আজ ২৯ ডিসেম্বর।
ইশিকার জেএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে। ইশিকার যেন টেনশনে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। না জানি কি আছে। তবে বাসার কেউই আহামরি টেনশন করছে না। কারণ সবাই জানে ইশিকা সেরা রেজাল্টটাই করবে। কিন্তু ইশিকার টেনশন হচ্ছেই। যতই হোক পরীক্ষা তো সে দিয়েছে তাই টেনশন হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর এবার পরীক্ষা বেশ কঠিন হয়েছে। টেনশনে ইশিকা বাড়ির এ মাথা থেকে ও মাথা হেটে বেড়াচ্ছে। ইশিকার এ অবস্থা দেখে দাদী বললেন,
"কিরে তোর হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে এইচএসসি এর রেজাল্ট দিবে। সকালের নাস্তাও তো করো নাই।"
"উফ্ দাদী এমনিতেই টেনশনে আমার অবস্থা খারাপ তার মাঝখানে তুমি তোমার বয়ান শুরু করলা। যাই হোক আমি আর এখন তোমার সাথে ঝগড়া করতে চাই না।"
দাদী কিছু বলতে যাচ্ছিলেন। এই মূহুর্তেই ফোন বেজে উঠল। ইশিকা দৌড়ে গেল ফোন রিসিভ করতে। নাবিলা ফোন করেছে। ফোন রিসিভ করতেই নাবিলা বলল,
"দোস্ত একটা খারাপ খবর আছে।"
"খারাপ খবর?"
"হ্যা, আমি স্কুলে আসছি।"
"তুই স্কুলে গিয়েছিস!! রেজাল্ট দেখেছিস?"
"হুম।"
"এই আমার রেজাল্ট কি আসছে রে?"
"তোর রেজাল্ট খুব খারাপ।"
"ক্কি? আমার রেজাল্ট খারাপ?"
"হ্যা তুই এবারো গোল্ডেন পেলি? লিস্টের তিন নম্বরে তোর নাম।"
"সত্যি!!"
ইশিকার চিৎকারে যেন পুরো বাড়ির সবার কানের পর্দা ফাটল। ইশিকা নাবিলাকে বলল,
"আরে তুই এতক্ষন ধরে আমাকে ভয় দেখাচ্ছিলি কেন?"
"দেখাব না, তোর জন্য তো আমাদের কারোর স্বপ্নই পূরণ হয় না।"
"আচ্ছা তোর কি অবস্থা?"
"হ্যা আমারো গোল্ডেন আসছে। আমাদের গ্রুপের সবারই গোল্ডেন এ প্লাস।"
"যাক এবার একটু হাল্কা লাগছে।"
"স্কুলে আসবি?"
YOU ARE READING
ভালোবাসার অপরাধী (সম্পুর্ণ)
Romanceছাদের রেলিং এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে ইশিকা। অগ্রহায়ণের বাতাস অনুভব করছে। হঠাৎ চোখ পড়ল সামনের ছাদের দিকে। মনের অনুভূতিটা যেন নড়াচড়া দিয়ে উঠল। চোখটা বন্ধ করে জোরে নিঃস্বাস নিল। এক দৌড়ে ছুটে এল নিজের ঘরে।