#প্রতিচ্ছবি ২
পর্ব-৪
লেখা : নীলা মনি গোস্বামী
দ্রুত বদলে যাচ্ছে মহিলাটির শরীর। বড় বড় ফোসকা পড়ে গেছে গায়ে। বেলুনের মত পানি ওয়ালা ফোসকা। দেখলেই মন চায় হাত দিয়ে টিপে ভর্তা করে দিই। ফোসকাগুলো বড় হচ্ছে অনবরত আর ফেটে গলে পড়ে যাচ্ছে। পুঁজ বের হচ্ছে। হলুদ রঙের আঠালো পুঁজ। ব্যাথায় আতঙ্কে চিৎকার করে যাচ্ছে মহিলাটি। গায়ের মাংসগুলো খসে খসে নিচে পড়ে যাচ্ছে। ডান চোখটা টুপ করে নিচে পড়ে গেলো। আর বাম চোখটা ঝুলে আছে কোনমতে। হালকা একটু টান দিলেই খুলে হাতে চলে আসবে। চোখের নিমেষেই গোটা শরীরটা গলে নিশ্বেস হয়ে গেলো।তারপর অদৃশ্য হয়ে গেলো মহিলার রক্তাত্ব বিকৃত দেহাবশেষ।কেমন যেনো ম্যাজিকের মত সব উধাও।
কিছুক্ষন আগেও যে সেখানে একজন মানুষ ছিলো,দেখে একদমই বোঝা যাচ্ছে না।
হঠাৎ করেই বুঝে গেলাম চোখের নিমেষে এতগুলো মানুষ গায়েব হয়ে যাওয়ার রহস্য। কিন্তু তারা কেউ টু শব্দটিও করেনি। কেনো?? জানি না আমি।
বাচ্চাটা মেঝেতে পড়ে আছে। অনবরত কান্না করে যাচ্ছে। মহিলার স্বামীর দিকে তাকলাম।কেমন যেনে নির্বিকার দেখাচ্ছে তাকে। ভাবুক ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে।দেখে মনে হলো উপভোগ করছিলো এসব। বিতৃষ্ঞায় ভরে গেলো মনটা।বাচ্চাটাকে দৌড়ে কোলে তুলে নিলাম।কেলে তুলে একটু নাড়াচাড়া করতেই থেমে গেলো তার কান্না। গুটিশুটি মেরে ঘুমিয়ে পড়লো আমার কোলে।বুকের ভেতরটা কেমন যেনো চিন চিন করে উঠলো।দেবশিশুর মত দেখতে ছোট্ট এই বাবুটির জন্য হঠাৎ করেই কেমন যেনো খারাপ লাগছে আমার। সদ্য মা হারা নিষ্পাপ শিশু। বৈরী পরিবেশে যার জন্ম।যার বাব মানুষরূপী পিশাচ।কি আছে তার কপালে কে জানে!!কেমন নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে আমার কোলে।মৃদু মৃদু হাসছে। একটু ভেঙচি কাটছে। আবার মুখ বিকৃত করে কান্নার ভঙ্গি করে উঠছে। কি সুন্দর দৃশ্য।।।। মন্ত্র মুগ্ধের মত দেখছিলাম।।।।
লিসার কথায় মন্ত্র মুগ্ধতা ভাঙলো। " সবাই মরে গেলো, কিন্তু আমাদের কিছু হলো না কেন? "
" তোমরা সাধারন মানুষ না, সেজন্য।বিশেষ ক্ষমতাবান যারা, কেবল তারাই বেঁচে আছে। আর শহরের অন্যকোনে বেঁচে আছে গুটিকতক সাধারন মানুষ।তোমরা দুজনি কেবল বাঁচাতে পারবে তাদের।পারবে পুরো পৃথিবীকে রক্ষা করতে।"
" কীভাবে?"
" আয়নাটা নিয়ে আসতে হবে তোমাদের।তারপর বাঁচাতে পারবো এই পৃথিবীকে।"
YOU ARE READING
প্রতিচ্ছবি ২
Paranormalএ গল্প ত্রপা, রাফি, লিসা আর ইরার।কিংবা দুটো নবজাতক বাচ্চার।এ গল্প জাদুর দুনিয়ার।সেই সঙ্গে পুরো পৃথিবীবাসীরও। বিচিত্র সব অভিজ্ঞতায় ভরপুর গল্প। ।। 🙊