মৌ একটু ভেঙচি কেটে অন্যদিকে তাকালো।
-'এত ইগ্নোর? বাবারে সারা জীবনে কেউ আমাকে এভাবে ইগ্নোর করেনি।'
একটু রেগে মৌ বলল,
-'সমস্যা কি আপনার? আপনার জিএফকে গিয়ে জ্বালান।'
-'আমি জানি কেন আমার উপর রেগে আছেন। কিন্তু আমাকে কি কথা বলার সুযোগ দিবেন না?'
বলতে বলতেই ঝালসহ ফুচকা এসে পড়লো। মৌ একটু টক মিসিয়ে একটা ফুচকা মুখে দিলো। খেতে খেতেই চোখ দুটো বন্ধ হয়ে যায়। ওর এভাবে খাওয়া দেখে ইশান মুচকি হেসে দেয়।
-'বেশি ঝাল খেলে শরীর খারাপ করবে। আচ্ছা আমার কথা কি শুনবেন না?'
অনেক্ষণ অনেক কিছু বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু মৌ এমন ভাব করছে যেন ওর সামনে কেউ নেই। একা একা ফুচকার টক ঝালের মজাটা অনুভব করছে।
দুইটা ফুচকা খাওয়ার পর ইশান আবার বলল,
-'এই মৌ আপনি কি আমার কথা........'
হালকা একটু হা হওয়ার সাথে সাথেই ইশানের মুখে একটা ফুচকা ভরে দেয় মৌ। থতমত খেয়ে খুব কষ্টে ফুচকাটা চাবিয়ে নিলো ইশান। মুচকি হেসে পানির ফ্লাস্ক থেকে একটু পানি খেয়ে নিলো মৌ। আবার নিজের খাওয়ায় মন দিলো সে।
ইশান জোড় করে ফুচকাটা গিলে ঝালে হু হা শুরু করলো। সাথে সাথেই মৌয়ের ফ্লাস্কটা ছোবল মারলো।
মৌ একটু রাগ হলো দেখে। গড়গড় করে সবটুকু পানি খেয়ে নেয় সে।
আবার হু হা করতে করতেই বলল,
-'আমার একটু খেয়েই এই অবস্থা। তুমি এতগুলা খেয়েও কানছো না। কি মানুষ বাবারে।'
-'আমার লাইফে পা দেওয়ার আগে ভেবে নিয়েন কয়েকবার।'
খাওয়া শেষ করে সে উঠে যাচ্ছিল টাকা দিতে। ইশান আগেই ফুচকার টাকা দিয়ে দিলো মামার হাতে।
মৌ আবার ভুরু কুচকালো।
-'আপনি দিয়েছেন কেন? [মামার উদ্দেশ্যে] মামা, আপনি ফেরত দিন উনারটা।'
ফুচকাওয়ালার বয়স খুব বেশি না। ওদের থেকে কয়েকবছর বড় হবে। উনি একটা বোকা হাসি দিয়ে বলল,
YOU ARE READING
এক্স ফিয়ন্সের বিয়েতে
Romansaবিয়ের জন্য বাড়ি থেকে তাড়া খেলেও মৌও জেদ করে অনেক যাচাই-বাছাই করে। অনেক প্রস্তাব আসলেও কাওকেই তার ভালো লাগেনা। যতই দিন যায়, বর খোঁজা নিয়ে তার মধ্যে একটা অপ্রিয়ময় অনুভুতি জেগে উঠে। অবশেষে একজনের, শুধু একজনকে তার মোটামুটি ভালো লেগে যায়, বাসায়ও সব ফাইন...