পর্ব-১৫

141 6 0
                                    

#প্রতিচ্ছবি ২

পর্ব : ১৫

লেখা : নীলা মনি গোস্বামী

একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে ওটা আমাদের দিকে।মৃদু গোঙাচ্ছে। লালা ঝড়ছে মুখ থেকে। পা টিপে টিপে নেকড়েটা এগিয়ে এলো আমাদের দিকে।রাফি উদ্যত ভঙ্গিতে এগিয়ে গেলো নেকড়েটার দিকে।আমাদের আক্রমন করার আগেই মেরে ফেলবে ওটাকে।

কিন্তু হঠাৎ থমকে গেলো রাফি।কে যেনো ওর হাতটা চেপে ধরেছে। অন্ধকারের আড়াল থেকে একটা ছায়ামূর্তি বের হয়ে এলো।শক্ত সমর্থ এক যুবক।বেদম একটা ধাক্কা খেলাম ছেলেটার দিকে তাকিয়ে।সুদর্শন এক তরুন।বয়স বড়জোড় বাইশ হবে।মাথাভর্তি রেশমি চুল।জ্বলজ্বলে নীলচে চোখ।একেই বুঝি ক্যাটস আই বলে।দাঁড়িগোঁফের জঙ্গল যেনো তার সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুন।মিষ্টি করে হাসলো আমাদের দিকে তাকিয়ে।

" আহাদ " হাত বাড়িয়ে দিলো ছেলেটা।একে একে হ্যান্ডশেক করলো সবার সাথে।

" ভয় নেই, এটা আমার পোষা নেকড়ে।বিপদে আপদে সব সময় আমার পাশেই থাকে বাবুটা।আমার আদরের ছোট বাচ্চা।" হেসে বলে উঠলো আহাদ।

চোখ পিটপিট করে তাকালাম আহাদের পোষা বাবুটার দিকে।মোটাতাজা এই প্রানীটাকে কোন দিক থেকেই বাবু মনে হচ্ছিলো না আমার। বরং দেখে কেমণ যেনো ভয় ভয় করছিলো।আহাদের আদুরে বাচ্চাটা এগিয়ে এলো আমার দিকে কাছে এসে হাত চেটে দিলো আমার।ঘিন ঘিন করে উঠলো শরীরটা।
আমার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপে বলে উঠলো, "পছন্দ করেছে তোমাকে অনেক।"
ইরা আর রাফি হেসে উঠলো একযোগে।ভেঙচি কেটে দিলাম তাদের।
" খিদে পেয়েছে অনেক।কিছু না খেতে পারলে মারা যাবো আমি" পেট চেপে মাটিতে বসে পড়লো ইরা।

" চলুন আমার সাথে, খাবারের ব্যাবস্থা করছি।" কাচুমাচু ভঙ্গিতে বলে উঠলো আহাদ।

বক বক করতে করতে এগিয়ে চললাম সামনের দিকে অনেক কিছু জানা হয়ে গেলো আহাদের ব্যাপারে।বহু বছর আগে পিকনিকে এসেছিলো এখানে।বন্ধুদেন সাথে।কিছু একটার কারনে বিভৎসভাবে একে একে মৃত্যু ঘটে সবার।বেঁচে যায় আহাদ।আঁটকে যায় দ্বীপটার ভেতর।খুঁজে পায় জনমানবহীন ছোট্ট একটা বাড়ি।বেঁচে থাকার জন্য পশু শিকার শুরু করে।ফলমূল সংগ্রহ করে।তার একলা জীবনে সঙ্গী হিসেবে জুটে যায় নেকড়েটি।মজা লাগলো ছেলেটার কাহিনী শুনে।

বিশাল একটা মাঠের সামনে এসে দাঁড়ালাম আমরা।সামনে একটা কাঠামো নজরে পড়লো।বুঝতে পারলাম না কী ওটা।লম্বাটে ধরনের অদ্ভূত আকৃতির কি যেনো।

চলবে........!

প্রতিচ্ছবি  ২ Donde viven las historias. Descúbrelo ahora