পর্ব-৬

214 8 0
                                    

#প্রতিচ্ছবি ২

পর্ব -৬
লেখা : নীলা মনি গোস্বামী 

বিভৎস একটা পরিবেশ। চারদিকে আতঙ্কিত মানুষের চিৎকার। আগুন জ্বলছে চারদিকে। আগুনে জ্বলন্ত কতগুলো মানুষ ট্রেনের চারপাশ দিয়ে ছুটে চলে গেলো। একপাশে একটি ছোট্ট বাচ্চা মেয়েকে বেঁধে রাখা হয়েছে। পেটের কাছ থেকে একেবারে কপাল পর্যন্ত অতি নিঁখুতভাবে চিড়ে দুভাগ করে ফেলা হয়েছে তাকে। জিহ্বাটা ঝুলে আছে হাঁটু পর্যন্ত।
পাশেই আর একটি ছেলেকে দেখা যাচ্ছে। । টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়েছে তার দেহটা। সেই কাটা আংশগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চারদিকে।  কিলবিল করছে অসংখ্য কৃমির মত পোকা। সেই পোকাগুলো তুলে তুলে খাচ্ছে একটি মেয়ে। বড্ড তৃপ্তি তার চেখেমুখে। বিশাল একটি তেলভর্তি কড়াইয়ে কতগুলো মানুষকে ফেলে রাখা হয়েছে।  নিচে জ্বলন্ত আগুন।মানুষগুলো আতঙ্ক আর ব্যাথায় চিৎকার করে লাফ দিয়ে বের হয়ে যেতে চাইছে।কিন্তু পারছে না।
হ্যাঙলা টিঙটিঙে একটি ছেলের মুখ বেঁধে রাখা হয়েছে কাপড় দিয়ে। ব্যাথায় আতঙ্কে ফেটে বের হয়ে আসতে চাইছে তার চোখদুটো। চিৎকার করতে চাইছে ছেলেটা,কিন্তু পারছে না। তাকে মেরুদন্ড বরাবর কেটে ফেলা হলো। পাঁজরের হাড়গুলো ভেঙ্গে পিঠের দিক থেকে বের করে ফেলা হয়েছে। পেছন থেকে টেনে বের করে নেয়া হলো তার ফুসফুস। কেমন বিভৎভাবে ঝুলছে সেটা বাইরের দিকে।ঠেসে ঠেসে বস্তা ভর্তি লবন ঢেলে দেয়া হচ্ছে তার ক্ষতস্হানগুলোতে।তার মাথাটা বিশাল একটি কাটা লাগানো হাতলওয়ালা ড্রামের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়া হলো।উল্টো করে বেঁধে দেয়া হলো ছেলেটাকে।তারপর চরম আক্রোশে ঘুরিয়ে দেয়া হলো ড্রামের হাতলটা।মাথাটা খুলে আলাদা হয়ে গেলো। ঝড়নার মত একরাশ রক্ত ঝড়ে পড়লো মাটিতে।

আর সহ্য করতে পারলাম না আমি।চিৎকার দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।দেখতে চাই না আর এই বিভৎস দৃশ্য। কেঁপে উঠলো বুকের ভেতরটা। নরক এত ভয়াবহ কেন? 
জেনেশুনে কত খারাপ কাজ করে ফেলি আমরা। এতবারও চিন্তা করি না মৃত্যুর পরও একটা জীবন আছে। সে জীবন বড় ভয়ঙ্কর। পাপের শাস্তি পেতে হয় সে জীবনে। আর সেই শাস্তি গুলো যে কত ভয়ানক..... তা নিজের চোখে না দেখলে কখনোই বুঝতে পারতাম না।

প্রতিচ্ছবি  ২ Donde viven las historias. Descúbrelo ahora