#প্রতিচ্ছবি ২
#পর্ব -১৭
লেখা : নীলা মনি গোস্বামী
সুরঙ্গটা হঠাৎ বামদিকে মোড় নিয়েছে। ছোটোখাটো একটা গর্ত চোখে পড়লো।সাত পাঁচ না ভেবেই লাফিয়ে পড়লাম তিনজন গর্তটার ভেতর।পাতলা পিচ্ছিল একটা পতন হলো আমাদের।ব্যাথায় কেঁদে উঠলো শিশু বাচ্চাদুটো।কোনমতে মাথায় হাত বুলিয়ে কান্না থামালাম ওদের।
নিচে কিছু একটা মৃদুভাবে নড়েচড়ে উঠলো।চমকে গেলাম আমি।আতঙ্কিত হয়ে দেখলাম,নিচের দিকে ডেবে যাচ্ছি আমরা সবাই।খুবই ধীর গতিতে তলিয়ে যাচ্ছি মাটির নিচে।মনে হচ্ছে যেনো শুষে নিচ্ছে মাটি আমাদের।
" চোরাবালি" আতঙ্কে চিৎকার করে উঠলো ইরা।
রাফি ইরা বিড়বিড় করে মন্ত্র পড়ছে।কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না।দ্রুত গতিতে ডুবে যাচ্ছি নিচের দিকে। অকেজো হয়ে গেছে আমাদের জাদু।হতাশায় মূষড়ে পড়লাম সবাই।বাচ্চাদুটোর জন্য কষ্ট হতে লাগলো অনেক।আজ আমাদের ভুলের জন্য ওদের মৃত্যু হতে চলেছে।ধীরে ধীরে ডেবে যাচ্ছি চোরাবালির নিচে।নাক পর্যন্ত ডেবে গেছে আমার।ইরা আর রাফিকে দেখতে পাচ্ছি না।ডুবে গেছে তারা চোরা বালির গহিনে।চোখ বন্ধ করে ফেললাম।মনে মনে সৃষ্টিকর্তার নাম জপতে জপতে তলিয়ে যেতে লাগলাম চোরাবালির গহিনে।
তারপর আর কিছু মনে নেই আমার।যখন ঞ্জান ফিরলো, তখন নিজেকে অদ্ভূদ একটা জায়গায় আবিষ্কার করলাম। বিশাল কারুকার্যখচিত কক্ষ।চারপাশে অদ্ভূত প্রাচীন নকশা,ছবি।অনেকটা গুহা চিত্রের মতো।চকচক করছে চারিদিক। পাশেই ইরা আর রাফি বসে আছে চিন্তিত মুখে।ইরার হাতে ছটফট করছে বাচ্চাদুটো।ধীরে ধীরে উঠে বসতে চাইলাম, প্রতিবাদ করে উঠলো শরীরের প্রতিটা হাড়গোড়।ব্যাথায় কঁকিয়ে উঠলাম।রাফি উঠে বসতে সাহায্য করলো । হেলান দিয়ে বসে রইলাম ওর কাঁধের ওপর।কেমন যেনো শক্তিহীন মনে হচ্ছে নিজকে।অসহায় লাগছে ভীষন।।কোন মন্ত্র - শক্তি কিছুই কাজ করছে না।শরীরও দুর্বল অনেক।ছোট একটা বাচ্চার মতো শক্তিহীন মনে হচ্ছে নিজেকে।
সবাইকে কেমন যেনো ফ্যাকাশে আর নির্জীব দেখাচ্ছে।একফোঁটা পানির জন্য আঁকুপাকু করছে বুকের ভেতরটা।
"জায়গাটা আমাদের সব শক্তি শুষে নিচ্ছে।মৃত্যুপুরী এটা " ফিসফিস করে বললো ইরা।
চলবে......
YOU ARE READING
প্রতিচ্ছবি ২
Paranormalএ গল্প ত্রপা, রাফি, লিসা আর ইরার।কিংবা দুটো নবজাতক বাচ্চার।এ গল্প জাদুর দুনিয়ার।সেই সঙ্গে পুরো পৃথিবীবাসীরও। বিচিত্র সব অভিজ্ঞতায় ভরপুর গল্প। ।। 🙊