ভার্সিটির সামনে একটা টং দোকানে বসে লুনার সাথে চা খাচ্ছিল মৃন্ময়। ইশানের বাইকের পিছনে মৌকে দেখে চোখ সরিয়ে নিলো সে।
সে বাইক থেকে নামতেই ইশান একটা সাইডে বাইক রেখে দোকানের টিনের ছাউনির নিচে আসলো। লম্বা হওয়ায় মাথা নিচু করেই ঢুকতে হলো তাকে। এসেই মৌয়ের পাশে বসে বলল,
-'কি অবস্থা ভাই, কী অবস্থা লুনা?'
লুনা কোনোরকম একটা হাসি দিয়ে বলল,
-'ভালো, আপনি ভালো আছেন?'
-'এইতো ভালোই।'
মৃন্ময় জোড় পুর্বক হাসি দিয়ে তাকালো ইশানের দিকে।
ইশান মৌয়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
-'চা খাবে নাকি?'
-'না, আজ খেতে ইচ্ছে করছে না।'
-'আচ্ছা। [দোকানদারের উদ্দেশ্যে] মামা আমাকে একটা চা দিও তো।'
ইশান একটু দুষ্টুমি করে আবার বলল,
-'আরেকটা বেনসন দিও।'
মৌ চোখ বড় করে ওর দিকে চাইলো। ইশান মুখের হাসি ধরে রাখতে পারে না।
দোকানদার এটাকে সিরিয়াস ভেবে একটা সিগারেট এগিয়ে দিলো।
হেসেই উত্তর দিলো,
-'আরে মামা, মজা করেছি। আমি ওসব পান করিনা।'
-'কি কন? আপার ভয়ে খাইতেছেন না নাকি? ইশশ, আপা, একটু সুযোগ দেন, আমারও একটু ইনকাম হইবো।'
মৌ কিছু বলল না।
-'ইনকাম করলেই কি? হালাল না তো। যাক কথা হচ্ছে চা-ই দাও আমাকে।'
হাতে চায়ের কাপটা নিয়ে সে মৃন্ময় আর লুনার দিকে তাকালো,
-'আমার এমনেই কাজ ছিল তবে আসলাম তোমাদের সাথে একটু কথা বলার জন্য।'
লুনা বরাবরের মতই আগে উত্তর দিলো,
-'কি কথা ভাইয়া?'
কথাটা হচ্ছে,
-'তোমরা কি আগামী সপ্তাহে ফ্রী আছো নাকি? এই ধরো রবিবার থেকে মঙ্গলবার।'
মৃন্ময় শুকনো কণ্ঠে বলল,
-'আগেই তো বলা যায় না, থাকতেও পারি নাও থাকতে পারি।'
YOU ARE READING
এক্স ফিয়ন্সের বিয়েতে
Romanceবিয়ের জন্য বাড়ি থেকে তাড়া খেলেও মৌও জেদ করে অনেক যাচাই-বাছাই করে। অনেক প্রস্তাব আসলেও কাওকেই তার ভালো লাগেনা। যতই দিন যায়, বর খোঁজা নিয়ে তার মধ্যে একটা অপ্রিয়ময় অনুভুতি জেগে উঠে। অবশেষে একজনের, শুধু একজনকে তার মোটামুটি ভালো লেগে যায়, বাসায়ও সব ফাইন...