#প্রতিচ্ছবি ২
পর্ব : ৫
লেখা : নীলা মনি গোস্বামীকেমন যেনো গুমোট হয়ে আছে ভেতরের পরিবেশটা । বাইরে থেকে যতটা সুন্দর মনোমুগ্ধকর মনে হয়েছিলো, আসলে ততটাও সুন্দর নাহ। কেমন যেনো একটা পরিবেশ।মনে হচ্ছে যেনো ভীষন অশুভ কিছুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।
রঙ উঠে গেছে মরচে ধরে গেছে ভেতরের প্রতিটি জিনিসে।বিশাল সুইমিং পুলটার সামনেই ভাঙ্গাচুড়া রোলারকোস্টারটা। দেখে যেনো মনে হচ্ছে প্রাগৈতিহাসিক যুগের কোন বিশাল দানব মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে।
বিকাল হয়ে এসেছে প্রায়।মৃদু বাতাস বইতে লাগলো হঠাৎ। বাতাসে চুল উড়ছে। আরামদায়ক বাতাস।দূরে কোথা থেকে যেনো সুরেলা সঙ্গীতের ধ্বনি ভেসে এলো। মনোমুগ্ধকর সে সঙ্গীত। বাতাসে ছড়িয়ে পড়লো মিষ্টি সুবাস।কোথা থেকে যেনো ছোট্ট একটি পালক উড়ে এসে পড়লো আমার হাতে। শুভ্র পালক। মুহুর্তের মধ্যেই পরিবেশটা কেমন যেনো স্বর্গীয় হয়ে গেছে। ফুরফুরে লাগছে মনটা ভীষন।
ত্রপা........................!!!!!
চমকে উঠলাম আমি।কে যেনো ফিসফিস করে ডাকছে আমাকে।লীসার দিকে তাকালাম।একদম স্বাভাবিক মেয়েটা।মনে হলো না মেয়েটা কিছু শুনেছে কিংবা অনুভব করেছে। তহলে কি এটা আমার মনের ভুল???
হয়তোবা.... মনের ভুলই হবে। ক্লান্ত মস্তিষ্ক কত কি চিন্তা করে।হাঁটতে হাঁটতে ভেতরে চলে এসেছি একদম।কিন্তু সেই জায়গাটির কোন হদিসই পাচ্ছি না,যার কথা বলেছিলো সেই পিশাচটি। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।অন্ধকার হয়ে এসেছে চারপাশ।ভাঙ্গাচোড়া ট্রেনটার সামনে যখন এসে দাঁড়িয়েছি, ঠিক তখনি ঘটলো ঘটনাটা।
ধপ করে জ্বলে উঠলো চারপাশের বিশাল বিশাল লাইটগুলো।রঙ বেরঙের ছোট বড় নানান রকম লাইট। কি সুন্দর আলোকসজ্জা।আলোকিত হয়ে আছে চারপাশ।বিশাল ট্রেনটা নিজে নিজেই চলতে শুরু করলো।টের পেলাম সচল হয়ে গেছে চারপাশের ভাঙ্গাচোড়া খেলনাগুলো।ধাতব যান্ত্রিক শব্দে মুখরিত হয়ে উঠলো চারপাশ।মনে হচ্ছে যেনো রাতের অন্ধকারে প্রান ফিরে পেয়েছে মৃত পার্কটা।
DU LIEST GERADE
প্রতিচ্ছবি ২
Übernatürlichesএ গল্প ত্রপা, রাফি, লিসা আর ইরার।কিংবা দুটো নবজাতক বাচ্চার।এ গল্প জাদুর দুনিয়ার।সেই সঙ্গে পুরো পৃথিবীবাসীরও। বিচিত্র সব অভিজ্ঞতায় ভরপুর গল্প। ।। 🙊