অভ্র আর ইশিকার সম্পর্কের শুরু। আলাদা করে বাইরে দেখা করলেও নিয়ম করে ছাদে উঠে ঠিকই দেখে দুজন দুজনকে। ইশিকার বাড়ির ছাদ, অভ্রর বাড়ির ছাদ, দুজনের বাড়ির গাছপালা, গাছে ফুটে থাকা ফুল যেন ওদের ভালোবাসার সাক্ষী। আরেকটা সাক্ষীও আছে। অভ্রর ঘুড়ি আর ইশিকার গুলতি চাবুক। ওদের কারোর মনেই নেই ওদের পরিস্থিতির কথা ওদের বাবাদের কথা। ভালোবাসায় নিমজ্জিত দুজনেই। বেশ হাসিখুশি ভাবেই দুজন দিনগুলো কাটাচ্ছে। ওদের সম্পর্কের পরিণতি কি হবে তা ওরা নিজেরাও জানে না। যেন ওরা জানতেই চায় না। মনেও করতে চায় না। মনে করে ওদের সুন্দর সময়গুলো নষ্ট করতে চায় না।
..................
রাত তিনটা। অভ্র ঘুমাচ্ছে। অভ্রর বারান্দার সাথের জানালায় খট খট শব্দ হলো। আওয়াজে অভ্রর ঘুম ভেঙে গেল।অভ্র ভয় পেতে লাগলো। মনে মনে ভাবলো খুলে দেখবে না যদি ভূত টুত হয় তখন? আওয়াজটা এবার দরজায় হচ্ছে। এখন কি তাহলে ভূত দরজায় এসেছে? নিজেই বিড় বিড় করতে লাগলো,
"আল্লাহ বাঁচাও আমাকে..... আল্লাহ বাঁচাও.....আল্লাহ.."
দরজার ওপাশ থেকে এখন আওয়াজ ভেসে আসলো। অভ্র শুনতে পেল,
"এই অভ্র দরজা খোলো! কিরে বাবা!তুমি তো এতো গভীর ঘুম ঘুমাও না। দরজা খোলো! আমি এতক্ষন পর্যন্ত মশার কামড় খেতে পারছি না। উফ এতো মশা তোমার বারান্দায়!"
অভ্র যেন আরো ভয় পেল। বলল,
"ইশকি! হায় হায় ভূত ইশকির রূপ ধরে এসেছে!"
অভ্র সাহস ধরার ভান করলো কিন্তু মনে মনে ভয় পাচ্ছে ঠিকই। বলল,
"শালা ভূতের বাচ্চা! যতই ইশকির রূপ ধরে আসিস না কেন আমি দরজা খুলবো না। যাই ইশকিকে একটা ফোন করি। শুনেছি ফোন গুতালে নাকি ভূতেরা মানুষের গন্ধ পায় না।"
ওপাশ থেকে ধাক্কা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। যেন দরজা ভেঙে ফেলবে। অভ্র ইশিকাকে কল দিল। দরজার ওপাশ থেকে একটা ফোনের রিংটোন শুনতে পেলো অভ্র। মনে হলো তাহলে ভূত নয় ইশকিই এসেছে। অভ্র আস্তে আস্তে দরজা খুলল। দরজা খুলতেই ইশিকা চেঁচিয়ে উঠে অভ্রর গলা চেপে ধরলো। বলল,
STAI LEGGENDO
ভালোবাসার অপরাধী (সম্পুর্ণ)
Storie d'amoreছাদের রেলিং এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে ইশিকা। অগ্রহায়ণের বাতাস অনুভব করছে। হঠাৎ চোখ পড়ল সামনের ছাদের দিকে। মনের অনুভূতিটা যেন নড়াচড়া দিয়ে উঠল। চোখটা বন্ধ করে জোরে নিঃস্বাস নিল। এক দৌড়ে ছুটে এল নিজের ঘরে।