ইশিকা খুব সুক্ষ্মভাবে অয়নের টাইটা বেঁধে দিচ্ছে। চোখে ঝাপসা দেখছে যদিও। তাও খুব মনযোগ দিয়ে টাইটা বাঁধছে যেনো এই মুহুর্তে টাইটা বাঁধার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ আর নেই। সেই আধ ঘন্টা ধরে ইশিকা টাই নিয়ে ঘুটুর ঘুটুর করে যাচ্ছে। অয়ন তাড়াও দিচ্ছে না ইশিকাকে। খুব ভালো লাগছে অয়নের। সারাজীবন যদি এভাবেই থাকতে পারতো। না সারাজীবন কেনো সময়টা এখানেই থেমে যাক। অনন্তকাল ধরে যেনো এই টাই বাধা চলতে থাকে, শেষ যাতে না হয়।
অয়নের ইচ্ছা পূরণ হলো না। ইশিকার টাই বাঁধা শেষ। অয়নকে ছেড়ে সে নিজের চশমাটা খুলে চোখ ডলছে। অয়ন বলল,
"বললাম আমার চেনা ভালো ডাক্তার আছে তাও তুমি শুনলে না।"
"আমি যাকে দেখাবো উনি বেস্ট। তাছাড়া উনার সাথে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। নিজের মেয়ের মতো স্নেহ করেন।"
"সেটা ঠিকাছে কিন্তু তাই বলে বাকিরা কি ফেলনা?"
"না ফেলনা হবে কেনো। আসলে আমি স্যারের সাথে মিট করতে চাচ্ছিলাম অনেকদিন ধরেই। তাই ভাবলাম উনাকেই দেখাই। দুইটা কাজ একসাথে হবে।"
"উনি তো খুব ব্যস্ত মানুষ দেখলাম। সিরিয়াল নাকি পাওয়া যাবে না উনার চেম্বারে। এখনো আর পাঁচ দিন বাকি। আমি বুঝতে পারছি না এই পাঁচ দিন কি তুমি এভাবে থাকবে?"
"আরে কি হবে কিছুই হবে না। চশমা আছে না এখন।"
"হুহ! ভোঁতা চশমা তোমার!"
"মোটেই না।"
"দেশে তো আর ডাক্তারের অভাব না। গতকাল গেলে আমিও সাথে যেতে পারতাম।"
"শোনো আমিও একজন ডাক্তার। সো আই ক্যান আন্ডারস্ট্যান্ড কি করতে হবে আর কি না।"
"হুম বুঝলাম।"
"তুমি এক্স্যাক্ট কবে আসবে সেটা কি বলতে পারবে?"
"আমি এখনো জানি না ঠিক বাট পনেরো ষোলো দিন তো লাগবেই এর বেশিও লাগতে পারে। এখনই বলা পসিবল না।"
"আচ্ছা।"
অয়ন ইশিকার নাকে আঙুল দিয়ে নাড়া দিয়ে বলল,
"ডোন্ট বি স্যাড। আমি চেষ্টা করবো পনেরো তারিখের আগে আসার।"
BẠN ĐANG ĐỌC
ভালোবাসার অপরাধী (সম্পুর্ণ)
Lãng mạnছাদের রেলিং এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে ইশিকা। অগ্রহায়ণের বাতাস অনুভব করছে। হঠাৎ চোখ পড়ল সামনের ছাদের দিকে। মনের অনুভূতিটা যেন নড়াচড়া দিয়ে উঠল। চোখটা বন্ধ করে জোরে নিঃস্বাস নিল। এক দৌড়ে ছুটে এল নিজের ঘরে।