খাওয়া দাওয়া শেষে ওরা বেরিয়ে পড়ে। ইশান একটুও নড়লো না সামনে থেকে কারণ এখন এই সময় সে মৌকে একা রেখে চলে যেতে চায় না। মৌ একটু পর পর চোখ রাঙাচ্ছে ওকে দেখে, এখনও রাগে ফুঁসছে।
লাবিব বলল,
-'চলো মৌ তোমাকে দিয়ে আসি।'
সাথে সাথে বলে উঠলো,
-'না, আমি যেতে পারবো একা।'
ইশান বলল,
-'লাবিব ভাই, এখন তো রাস্তায় জ্যাম। আমি নাহয় বাইকে করে দিয়ে আসি? বাইক দিয়ে তো কোনোরকম জ্যামের ভেতর দিয়ে যাওয়া যাবে। গাড়ি তো আটকে থাকবে।'
-'না, না, সেটা কিভাবে হয়? আমার গার্লফ্রেন্ডকে আমিই দিয়ে আসি। আর তোদের তো প্রথম দেখা...'
মৌ একটু রেগে আড়চোখে ইশানের দিকে তাকিয়ে বলল,
-'আমি বলেছি আমি একাই যেতে পারবো। কাওকে লাগবে না।'
বলেই একটা রিকশায় উঠে যায় সে।
-'আরে কোথায় যাও...'
লাবিব কিছু বলার আগেই মৌ চলে যায়।
ইশানও সাইড থেকে বলল,
-'ভাই, আমার কাজ আছে, যাই আমি?'
-'তোর কাজ আছে তাহলে নামায় দেওয়ার কথা বললি কেন?'
বিড়বিড় করে বলল,
-'আমার বউয়ের রাগ না ভাঙালে রুমে জায়গা হবে না ভাই।'
লাবিব বুঝতে না পেরে বলল,
-'কি?'
-'না মানে বললাম যে ওদিকে আমার কাজ ছিল তাই ভাবলাম আপুকে ওদের বাসায় দিয়ে আসি।'
বোকার মত কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বলল,
-'আচ্ছা।'
লাবিব ভাই চলে গেলে ইশান বাইক নিয়ে পালালো মৌয়ের ভাড়াকৃত রিকশার অনুসরণ করে।
************
কান্না কান্না ভাব নিয়েই লুনা বলল,
-'আমাকে রেখেই বা কি লাভ? আমি তো তোমার টাইপের না। মৌয়ের মত হলাম না বলে আমাকে দূরে ঠেলতেও কষ্ট হবেনা তোমার।'
-'জেলাস নাকি?'
-'কেন হবো? মৌ যেমন আমার বোন তুমিও আমার ভালো... মানে ফ্রেন্ড। আমি দুইজনের হাসি মুখটাই দেখতে চাই।'
YOU ARE READING
এক্স ফিয়ন্সের বিয়েতে
Romanceবিয়ের জন্য বাড়ি থেকে তাড়া খেলেও মৌও জেদ করে অনেক যাচাই-বাছাই করে। অনেক প্রস্তাব আসলেও কাওকেই তার ভালো লাগেনা। যতই দিন যায়, বর খোঁজা নিয়ে তার মধ্যে একটা অপ্রিয়ময় অনুভুতি জেগে উঠে। অবশেষে একজনের, শুধু একজনকে তার মোটামুটি ভালো লেগে যায়, বাসায়ও সব ফাইন...