাগে। অন্য কাওকে ঘুমাতে না দেখলেও মৌকে দেখেই তার বিশ্বাস হয়ে গেলো। মুচকি হেসেই ঠান্ডা পানির কারণে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ঠোঁট গুলো দিয়েই মৌয়ের কপালে আলতো  করে শীতল এক পরশ এঁকে দিলো। তাকে অবাক করে দিয়ে মৌ ঘুমের মধ্যেই মৃদু হেসে দেয়। চোখগুলো নড়ছে, তারমানে সে স্বপ্ন দেখছে। 

*************

মৌ নাস্তা রেডি করে ইশানের কাছে দিয়ে আসে। কিন্তু ইশান যে একটু পর পর কাশি দিচ্ছে সেটা শুনেই রাগ লেগে যায়। 

-'কি হলো? হঠাৎ এত কাশি কেন?' 

-'ওই, কাল রাতে একটু ঠান্ডা পানি খেয়েছিলাম তাই।' 

চোখগুলো বড় করে একটু চেঁচিয়ে বলল,

-'মা, আম্মু। দেখেন আপনার ছেলে ঠান্ডা পানি খেয়েছে।'

সাথে সাথেই ইশানের মা এসে বলল, 

-'কিরে তুই জানিস না ঠান্ডা খেলে তোর শরীর খারাপ করে? কেন তুই খেতে গেলি।'

-'আম্মু, কালকে রাতেই মনে হয় খেয়েছে।' 

ইশানের মাথায় গতকাল রাতের মেমরিটা প্লে হয়ে যায়। তার মানে মৌ আসলেই টের পেয়েছে, মুচকি হাসিটা স্বপ্নের মধ্যে ছিল না। তার মানে মৌও কি তাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে? যাক, মৌ বাসুক আর না বাসুক শুধু ইশান বাসলেই হবে। কিন্তু মৌ ওকে ভালো না বাসলে যদি অন্য ছেলের কাছে চুলে যায়? না, সে ভাবলো তাকে একটা প্ল্যান বানাতেই হবে তাদের ভালোবাসা গভীর করার জন্য। 

ইশানের মুখে মৃদু হাসি দেখে মৌ বলে, 

-'আম্মু দেখলেন আপনার ছেলে কত নির্লজ্জ, আবার হাসছে।' 

এক্স ফিয়ন্সের বিয়েতেWhere stories live. Discover now